1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
September 15, 2025, 6:38 am

সরকারি কর্মচারীরা ‘আন্দোলন’ করলে বাধ্যতা মূলক অবসর

  • Update Time : Thursday, July 24, 2025
  • 203 Time View

সরকারি কর্মচারীরা ‘আন্দোলন’ করলে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়ার বিষয়টি মূলত “সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং সংশ্লিষ্ট ধারায় অন্তর্ভুক্ত বর্ণিত। নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো

বিষয় ভিত্তি সময়রেখা:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
  • ২৫ মে ২০২৫ সরকার “সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” জারি করেছে। এটি সরকারি চাকুরি আইন, ২০১৮-এর ৩৭ ধারা সংশোধন করে নতুন ৩৭ক ধারা সংযোজন করে ।
  • সারা দেশে সরকারি কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রতিক্রিয়া ও আন্দোলনে নেমে পড়ে ।
  • এরপর পর্যালোচনার ভিত্তিতে ৩ জুলাই ২০২৫ প্রকাশিত আগ্রহ রীতিমতো সংশোধনীতে কিছু পরিবর্তন ও নতুন বৈশিষ্ট্য সংযোজিত হয় ।

 অধ্যাদেশের ৩৭ক ধারা: মূলমন্ত্র:

১. অসদাচরণ নির্ধারণ:

  • চারটি অপরাধ হিসেবে ধরা হলো:
    • দায়িত্বে গাফিলতি
    • যুক্তিহীন দীর্ঘ অনুপস্থিতি
    • সহকর্মীকে আন্দোলনে প্ররোচিত করা
    • কর্তব্যে বাধা দেয়া.

শাস্তি ব্যবস্থা:

  • অভিযোগ প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতি না দিয়ে বাধ্যতামূলক অবসর (forced retirement) দেওয়া হবে ।
  • শাস্তি যাওয়ার আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সুপারিশ থাকতে হবে যাতে নারী কর্মীর জন্য অন্তত একজন নারী সদস্য থাকবে ।

 আপিল সম্পূর্ণতা:

  • সিদ্ধান্ত জরুরি হলে চাকরিচ্যুতি না আগেই অবসর দেয়া যাবে;
    তবে চাকরির বয়স বা পদে হ্রাস—যেমন জরিপ স্বজনতা করছে না।
  • শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি PSC (জনপ্রশাসন কমিশন)-এর মতামত ও শক্তিশালী আপিল পাথও পাবেন.

পরিবর্তন সংশোধনী:

  • মূল অধ্যাদেশে চাকরিচ্যুতি একটি বিকল্প ছিল; যা নিয়ে কর্মচারীদের বিস্তৃত প্রতিবাদ হয়েছিল।
  • ৩ জুলাইয়ে সংগঠিত সংশোধনীতে “চাকরিচ্যুতি” বাদ গেছে ও তার জায়গায় বাধ্যতামূলক অবসর স্থাপন করা হয়েছে ।
  • আপিলের দিকটি শক্তিশালী করা হয়েছে PSC এর মতামতের ব্যবস্থা যোগ করা, তদন্ত কমিটি এবং কারণ শোনার সুযোগ রাখা হয়েছে ।

সারাংশ:

বিষয়মূল অধ্যাদেশ (২৫মে)সংশোধিত রূপ (৩জুলাই)
শাস্তির ধরনচাকরিচ্যুতি, অবসর, পদ হ্রাসশুধুমাত্র বাধ্যতামূলক অবসর
তদন্ত ব্যবস্থাএককভাবে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত৩ সদস্য তদন্ত কমিটি (১ নারী সদস্য)
আপিল-পথসীমিত, রাষ্ট্রপতি চূড়ান্তPSC-র মতামত + আপিলের সুযোগ

প্রভাব বিতর্ক:

সরকারের যুক্তি: দ্রুত ও কার্যকরভাবে শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব; কারণের নোটিশ ও আপিল ব্যবস্থা থাকায় এটি ন্যায়বিচারের মানদণ্ড মেনে চলে ।

  • সমালোচনা: অভিযুক্ত কর্মচারীর চাকরির নিরাপত্তা ও মুক্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে; কারণ “প্ররোচনা” বা “গাফিলতি” উদ্ধৃতিতে প্রতিহিংসামূলক ব্যবহারের সুযোগ আছে ।
  • প্রচলিত ভাবনায়: অনেকেই মনে করেন, “জনস্বার্থে” দৃষ্টায় পদক্ষেপ হলেও সেই শব্দটি আইনে অকপটে সংজ্ঞায়ন করা হয়নি, ফলে অপব্যবহার হতে পারে ।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews