প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ যে বিদায়ী অভিভাষণ (14 ডিসেম্বর 2025) দিয়েছেন, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব বক্তব্য নিচে সন্নিবেশিত করে দেওয়া হলো সম্পূর্ণ ও বিস্তারিত সারসংক্ষেপ:
১. বিচার বিভাগ ও ব্যক্তিগত গঠন–মূল্য:
- প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বিচারক হিসেবে শুধু আইনের জ্ঞানই যথেষ্ট নয় বিচারকদের জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত গভীর জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাস, এবং অহরহ পড়াশোনা ও গবেষণার মাধ্যমে নিজের দক্ষতা উন্নত করা।
- তিনি বিচারকদের সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস, অর্থনীতি, রাষ্ট্রচিন্তা ইত্যাদি বিষয়ের ওপরও জ্ঞান বিস্তারের পরামর্শ দিয়েছেন শুধু প্রথাগত আইনি পড়াই নয়।
২. নৈতিকতা ও বিচারব্যবস্থার মর্যাদা:
- তিনি বললেন, আইনের কোনো বিধানই স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারবে না যদি সমাজে মানুষের মন দুর্নীতি, অবিচার ও অযথাই ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষায়আবদ্ধ থাকে। তাইনৈতিক সততা ও নিষ্ঠা বিচারব্যবস্থায় অপরিহার্য।
- বিচার বিভাগের স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মতো কাঠামোগত উদ্যোগগুলো তখনই অর্থবহ হবে যদি বিচারক নিজেকে ব্যক্তিগত অসৎ আচরণের থেকে আলাদা রাখতে পারে।
৩. দুর্নীতি ও অসৎ আচরণের বিরুদ্ধে ঘোষণা:
- তিনি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এবং অন্যান্যের দিকে দোষ চাপানো বা অপেক্ষা করা চলবে না বিচারকরা নিজ দায়িত্ব পূর্ণভাবে পালন করবেন। বিচার বিভাগের মানুষকে হয়রানি করা বা বিচারালয়ে অনুপযুক্ত আচরণ করা হলে, সেটা বিচার বিভাগের প্রাসঙ্গিকতাকে ক্ষুণ করবে।
৪. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কাঠামোগত সংস্কার:
- প্রধান বিচারপতি পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি, এবং এই স্বাধীনতা শুধু শোক বা রোডম্যাপকথা নয়, বাস্তবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
- তিনি সদস্যদের রাজনৈতিক প্রভাব থেকে উর্ধ্বে উঠে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন, অর্থাৎ বিচারক হিসেবে নিজেদের রাজনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত রাখার গুরুত্বতুলে ধরেছেন।
৫. বিচার বিভাগের সামগ্রিক উন্নয়ন:
- প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের বর্তমান প্রতিফল ও উন্নয়ন উদ্যোগগুলো যেমন প্রযুক্তিনির্ভর সেবা, দক্ষতা বৃদ্ধি, এবং বিচারিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা এগুলো সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন এবং এগুলোকে ধারাবাহিক রাখার গুরুত্ব বলেছেন।
- তিনি সতর্ক করে বলেছেন, শুধুমাত্র মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিকরাই যথেষ্ট নয়, বরং গুণমান নিশ্চিত করা ও দ্রুত ও ন্যায্য বিচারের মধ্যে সুষম সমন্বয় সাধন করতেই হবে।
সংক্ষিপ্তভাবে মূল বার্তা:
🔹 বিচার বিভাগকে নৈতিক, জ্ঞানভিত্তিক ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
🔹 বিচারকদের মনকে দুর্নীতি ও ব্যক্তিগত স্বার্থ থেকে আলাদারাখতে হবে।
🔹 বিচারিক স্বাধীনতা বাস্তবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাঠামোগত সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে।
🔹 অসৎ বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
🔹 বিচারকদের রাজনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply