“কর রেয়াত (Tax Rebate) কেন বাতিল বা কমানো হতে পারে”এর সম্ভাব্য কারণগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করছি। এগুলো নীতিগত, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক যুক্তির ভিত্তিতে দেওয়া:

১. রাজস্ব ঘাটতি পূরণ ও সরকারের আয় বাড়ানোর প্রয়োজন:
অনেক সময় সরকার দেখে যে রেয়াতের কারণে রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় ব্যয় (স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, ভর্তুকি ইত্যাদি) মেটাতে পর্যাপ্ত আয় না থাকলে কর রেয়াত বাতিল বা কমানো হতে পারে।
২. রেয়াতের অপব্যবহার বা জালিয়াতি:
অনেক দেশে দেখা যায়:
এগুলো রোধ করতে সরকার রেয়াত বাতিল বা কড়াকড়ি আরোপ করে।
৩. কর ব্যবস্থায় বৈষম্য সৃষ্টি হওয়া:
রেয়াত সাধারণত নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা খাতে দেওয়া হয়।
ফলে:
এটি সমতা ও ন্যায্যতা নীতির বিরোধী হতে পারে। তাই সরকার কর কাঠামোকে সরল ও সমান করতে রেয়াত বাতিল করতে পারে।
৪. রেয়াত প্রত্যাশিত ফল না দেওয়া:
কর রেয়াত দেওয়া হয় কোনো লক্ষ্য পূরণের জন্য। যেমন:
যদি দেখা যায় রেয়াত দেওয়ার পরও এসব লক্ষ্যে অগ্রগতি নেই, তাহলে সরকার সেটি তুলে নিতে পারে।
৫. দুর্নীতি ও প্রশাসনিক জটিলতা:
রেয়াত দিতে গেলে:
এগুলোতে প্রভাবশালী গোষ্ঠীর প্রভাব বা দুর্নীতি দেখা দিলে সরকার পুরো রেয়াত পদ্ধতিই বাতিল বা সংস্কার করতে পারে।
৬. কর কাঠামো সরলীকরণ:
অনেক দেশে কর আরোপ জটিল হয়, কারণ:
সরকার চাইলে কর ব্যবস্থাকে সহজ করতে ও নিরপেক্ষ করনীতির জন্য রেয়াত তুলে দিতে পারে।
৭. আন্তর্জাতিক সংস্থার নীতি অনুসরণ:
বিশ্বব্যাংক, IMF, WTO প্রভৃতি অনেক সময় পরামর্শ দেয়:
এ কারণেও রেয়াত বাতিল হতে পারে।
৮. করভিত্তি (Tax Base) সম্প্রসারণ:
অর্থনীতি বড় হলে করের অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি হয়।
রেয়াত থাকলে অনেক ব্যক্তি/খাত করভিত্তির বাইরে চলে যায়।
তাই সরকার ট্যাক্স বেইস বাড়াতে রেয়াত তুলে দিতে পারে।
Leave a Reply