ইরান ওমান উপসাগরে (Gulf of Oman) একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে বলে ইরানি রাষ্ট্রীয় মিডিয়াজানিয়েছে। ইরান দাবি করছে জাহাজটি ৬ মিলিয়ন লিটার ‘অবৈধ/চোরাই ডিজেল’ জ্বালানি বহন করছিল, যা তাদের মতে আইনভঙ্গ করে পাচার করা হচ্ছিল। জাহাজটির সব নেভিগেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল বলে ইরানি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
ইরানি বাহিনী নিয়মিতভাবে এমন জাহাজ আটক করে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা দাবি করে, উপসাগরে অবৈধভাবে জ্বালানি পরিবহনের জন্য এসব জাহাজ জব্দ করা হয়।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
গত মাসে ‘অননুমোদিত পণ্য বহন করার অভিযোগে’ ইরান উপসাগরীয় জলসীমায় একটি তেল ট্যাঙ্কার জব্দ করেছিল। তারা দাবি করেছিল, এটি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নয়।
সর্বশেষ এই জাহাজ আটকের ঘটনাটি ঘটল যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে একটি তেল ট্যাঙ্কার জব্দ করার দুই দিন পর।
ওয়াশিংটন দাবি করেছে, সেই জাহাজটির ক্যাপ্টেন ভেনেজুয়েলা ও ইরান থেকে তেল পরিবহন করছিলেন। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে কথিত সম্পর্ক রাখার অভিযোগে মার্কিন ট্রেজারি ২০২২ সালে ভেনিজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
ঘটনার মূল তথ্য:
- জব্দকৃত ট্যাঙ্কার: ইরানি কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার (১২/১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) ওমান উপসাগরে ট্যাঙ্কারটিকে আটক করে।
- জ্বালানি কার্গো: প্রায় ৬,০০০,০০০ লিটার (৬ মিলিয়ন) ডিজেল জ্বালানি বহন করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
- অভিযোগ: ইরান বলছে, জাহাজটির নেভিগেশন সিস্টেম বন্ধ ছিল, বৈধ কাগজপত্র বা কার্গো ম্যানিফেস্ট ছিল না, এবং সম্ভবত এটি ইরানের নিচু দামের জ্বালানি পাচারে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
- স্ট্যাটাস: ট্যাঙ্কারটির নাম বা কোন দেশের পতাকাবাহী তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
-
- বাংলাদেশিসহ ক্র সদস্যদের অবস্থা:
- ক্রু সংখ্যা: জাহাজে মোট ১৮ জন ক্রু ছিল, যারা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ থেকে ছিলেন।
- বাংলাদেশি নাবিক: এদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকসহ ক্রুরা রয়েছেন, কিন্তু প্রত্যেকের নাম বা সংখ্যা সরকারিভাবে প্রকাশ হয়নি।
- গ্রেফতার/নির্দেশ: ইরানি কর্তৃপক্ষ পুরো ক্রুদের নেতৃত্বসহ আটক করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
- বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া: বর্তমানে বাংলাদেশ বা সংশ্লিষ্ট দূতাবাস থেকে কোনো বিস্তারিত মন্তব্য বা অফিশিয়াল বিবৃতি আজ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি (যেমন পর্যন্ত সংবাদ আছে তেমন কোনো তথ্য নেই)।
ইরানি কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে তদন্ত চলছে এবং ক্ষুদ্র আইনি বা নিরাপত্তা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।
- সাধারণভাবে, এধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস ও কনস্যুলার টিম ক্রুদের সাথে যোগাযোগ করে সাহায্য করে থাকে, কিন্তু এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও তথ্য সামনে আসেনি।
প্রসঙ্গ:
ইরান মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বড় জ্বালানি উত্পাদনকারী দেশ, যেখানে ভর্তুকি ও কম দামের জ্বালানি পাওয়া যায়। এই কারণেই এসব জ্বালানি বিদেশে পাচারের চেষ্টা বেড়েছে বলে ইরান বলছে, এবং তারা এই পাচার রোধে নিয়মিতভাবে নৌকাগুলি আটক করছে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply