উসমান দেম্বেলে এ বছর ব্যালন ডি’অর জিতে উঠলেন, এবং ল্যামিন ইয়ামালের প্রার্থিতা কি ছিল  আলাদাভাবে তুলনামূলক বিশ্লেষণও:

1. চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়:
   দেম্বেলে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (PSG)‑কে প্রথমবারের মতো UEFA Champions League জিতিয়ে দিয়েছিলেন, যা ক্লাবটির জন্য বহুকাল অপেক্ষার পর আসল বড় ট্রফি।
   এই বিজয়টি তার ক্যারিয়ারে একটি মাইলফলক, যা ব্যালন ডি’অর‑নির্বাচনে একটি বড় প্রভাব ফেলে।
2. গোল ও সহযোগীর পরিসংখ্যান:
   পুরো মৌসুমে দেম্বেলে প্রায় ৩৫ গোল করেছেন সব প্রতিযোগিতায়, এবং প্রায় ১৫–১৬টি অ্যাসিস্ট দিয়েছেন।
   লিগে তিনি শিকার করেছিলেন “লিগ ওয়ান”‑এর শীর্ষ গোলদাতা, এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে অবদান রেখেছেন।
3. টিম ট্রফি ও দলগত সাফল্য:
   PSG শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগই জিতেনি, তারা জিতেছে লিগ ওয়ান এবং কুপ দে ফ্রান্স সহ ঘরোয়া অন্যান্য ট্রফি।
4. প্লেয়ার হিসেবে দেম্বেলেকে অনেক সমর্থন পেয়েছেন কোচ লুইস এনরিকে, এবং দলের মধ্যে তার ভূমিকা ছিল কেন্দ্রীয়।
5. ব্যক্তিগত পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
   দেম্বেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লেয়ার অব দ্য সিজন পুরস্কারও পেয়েছেন বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি “সিজন অব দ্য ইয়ার” ধরনের জাতীয়/আঞ্চলিক পুরস্কার পেয়েছেন।

ইয়ামালের প্রার্থিতা ও বাধা:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

1. বয়স ও অভিজ্ঞতা:
   ল্যামিন ইয়ামাল মাত্র ১৮ বছর বয়স, তরুণ প্রতিভা হিসেবে তিনি ইতিমধ্যেই অসাধারণ পারফর্ম করেছেন, বারের পর বার “Kopa Trophy” (সেরা U21 খেলোয়াড়) জিতে উঠে এসেছেন। তবে বয়স কম হওয়ায় হয়তো পুরো মৌসুম জুড়ে তাঁর স্থায়িত্ব কিছুটা কম ধরা পড়েছে, বিশেষ করে বিপরীতে যারা ক্লাব‑এ বড় অর্জন করেছে।
2. ব্যক্তিগত পারফরমেন্স:
   ইয়ামাল বার্সেলোনার হয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন, এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক স্থানে দর্শক ও বিশ্লেষকদের মন কেড়েছেন। তবে তার পরিসংখ্যান (গোল/অ্যাসিস্ট/ম্যাচের গুরুত্ব) দেম্বেলের তুলনায় কিছু ক্ষেত্রে কম হতে পারে। বিভিন্ন প্রতিবেদন বলছে দেম্বেলের “মেমরি মুহূর্তগুলো”  যেমন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ক্লান্ত অবস্থা ও প্রতিপক্ষের ফ্রন্ট‑জিড়াতে গোল/অ্যাসিস্ট — এসব ক্ষেত্রে উচ্চ প্রভাব ফেলেছে।
3. টিম সাফল্য:
   ইয়ামাল খেলেছেন বার্সেলোনার হয়ে, যারা La Liga, Copa del Rey, ও অন্যান্য ঘরোয়া ট্রফি জয় করেছে, কিন্তু তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিশুদ্ধভাবে সেই রকম সফল হয়নি যে দেম্বেলের PSG হয়েছে। আন্তর্জাতিক ও ইউরোপিয়ান সাফল্যের পার্থক্য এখানে বড়।

বিচারকের দৃষ্টিকোণ (ভোটিং এবং মূল্যায়ন):

• ভারসাম্য: ব্যালন ডি’অর পুরস্কার শুধু গোল বা স্ট্যাটসের ভিত্তিতে দেওয়া হয় না—খেলোয়াড়ের ম্যাচ‑ম্যাচের প্রভাব, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পারফরমেন্স, ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভূমিকা ও ধারাবাহিকতা বিবেচিত হয়। দেম্বেলের সেইগুলি ছিল যথেষ্ট দৃশ্যমান। নির্বাচক ও অনুভূতি: বিচারকদের মনেও হয়তো তেমন খেলোয়াড় চাওয়া হয় যিনি বড় ম্যাচে পারফরমেন্স দিতে পারেন, ট্রফি জিততে সহায়তা করতে পারেন, এবং নিজের পরিবর্তন ও উন্নয়ন দেখিয়েছেন। দেম্বেলের ক্যারিয়ার‑উত্তরণ ও এটার আগের সময়ের তুলনায় এই মৌসুমে যে “প্রবণ পরিবর্তন” দেখা গেছে, সেটি একটি বড় ফ্যাক্টর।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী