সরকারি কর্মচারীরা ‘আন্দোলন’ করলে বাধ্যতা মূলক অবসর
Update Time :
Thursday, July 24, 2025
203 Time View
সরকারি কর্মচারীরা ‘আন্দোলন’ করলে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়ার বিষয়টি মূলত “সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং সংশ্লিষ্ট ধারায় অন্তর্ভুক্ত বর্ণিত। নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো
বিষয়ভিত্তিওসময়রেখা:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
২৫ মে ২০২৫ সরকার “সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” জারি করেছে। এটি সরকারি চাকুরি আইন, ২০১৮-এর ৩৭ ধারা সংশোধন করে নতুন ৩৭ক ধারা সংযোজন করে ।
সারা দেশে সরকারি কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রতিক্রিয়া ও আন্দোলনে নেমে পড়ে ।
এরপর পর্যালোচনার ভিত্তিতে ৩ জুলাই ২০২৫ প্রকাশিত আগ্রহ রীতিমতো সংশোধনীতে কিছু পরিবর্তন ও নতুন বৈশিষ্ট্য সংযোজিত হয় ।
অধ্যাদেশের৩৭কধারা: মূলমন্ত্র:
১. অসদাচরণনির্ধারণ:
চারটি অপরাধ হিসেবে ধরা হলো:
দায়িত্বে গাফিলতি
যুক্তিহীন দীর্ঘ অনুপস্থিতি
সহকর্মীকে আন্দোলনে প্ররোচিত করা
কর্তব্যে বাধা দেয়া.
শাস্তিওব্যবস্থা:
অভিযোগ প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতি না দিয়ে বাধ্যতামূলক অবসর (forced retirement) দেওয়া হবে ।
শাস্তি যাওয়ার আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সুপারিশ থাকতে হবে যাতে নারী কর্মীর জন্য অন্তত একজন নারী সদস্য থাকবে ।
আপিলওসম্পূর্ণতা:
সিদ্ধান্ত জরুরি হলে চাকরিচ্যুতি না আগেই অবসর দেয়া যাবে; তবে চাকরির বয়স বা পদে হ্রাস—যেমন জরিপ স্বজনতা করছে না।
শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি PSC (জনপ্রশাসন কমিশন)-এর মতামত ও শক্তিশালী আপিল পাথও পাবেন.
পরিবর্তনওসংশোধনী:
মূল অধ্যাদেশে চাকরিচ্যুতি একটি বিকল্প ছিল; যা নিয়ে কর্মচারীদের বিস্তৃত প্রতিবাদ হয়েছিল।
৩ জুলাইয়ে সংগঠিত সংশোধনীতে “চাকরিচ্যুতি” বাদ গেছে ও তার জায়গায় বাধ্যতামূলক অবসর স্থাপন করা হয়েছে ।
আপিলের দিকটি শক্তিশালী করা হয়েছে PSC এর মতামতের ব্যবস্থা যোগ করা, তদন্ত কমিটি এবং কারণ শোনার সুযোগ রাখা হয়েছে ।
সারাংশ:
বিষয়
মূলঅধ্যাদেশ (২৫মে)
সংশোধিতরূপ (৩জুলাই)
শাস্তির ধরন
চাকরিচ্যুতি, অবসর, পদ হ্রাস
শুধুমাত্র বাধ্যতামূলক অবসর
তদন্ত ব্যবস্থা
এককভাবে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত
৩ সদস্য তদন্ত কমিটি (১ নারী সদস্য)
আপিল-পথ
সীমিত, রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত
PSC-র মতামত + আপিলের সুযোগ
প্রভাবওবিতর্ক:
সরকারের যুক্তি: দ্রুত ও কার্যকরভাবে শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব; কারণের নোটিশ ও আপিল ব্যবস্থা থাকায় এটি ন্যায়বিচারের মানদণ্ড মেনে চলে ।
সমালোচনা: অভিযুক্ত কর্মচারীর চাকরির নিরাপত্তা ও মুক্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে; কারণ “প্ররোচনা” বা “গাফিলতি” উদ্ধৃতিতে প্রতিহিংসামূলক ব্যবহারের সুযোগ আছে ।
প্রচলিত ভাবনায়: অনেকেই মনে করেন, “জনস্বার্থে” দৃষ্টায় পদক্ষেপ হলেও সেই শব্দটি আইনে অকপটে সংজ্ঞায়ন করা হয়নি, ফলে অপব্যবহার হতে পারে ।
Leave a Reply