“আমরাভিক্ষানই, অধিকারচাই” স্লোগানের প্রেক্ষাপট, তা কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং গাজাবাসীর সংগ্রাম কীভাবে ফুটে উঠছে সেগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে দেওয়া হলো:
অন্য একজন ফিলিস্তিনি মা, যিনি তিন দিন ধরে তার পরিবারের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, বলেন, ‘আমার শিশু ক্ষুধায় কাঁদে, আর আমাকে এই অপমান সহ্য করতে হয়? সাহায্য নয়, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই।’
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
বিমান থেকে ফেলা বেশিরভাগ সহায়তা সমুদ্র বা যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় পড়ছে, যা সংগ্রহ করা বিপজ্জনক। এছাড়াও অনেক সময় সহায়তার প্যাকেট মাটিতে পড়ে ভেঙে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
‘আমরাভিক্ষানই, অধিকারচাই’ এরমূলবার্তাওপ্রেক্ষাপট:
এটি শুধু ত্রাণ বা সহায়তা না চেয়ে, বেসামরিক মানষিক ও সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীনতা এবং মর্যাদা চাওয়া একটি অধিকার দাবি। গাজায় এখন যাতে জীবনযাপনে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়, সে বার্তা এই স্লোগান বহন করে। এটি অনুরোধ নয়, বরং স্বীকৃত এবং মানবিক অধিকারকে দাবি করে।
বর্তমানে গাজা যেতে থাকা পরিস্থিতি ফিলিস্তিনিদের ওপর একটি ক্যাটাসট্রফিক হিউম্যানিটারিয়ান ভয়াবহতা। জাতিসংঘ ও দাতব্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, বাস্তব চরম দ্রব্যমূল্য, পানির সংকট, খাদ্যকল্যাণ চরম বিপর্যয়, এবং শিশুদের মারাত্মক অনাহারে মৃত্যু বাড়ছে ।
গাজায়নাগরিকপ্রতিবাদেরগতিপথ:
কন্ট্রোলওক্ষোভ: ‘আমরাবাঁচতেচাই’, ‘হামাসআউট’
মার্চ ২০২৫ সালে উত্তরের গাজা (বিশেষ করে বেইত লাহিয়া) ও কেন্দ্রীয় এলাকায় অবস্থানকারী হাজারো মানুষ হামাসের শাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিবাদ শুরু করে। তারা ‘Hamas out’, ‘We want to live’, ‘Stop the war’, ‘Our children’s blood is not cheap’ ইত্যাদি স্লোগান শ্লোগান করে ।
এটি ছিল ইসলামিক ব্লকের বিরুদ্ধে বিরল একসাথে প্রকাশ্য ক্ষোভ সাধারণ মানুষ যুদ্ধ ও দমনের রাজনীতির সাথে আর মিতব্যয় হতে চান না ।
আন্তর্জাতিকসমর্থনআন্দোলন:
’Global March to Gaza’: ১৫-১৯ জুন ২০২৫ তারিখে ক্যায়রো থেকে রাফাহ সীমান্ত পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ও ছাবার সৃষ্টির মাধ্যমে গাজার অবরোধ ভাঙার চেষ্টা হয়েছিল ।
জুলাই২০২৫–এর ‘Gaza Freedom Flotilla’: ইতালি থেকে শুরু হওয়া ‘Handala’ নামক যান আন্তর্জাতিক উদারতা ও মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজার উদ্দেশ্যে প্লটিলা চালায় blockade ভাঙতে ।
বাংলাদেশের ‘March for Gaza’১২ এপ্রিল ২০২৫: ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৃহত্তম সমাবেশে ‘Stop genocide in Gaza’ দাবি ও ইঁটের মতো দৃঢ় আন্দোলনের মাধ্যমে মানবিক সমর্থন জানানো হয় ।
গাজার দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নিয়ে ৫৯,০০০+ মৃত্যু ও ১৪৫,০০০+ আহত। এত বড় সংখ্যক মৃত্যুর পেছনে মূল কারণ ইহরিয়ালির জোরপূর্বক অবরোধ, বোমাবর্ষণ, এবং স্বাস্থ্য ও খাদ্য ব্যবস্থার ধংস ।
প্রথমবারের মতো দুই ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা (B’Tselem ও Physicians for Human Rights–Israel) ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে অভিহিত করেছে, যা ইসরায়েেলের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে ।
২৮+ দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ বিবৃতি দাবি করেছে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, রাজনৈতিক roadmap ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করো—কারণ গাজার নাগরিকদের মানব মর্যাদা বিঘ্নিত হচ্ছে ।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ব্রিটেনের স্টারমার—দু’জনেই মানবিক সহায়তা প্রসার, খাবার পৌঁছানো এবং যুদ্ধবিরতি দাবি জানাচ্ছেন, যদিও পলিটিক্যাল স্টেট রিকগনিশনের বিষয়ে মতানৈক্য রয়ে গেছে ।
ফ্রান্স ঘোষনা দিয়েছে সেপ্টেম্বর জাতীয় সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে, যা আন্তর্জাতিক চাপ ও ন্যায্যতা দাবিকে জোরালো করেছে ।
সারাংশ:
বিষয়
বিস্তারিত
স্লোগান
“আমরা ভিক্ষা নই, অধিকার চাই” সাহায্য নয়, মৌলিক মানবাধিকার চাওয়া।
স্থানীয়প্রতিরোধ
গাজাবাসীর মধ্যে একটানা প্রতিবাদ ‘We want to live’, ‘Hamas out’, ‘Stop the war’
আন্তর্জাতিকপ্রতিক্রিয়া
চালু হচ্ছে পদযাত্রা, ফ্লোতিলা, বিশ্বব্যাপী সমাবেশ ও রাষ্ট্রীয় চাপ শক্তিশালী হচ্ছে।
বর্তমানঅবস্থা
মারাত্মক ক্ষুধা ও মৃত্যু, আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষা ও প্রয়াসে এগিয়ে আসছে।
Leave a Reply