হাইকোর্ট সরকারি চাকরিজীবীরা অবসরের ৩ বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এমন একটি বিধানের ওপর হস্তক্ষেপ করে নিএবং এটি বৈধ বলে ধরে নিয়েছে। এর সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:
হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরপিও-র (Representation of the People Order, 1972) ধারাটি বহাল রেখেছে। এর ফলে,
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবসরের পর ৩ বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
রিট আবেদনটি আদালত কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে এবং আরপিও-র12(1)(c)(f) ধারা-র বৈধতার ওপর হস্তক্ষেপ করেনি।
আবেদনের পক্ষে উল্লেখ ছিল, রিটকারী তখন প্রার্থী নন এবং তার চাকরিও ছিল চুক্তিভিত্তিক। আদালত এটি প্রি-ম্যাচিউর (অপরিপক্ক) বলে বিবেচনা করে আবেদনটি বাদ দিয়েছে।
যে ব্যক্তি গণপ্রজাতন্ত্র বা কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ বা প্রতিরক্ষা সেেবায় চাকরি থেকে অবসরে গেছে বা ইস্তফা দিয়েছে, তিনি তিন বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এর মানে হলো সরকারি চাকরিজীবীরা অবসরের পরপরই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না; তাদের জন্য কমপক্ষে ৩ বছর অপেক্ষা করা বাধ্যতামূলক।
পূর্বে হাইকোর্ট একাধিক রিট পিটিশন খারিজ করেছে যেখানে এই বিধানকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল যে এটি সমান অধিকার ও আইনে বিরোধী কারণ বামে বলা হয় নাগরিকদের ভোটে অংশ নেওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু বিচারকরা মত দিয়েছেন যে সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরপ্রাপ্তার পরও তাদের প্রভাব সরকারি কাজে বা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় রয়ে যেতে পারে, ফলে আইন প্রতিষ্ঠান এই বিধান রেখে থাকে।
এই নিয়ম শুধু বেসামরিক চাকরিজীবীদের জন্য নয়; সামরিক কর্মকর্তা ও অন্যান্য সরকারি পরিষেবায় চাকরির পরও তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়।
| বিষয় | বিস্তারিত |
| বিধান | সরকারি চাকরিজীবীরা অবসরের পর ৩ বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না |
| আইনের উৎস | Representation of the People Order, 1972 – ধারা 12(1)(f) |
| হাইকোর্টের অবস্থান (ডিসেম্বর ২০২৫) | বিধান বহাল, রিট বাতিল/কার্যতালিকা থেকে বাদ |
| উদ্দেশ্য (আইনি যুক্তি) | অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রভাবকে সাময়িকভাবে সীমিত রাখা |
Leave a Reply