বাংলাদেশে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়তে পারে দ্বিতীয় দফায় আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ দফায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে করদাতাদের সুবিধার্থে রিটার্ন দাখিলের সময় ১৫ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এনবিআর সূত্র জানায়, প্রায় প্রতি বছর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো হয়। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় সময় বাড়ছে। তবে এবার অনলাইনে রিটার্ন বা ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করায় করদাতাদের প্রস্তুতির বিষয়ও বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়াতে এই সময় বাড়ানো হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) বর্তমানে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়াতে পরামর্শ/পরিকল্পনা করছে, মূলত অনলাইন রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়িয়ে ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত করার প্রস্তাব চলছে।
NBR চেয়ারম্যানও বলেছেন, সরকার চাইলে সময় বাড়ানো যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।
মূলত সময় বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর ➝ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫করা হয়েছে;
এর ফলে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
কারণ:
• অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করায়,
• করদাতাদের অনুরোধ/সমস্যা বিবেচনায়
সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক হওয়ায় অনেক করদাতা সময় চাইছে।
অনেক মানুষ এখনও রিটার্ন জমা দিতে পারেনি।
ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের অনুরোধ ও আবেদন বিবেচনা করা হয়েছে।
NBR বলেছে যদি নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর (extended deadline) রিটার্ন জমা দেন, তাহলে জরিমানার বিষয় নাও হতে পারে (নতুন আদেশে এ তথ্য থাকতে পারে)।
তবে সময়ের বাইরে দাখিল করলে সাধারণত আয়কর আইনের আওতায় জরিমানা/লেট ফি লাগতে পারে।
যত দ্রুত সম্ভব ই–রিটার্ন সিস্টেমে লগ-ইন করে দাখিল করুন।
অনলাইন সাবমিশনে সমস্যা হলে ডেপুটি কমিশনারের কাছে আবেদন করতে পারেন নির্দিষ্ট কারণ সাপেক্ষে। সময় বাড়ানো হলেও সময়সীমার ভেতর দাখিল করলে সুবিধা থাকে (জরিমানামুক্ত)।
| বিষয় | অবস্থা |
| পুরোনো সময়সীমা | ৩০ নভেম্বর |
| নতুন সময়সীমা | ৩১ ডিসেম্বর (পরিকল্পিত/নির্ধারিত) |
| বাড়ার সম্ভাবনা | সরকার চাইলে আরও ১৫ দিন–১ মাস পর্যন্ত |
| অনলাইন জমা বাধ্যতামূলক | হ্যাঁ (অনেক ক্ষেত্রে) |
Leave a Reply