“ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে, কোনো চাপে নয়” সংক্রান্ত বিষয়টি ফরিদা আখতার, বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান, সংশ্লিষ্ট তথ্য ও কিছু বিশ্লেষণ তুলে দেওয়া হলো:
রপ্তানির অনুমোদন এবং পরিমাণ:
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের বিশেষ অনুরোধে ১২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানির এই অনুমোদন এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে।
মৎস্য উপদেষ্টার বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গা:
ফরিদা আখতার বলছেন, ভারতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে রপ্তানি হচ্ছে — এটা কোনো চাপের বিষয় নয়।
দেশের মানুষের প্রয়োজন প্রথমে মেটাতে হবে “দেশের মানুষ ইলিশ খাবে, তারপর রপ্তানি করবে” এই নীতি বজায় রেখেছে সরকার। তিনি অতিরিক্ত বলছেন, রপ্তানি করার সময় মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি ধরা হবে যাতে রপ্তানি নিরুৎসাহিত নয় কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা নষ্ট না হয়।
নিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ব:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সরাসরি রপ্তানি সিদ্ধান্ত নেয়নি। রপ্তানির অনুমোদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্বে হয়েছে। উপদেষ্টা বলেছেন, যদি দেশের বাজারে ইলিশের দাম অত্যধিক বেড়ে যায়, তাহলে রপ্তানি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভাবা হবে। তবে রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া তার কাজ নয়।
কিছু শর্ত ও সতর্কতা:
রপ্তানি তুলনামূলক কম পরিমাণে হচ্ছে, যাতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রভাবিত না হয়। অবৈধ জাল তৈরি ও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষণ ও সম্ভাব্য প্রভাব:
এই সিদ্ধান্ত ও বক্তব্য থেকে যে বিষয়গুলো বোঝা যায়:
বহিরাগত অনুরোধ ও আবেদনের ভিত্তি:
সরকারের মতে, ভারতের তরফ থেকে অনুরোধ এসেছে এবং সেই অনুরোধের ভিত্তিতেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। সরকারের নীতি হলো দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়া, তারপর রপ্তানি।
মূল্য ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে শুধুমাত্র “অনুরোধ” মেনে চলে পুরো ব্যাপার নয়; রপ্তানি পরিমাণ কম রাখা হচ্ছে, দাম একটু বেশি ধরা হচ্ছে, যাতে অভ্যন্তরীণ বাজারে অভাবে পড়া না হয়।
নিয়ন্ত্রণ ও দায়বদ্ধতা স্পষ্ট করা হয়েছে মৎস্য মন্ত্রণালয় বলছে তারা রপ্তানির সিদ্ধান্ত বা অনুমোদনের জন্য দায়ী নয়, তবে অবৈধ কার্যকলাপ রোধ ও জাটকা সংরক্ষণ, বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা থাকবে।
সঙ্কট ও জনসচেতনতা দেশে ইলিশের চাহিদার তীব্রতা, উৎপাদন ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত উদ্বেগ আছে। এই প্রেক্ষাপটে রপ্তানি বিষয়ক সিদ্ধান্তগুলো বেশ সংবেদনশীল।
রাজনৈতিক ও জনমত এই রপ্তানিকরণ বিষয়ে জনমত বিরোধিতার মুখেও পড়ছে; “দেশের মানুষের অধিকার আগে” এমন উদ্দীপনা রয়েছে। সেই কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে এটা চাপের ফল নয়, নীতি ও শর্তাবলী মেনে চলছে।
Leave a Reply