বাংলাদেশে অনলাইনে সারাবছর আয়কর রিটার্ন (ই-রিটার্ন) দেওয়া যাবে, কিন্তু সময় পিছিয়ে দিলে বাড়তি টাকা (সুদ/জরিমানা) গুনতে হবে। নিচে বিস্তারিত হল: ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সারা বছর অনলাইনে রিটার্ন দিতে পারবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তবে সে জন্য ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। সর্বোচ্চ ২৪ মাসের জন্য ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত এই সুদ আরোপিত হবে। যারা রিটার্ন দিতে দেরি করবে তাদের জরিমানা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অনলাইনে রিটার্ন জমা বন্ধ হয়ে যাবে না। ৩৬৫ দিনই এটা করা যাবে। যারা রিটার্ন দিতে দেরি করবে তাঁদের জন্য হিসাব অন্য রকম হবে। তাঁদের ব্যয় বাড়বে; ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
১) সারাবছর অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া যাবে:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) ঘোষণা করেছে যে এখনকার ই-রিটার্ন ব্যবস্থা এমনভাবে চালু করা হয়েছে যাতে করদাতা আয়ের ট্যাক্স দিবস (৩০ নভেম্বর) এর পরেও অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারে সারাবছর।
২)সময়ের বাইরে দিলে বাড়তি টাকা (সুদ/জরিমানা) লাগবে:
নিয়ম অনুযায়ী:
যদি নির্ধারিত সময়ের (৩০ নভেম্বর) পর অনলাইনে রিটার্ন দাও,
তাহলে ট্যাক্স এর উপর বাড়তি খরচ/সুদ (penalty) দিতে হবে।
সুদ/বাড়তি টাকা কেমন হবে?
সংক্ষেপে:
| বিষয় | নিয়ম |
| অনলাইনে সারাবছর রিটার্ন দেওয়া | হ্যাঁ, সম্ভব |
| সময়ের বাইরে করলে কি হবে? | বাড়তি টাকা দিতে হবে (সুদ/জরিমানা) |
| কত টাকা বাড়বে? | মাস প্রতি ~২%, সর্বোচ্চ ৪৮% |
| শিথিল/ছাড় আছে? | শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে অনুমতি হয়ে থাকে (যেমন বয়স ৬৫+, প্রতিবন্ধী ইত্যাদি) এটি মূলত বাধ্যতামূলক অনলাইনের নিয়মের বাইরে যেতে দেয়, কিন্তু অর্থ পরিশোধের শর্ত আলাদা |
টিপস:
সময়মতো (৩০ নভেম্বরের ভেতর) অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে বাড়তি টাকা লাগবে না।
সময়ের পরে দিলে নিয়মিত সুদ হিসেবে বাড়তি টাকা গুনতে হয়।
রিটার্ন অনলাইনে দিতে গেলে e-Return সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে (বা আগে থেকে TIN থাকতে হবে)।
Leave a Reply