অনলাইনে রিটার্ন জমা ২০ লাখ ছাড়াল এবং এর প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ হিসাবে এই চিত্র উঠে এসেছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছে এনবিআর। গত ৪ আগস্ট অনলাইনে রিটার্ন জমার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এক দফা সময় বাড়ানোর পর আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবার অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)–র একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ করবছরের শুরু (অনলাইনে রিটার্ন দাখিল চালু হওয়ার পর) থেকে এখন পর্যন্ত ২০ লাখেরও বেশি করদাতা অনলাইনে (ই-রিটার্ন) আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। বুধবার একটি সংবাদে “অনলাইনে রিটার্ন জমা ২০ লাখ ছাড়াল” শিরোনামেও বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।
- এনবিআর জানিয়েছে, গত ৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইন রিটার্ন সেবা (ওয়েব পোর্টাল: etaxnbr.gov.bd) উদ্বোধন করা হয়। এর পর থেকে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কেন স্বল্প সময়ে এত বেশি জমা পড়েছে:
- ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হয়েছে বেশিরভাগ ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ক্ষেত্রে, (কিছু বিশেষ শ্রেণি ছাড়া) ফলে কাগজে নিবন্ধনের বদলে অনলাইনে জমা দিতেই হচ্ছে। প্রথম দিনে মাত্র ১০ হাজারের মতো করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন; কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতি সহজ, দ্রুত এবং সুবিধাজনক হওয়ায়, করদাতাদের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
- পূর্ববর্তী অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলকারী ১৭ লাখের বেশি করদাতা ছিল এবার সেই সংখ্যাটা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে।
- গুরুত্ব ও কি নির্দেশ করে এই তথ্য:
- এই রেকর্ড দেখায় যে, ডিজিটাল ফাইলিং বা ই-রিটার্ন সিস্টেম দেশজুড়ে দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে করদাতারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করছে।
- এনবিআর-র জন্য কর সংগ্ৰহে স্বচ্ছতা, ত্রুটি হ্রাস এবং সময় ও খরচ কমানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
- কর প্রশাসন ডিজিটাইজেশনের দিকে পা টেকেছে; ভবিষ্যতে হয়তো রিটার্ন পারিশ্রমিক অন্যান্য কর-রিলেটেড কাজ অনলাইনে আরও সহজ হতে পারে।
- এর ফলে কাগজভিত্তিক কাগজ-পত্র, ম্যানুয়াল প্রসেসিং, সময়-খরচ কমবে; এবং সাধারণ করদাতার জন্য কর দাখিল আরো সহজ হবে।
কিছু উদ্বেগ বা সাবধানতার দিক:
- অনলাইনে রিটার্ন দাখিল হলেও সঠিক তথ্য দেওয়া কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ভুল হলে পরবর্তীতে সংশোধন বা অতিরিক্ত কর দিতে হতে পারে।
- ই-ফাইলিং সিস্টেমে সাইবারসিকিউরিটি, গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
- অনলাইনে ফাইলিং না পারলে (কিন্তু বাধ্যতামূলক হলে) আইনগত সমস্যা হতে পারে তাই কথা মতো নিবন্ধন ও লগইন নিশ্চিত করতে হবে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply