1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
October 3, 2025, 1:40 am
Title :
টাকা পাচার ঠেকাতে বিশেষ ইউনিট গঠন করতে এনবিআরের নতুন উদ্যোগ প্রথমে ‘ট্যাক্স’ দিয়ে পরে অন্যান্য ব্যয় করার পরামর্শ এনবিআর চেয়ারম্যানের ২০ লাখ লোককে প্রতি বছর করের আওতায় আনতে হবে: ফরাসউদ্দিন মধ্যবিত্তের ভরসা সঞ্চয়পত্র: কোনটিতে কত মুনাফা ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলেন ভারতের আদালত প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ মনিটরিং করা হবে ‍নিরাপত্তা: কোস্টগার্ড মহাপরিচালক বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম প্রথমবার রিটার্ন দেওয়ার সময় যে ৫ টি ভুল করা যাবে না দুর্গা পূজার ছুটিতে শুল্ক স্টেশনে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি ট্যাক্সের ফাঁকি কমাতে নতুন কী উদ্দ্যোগ নিয়েছে : এনবিআর

এসিসি প্রধানের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ জানাবে ভারত

  • Update Time : Monday, September 29, 2025
  • 69 Time View

“এসিসি” বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে Asian Cricket Council (ACC)  এশিয়া ক্রিকেট সংস্থা। এবং “আইসিসি” হচ্ছে International Cricket Council (ICC)

বর্তমানে, ACC প্রধান এবং Pakistan Cricket Board (PCB) চেয়ারম্যান Mohsin Naqvi যিনি পেশাগতভাবেও পাকিস্তানের একটি মন্ত্রীর অভিভুক্ত  তিনি ACC প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। এই দ্বৈত ভূমিকা নিয়ে ভারত ও BCCI (Board of Control for Cricket in India) মধ্যে কিছু টানাপোড়েন রয়েছে।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

কিছু ঘটনার উদাহরণ:

  • Asia Cup 2025 এর ফাইনাল শেষে ভারতীয় দল Mohsin Naqvi থেকে ট্রফি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।
  • ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড BCCI পরিকল্পনা করেছিল ACC এর সভায় অংশগ্রহণ না করার, যদি এই সভা Dhaka-তে অনুষ্ঠিত হয়।
  • ACC সভাপতির অনুপস্থিতি অথবা বিতর্কিত বক্তব্য ও আচরণ কারণেও আলোচনায় এসেছে।

অভিযোগ”–এর অর্থ ধরণ:

ICC একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদি BCCI বা ভারত চায় ACC প্রধান Mohsin Naqvi-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে, তাহলে এটি হতে পারে নিম্নলিখিত ধরনের অভিযোগ:

  1. Conflict of Interest (স্বার্থবিরোধ):
     ACC প্রধান হিসেবে দায়িত্ব থাকা থেকে হলেও, একই ব্যক্তি PCB চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানি মন্ত্রী হিসেবে থাকা অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বার্থবিরোধ হতে পারে।
    যদি ICC বা ACC-এর নীতিমালায় conflict-of-interest বিষয়ক কিছু ধারা থাকে, তাহলে তা ভঙ্গ করা হয়েছে এ ধরনের অভিযোগ তোলা যেতে পারে।
  2. অনুপযুক্ত আচরণ, পক্ষপাতদুষ্টতা বা নিয়মউল্লঙ্গ্ন:
     ACC বা ICC নিয়মবিধি অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে কাজ করার বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে। যদিACC প্রধানের কথাবার্তা বা ভূমিকা কোনও দেশের প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ বলে ধরা হয়, তাহলে সেটি অভিযোগের বিষয় হতে পারে।
    উদাহরণস্বরূপ, ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠান, শিষ্টাচারিক আচরণাদি বা দলগুলোর প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি না রাখা ইত্যাদি বিষয়গুলি বিবেচনায় আসতে পারে।
  3. প্রশাসনিক বা নীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা:
    ACC-এর সিদ্ধান্ত বা কর্মকাণ্ড যদি ICC-এর নীতির সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে ICC-এর নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে।
  4. প্রক্রিয়া বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনৈতিকতা :
  5. কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এমন প্রক্রিয়ায় যা স্বচ্ছ বা ন্যায়নিষ্ঠ নয় যেমন, সভার আয়োজন, ভোটাভুটি, বা ACC-র সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় প্রভৃতিতে।

অভিযোগ দায়ের করার পন্থা প্রক্রিয়া (সম্ভাব্য):

যদিও সব ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট মাধ্যম বা প্রক্রিয়া পাবলিকভাবে স্পষ্ট নাও থাকতে পারে, নিচে একটি সম্ভাব্য রূপরেখা দেওয়া হলো:

  1. অভিযোগ প্রস্তুতি:
    অভিযোগ দায়ের করার আগে প্রয়োজন হবে তথ্য ও প্রমাণ (সাক্ষ্য, বিবৃতি, নথি) সংগ্রহ করা।
    অভিযোগের ভিত্তি ও কাঠামো নির্ধারণ করা: কোন নিয়ম বা নীতিমালা লঙ্ঘন হয়েছে, কীভাবে হয়েছে, প্রভাব কী হয়েছে এই বিষয়গুলি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা।
  2. অভিযোগ দায়ের স্থান নির্ধারণ:
     ICC-এর আভ্যন্তরীণ নীতি অনুযায়ী “কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট” বিভাগ বা “নৈতিকতা/আচরণবিধি কমিটি” থাকতে পারে। এই বিভাগগুলোর কাছে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে।
    ACC-এর বা এশিয়া অঞ্চলের ক্রিকেট কনফেবের (Asian Cricket Council) অভ্যন্তরীণ অভিযোগ প্রক্রিয়া থাকতে পারে, যেখানে অভিযোগ লিখিতভাবে জমা দিতে হয়।
  3. নথি পত্র চালান:
     অভিযোগ পত্র যাতে অফিসিয়ালভাবে গ্রহণযোগ্য হয়, তা হয়তো ICC বা ACC অফিসে পাঠাতে হবে  ইমেইল, অফিসিয়াল চিঠি বা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে।
    অভিযোগপত্রে প্রমাণ, উপাত্ত ও যুক্তি সংযুক্ত রাখতে হবে।
  4. শুনানির সুযোগ:
     অভিযোগ পত্র গ্রহনের পর সম্ভাব্যভাবে একটি “হিয়ারিং” বা শুনানি হবে, যেখানে অভিযুক্ত (ACC প্রধান) ও অভিযোজিত পক্ষ (BCCI বা ভারত) তাদের বক্তব্য দেবেন।
     নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষ (যেমন ICC-এর এথিক্স কমিটি বা কোনও স্বায়ত্তশাসিত পরীক্ষক) সেই শুনানি পরিচালনা করতে পারেন।
  5. ফয়সালা কার্যকরী সিদ্ধান্ত:
     অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে ICC বা ACC উচ্চ স্তরের নীতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারে  যেমন ক্ষমতা হ্রাস করা, পদত্যাগ আদান, বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
     নমনীয়ভাবে বিবেচনা করা হতে পারে, বা অভিযুক্তকে আপিল করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

চ্যালেঞ্জ বাধা:

  • নিয়ম সংবিধানগত সীমাবদ্ধতা
    ICC ও ACC-এর অভ্যন্তরীণ সংবিধি বা আইন অনুযায়ী, তাদের মাথা (President) বা নির্বাহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার ধরণ ও সীমা থাকতে পারে, যা পরিবর্তন করা যায় না।
  • রাজনৈতিক কূটনৈতিক প্রভাব
    যেহেতু এখানে একটি দেশ ও তার প্রতিনিধির ভূমিকা রয়েছে, রাজনৈতিক চাপে কিছু ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হতে পারে।
  • প্রমাণ সংগ্রহ
    অভিযোগের পক্ষে শক্ত প্রমাণ (নথি, সাক্ষ্য, পাত্রের রেকর্ড) আনা কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে সিদ্ধান্তগুলি সাধারণত গোপনভাবে নেওয়া হয়।
  • নিরপেক্ষতা স্বচ্ছতার অভাব
    অভিযোগ প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ না হয়, অভিযুক্ত পক্ষ প্রভাব বিস্তার করতে পারে, যা শুদ্ধ অনুসন্ধানকে বিঘ্নিত করতে পারে।

বর্তমান সংবাদ বিবৃতি:

  • ভারতের ক্রিকেট দল Asia Cup 2025 এ ট্রফি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়, কারণ তারা ACC প্রধান Mohsin Naqvi থেকে ট্রফি নেওয়ার দৃশ্য থেকে বিরত ছিল। BCCI সংবাদে জানিয়েছে তারা ICC-এর কাছে একটি “formal protest” বা অভিযোগ দায়ের করবে।
  • এই বিষয়ে ICC বা ACC-র কোনো অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত যেমন প্রকাশিত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি (কম-কম সংবাদে)।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews