অনলাইন ই–রিটার্ন (ই-রিটার্ন) জমায় করদাতাদের মধ্যে বড় ধরনের ভোগান্তি দেখা দিয়েছে বিশেষ করে যারা প্রযুক্তি ব্যবহারে কম সুদক্ষ, যেমন বয়স্ক বা বঞ্চিত করদাতা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃপক্ষের ই–রিটার্ন সহায়তা বুথগুলো প্রায় ফাঁকা থেকেছে। নিচে বিস্তারিতভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হল:
১. অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক হওয়ায় ভোগান্তি:
৩. করদাতাদের অসুবিধার মূল কারণ:
প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব: অনেক বয়স্ক বা কম সক্ষম করদাতা অনলাইনে রিটার্ন ফাইলিং বোঝেন না।
সহায়তা কেন্দ্র ঠিকমতো কাজ করছে না: বুথগুলোতে সেবা বা কর্মী থাকলেও কার্যকর সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রক্রিয়া ও কাগজপত্রের জটিলতা: অনলাইনে জমা দিতে প্রয়োজনীয় তথ্য, ব্যাংক বিবরণী, ছবি এবং জাতীয় পরিচয়ভিত্তিক মোবাইল নম্বর থাকা আবশ্যক যা অনেকের কাছে জটিল অনুভূত হচ্ছে।
৪. অনেক করদাতা অনলাইনে জমা দিতে পারলেও সমস্যা বড়:
যদিও এনবিআর জানিয়েছে অনলাইনে রিটার্ন জমার সংখ্যা বাড়ছে (মিলিয়নেরও বেশি নিবন্ধন ও মিলিয়ানদের রিটার্ন জমা) এবং সেটি সফলভাবে চলছে, তবুও অনেক ছাঁটাই বা অসুবিধা করদাতারা ব্যাস্ত বা সমস্যায় পড়ছেন।
৫. এনবিআর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ:
উপসংহার:
এবারের নতুন নিয়মে অনলাইন রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হওয়ায় অনেক করদাতা বিশেষ করে বয়স্ক ও প্রযুক্তিগতভাবে অনভিজ্ঞ সমস্যায় পড়েছেন। অনেক স্থানে ই-রিটার্ন সহায়তা বুথ কার্যকরভাবে কাজ করছে না, যেখানে করদাতারা সহায়তা পাবেন এমন বুথগুলো ফাঁকা বা কর্মী অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনবিআর নির্দেশনা দিলেও বাস্তবে সহায়তা পৌঁছাতে আরও কার্যকর উদ্যোগের প্রয়োজন দেখা যাচ্ছে।
Leave a Reply