Japan Meteorological Agency (JMA)-সহ জাপানের সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, আগামী দিনে ৮ বা তার বেশি মাত্রার (“মেগাকুইক / megaquake”) ভূমিকম্প হতেই পারে; এবং তারা যারা জাপানে বাস করেন বা সেখানে আছেন তাদের জন্য কী সতর্কতা দিয়েছেন।
কেন এই আশঙ্কা:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় জাপানের উত্তরে উপকূলীয় Aomori Prefecture ও তার কাছাকাছি সমুদ্রের দিকে ৭.৫–৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। কম্পন অনুভূত হয় একাধিক প্রিফেকচারে।
- কম্পনের তীব্রতা ও এ ধরনের ভূমিকম্পের “foreshock” (আগাম কম্পন) হিসেবে এর সম্ভাবনা বিবেচনা করে, JMA এবং সরকারের কর্তৃপক্ষ “মেগাকুইক” (ম্যাগনিচুড ৮ বা তার বেশি)-র সম্ভবনা নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
- এই সতর্কতা ২০২২ সালের পরে প্রথমবারের মতো এসেছে, যা দেখায়, বর্তমান ভূমিকম্প-জনিত টেকটোনিক চাপ ও ভূমিকম্পকাতর অঞ্চলগুলোর সিরিয়াস ঝুঁকি কেবল অস্বাভাবিক নয়। যদিও “মেগাকুইক”-র সম্ভাবনা সংখ্যায় ১ % (বা “relatively low but elevated” হিসাবে) বলা হয়েছে, তাও সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সরকারের ও কর্তৃপক্ষের দেওয়া সতর্কবার্তা ও পরামর্শ:
JMA এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ জানিয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে পরবর্তী ভূমিকম্প বা সুনামির ঝুঁকি রয়েছে বিশেষ করে উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং সেইসব জায়গায়, যা সাবডাকশন জোন, সমুদ্রতীর, বা গভীর ফুর্স্ত ট্রেঞ্চ (trench) এর নিকটে।
ভোগ্য সামগ্রী ও জরুরি সামগ্রীর (emergency kit) প্রস্তুতি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পানি, শুকনো খাবার, জরুরি ঔষধ, টর্কি / ল্যাম্প, ন্যূনতম জরুরি কাগজপত্র, মোবাইল চার্জার, ইত্যাদি। আসবাবপত্র বা ভারি বস্তু মজবুতভাবে স্থির রাখার, জানালা–দরজা আগে থেকে ঠিকমতো লক করার, জরুরি পদক্ষেপের জন্য বাসিন্দাদের সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার, দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জরুরি দল, উদ্ধারবাহিনী, সুনামি সাবধানতা লাইটস, আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রেখে। সরকার ও disaster-management বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সাধারণ জীবনযাত্রা চালু থাকবে, তবে “সতর্ক সচেতনতা” বজায় রাখা জরুরি; আতঙ্ক বা প্যানিক নয় প্রস্তুতি।
ঝুঁকি কতটা:
এই ঝুঁকি “নির্ধারিত ভবিষ্যদ্বাণী” নয় অর্থাৎ, JMA স্পষ্ট করে বলেছে ৮ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনিবার্য নয়, কিন্তু গত ভূমিকম্প ও বর্তমান টেকটোনিক উত্তেজনাকে দেখিয়ে সম্ভাবনা “উচ্চতর” হয়েছে। যদি মেগাকুইক ঘটে, সম্ভাব্য সুনামি, ঘূর্ণিঝড়, বড়ো বন্যা ও বড় দলিলীয় ঘরবাড়ি ধ্বংস, বহু মানুষের বাস্তুহারা, ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হতে পারে; এমন সময় জন্য প্রশাসনিক প্রস্তুতি ও নাগরিক সচেতনতা জরুরি। বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকা, সমুদ্রতীরবর্তী শহর, সাবডাকশন জোনের কাছে গিয়ে থাকা মানুষরা অতিরিক্ত সতর্ক কারণ সুনামি ও ভূ-দেহ বিপত্তির সম্ভাবনা আছে।
জরুরি ব্যাগ (emergency kit) তৈরি রাখুন: পানি, শুকনো খাবার, ব্যাটারি, মোবাইল পোর্টেবল চার্জার, ফ্লাশলাইট, জরুরি কাগজপত্র, ঔষধ, মাক্স, জরুরি ফোন নম্বর ইত্যাদি।
- বাড়ির ভিতর ভারি আসবাবপত্র, ঝুলন্ত জিনিস, কাঁচ–জানি, দরজা–জানালা মজবুত করুন, যাতে কম্পনের সময় ক্ষতি বা দুর্ঘটনা কম হয়।
- যদি উপকূলবর্তী এলাকায় থাকেন সুনামি বা সুনামি-অ্যালার্টে দ্রুত উচ্চ-ভূমিতে বা নিরাপদ আশ্রয়ে গমন করার পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি রাখুন।
- স্থানীয় ও জাতীয় জরুরি সেবা, উদ্ধার বিভাগ, আশ্রয় কেন্দ্র, নিকটস্থ হাসপাতাল বা জরুরি দফতরের যোগাযোগ নম্বর আগে থেকে সেভ/রেকর্ড করে রাখুন।
- সংবাদ ও অফিসিয়াল সতর্কবার্তা নিয়মিত অনুসরণ করুন রেডিও, টিভি, সরকারি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এবং গুজব বা অপ্রীতিকর তথ্য থেকে সচেতন থাকুন।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply