আনোয়ার ইব্রাহিমের, আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন জোটের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান
-
Update Time :
Sunday, October 26, 2025
-
39 Time View
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম কী বলছেন ASEAN-এর (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাষ্ট্রগুলোর সংস্থা) সদস্য দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান ও তার প্রেক্ষাপটসহ।
মূল বক্তব্য:
- আনোয়ার ইব্রাহিম বলছেন যে, ASEAN সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি (unity & cohesion) বজায় রাখা অত্যাবশ্যক। তিনি উল্লেখ করেছেন “যেহেতু বৈশ্বিক উত্তেজনা বাড়ছে, একতরফা পথ এবং বিভাজন প্রবণতা (polarisation) দেখা দিচ্ছে; যদি ASEAN-এর ভেতরে ফাটল পড়ে তাহলে সেটি বড় বাহ্যিক শক্তির হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করবে।”
- তাঁর মতে, ASEAN-এর শক্তি হলো: একটি বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম যা অঞ্চলীয় শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির নিশ্চিতকরণ করতে পারে এবং এ জন্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ও পারস্পরিক বিশ্বাস (trust) থাকতে হবে।
- Malaysia ২০২৫ সালে ASEAN সভাপতিত্ব (Chair) করছে, এবং সেই প্রসঙ্গে তিনি বলছেন “Malaysia হিসেবে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, শুধু আমাদের নয়, পুরো ASEAN-কে, যেনো আমরা একসাথে এগিয়ে যাই”।
প্রেক্ষাপট:
- দেশগুলোর মধ্যে বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা (যেমন যুক্তরাষ্ট্র-চীন, এবং রপ্তানি/শুল্ক সংকট) বাড়ছে। ASEAN এখন সেই চ্যালেঞ্জের মুখে। আনোয়ার বলছেন, এমন সময়ে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন হলে সেটি বাহ্যিক শক্তি-প্রভাবের হাতিয়ার হতে পারে। ASEAN-এর কেন্দ্রীয়তা (centrality) ধারণাটি আনোয়ার অনেকবার উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সিদ্ধান্ত-প্রক্রিয়া, ভাবনা, উদ্যোগ যাতে বহির্বিশ্বের শক্তি দ্বারা একতরফা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
- উদাহরণ হিসেবে: মায়ানমার সংকট এবং থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে ASEAN একসাথে কাজ করেছে। আনোয়ার বলেন, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত সমন্বয় ও পারস্পরিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ।
কি করণীয় প্রস্তাব:
- আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, ASEAN অবশ্যই ভিতরে শক্তিশালী যোগাযোগ (intra-ASEAN cooperation), তথ্য ও বিশ্বাসের বিনিময় বাড়াতে হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বলছেন অঞ্চলীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, যাতে বাহ্যিক চাঞ্চল্য বা শুল্ক-উচ্চতা দ্বারা প্রভাবিত হওয়া কম হয়। দৃষ্টান্ত হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন Malaysia যখন ASEAN চেয়ার করছে, তখন “আল্লেন্স” ভাবনায় নিয়েছে ‘Inclusivity and Sustainability’ (অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন) থিম।
গুরুত্ব ও প্রভাব:
- ASEAN যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যাবে। আনোয়ার মনে করেন “ASEAN-র শক্তি হলো নিরাপত্তার গ্যারান্টি; অর্থনৈতিক বৃদ্ধি-উন্নয়নের গ্যারান্টি।” এমন সময়ে যখন সুপারপাওয়ার গুলোর প্রতিযোগিতা (যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন) বেড়ে গেছে, ASEAN-র সদস্য দেশগুলোকে একত্রে শক্ত হতে হবে যাতে তারা “বলেন্ডেড” বা বিভাজিত হয়ে না যায়। এই ধরণের নেতৃত্বদানে Malaysia-র দায়িত্ব বড় হয় আনোয়ার ইব্রাহিম দায়িত্ব নিচ্ছেন ASEAN সভাপতির ভূমিকা হিসেবে, যা অঞ্চলীয় নেতৃত্বের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ:
- যদিও আনোয়ার বলছেন একতার কথা, বাস্তবতায় ASEAN-র সব সিদ্ধান্ত সর্বদা দ্রুত বা সর্বমিলে নেয়া সম্ভব হয়নি। সদস্য দেশগুলোর স্বার্থ, রাজনৈতিক অবস্থা ভিন্ন ভিন্ন। বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও সীমান্ত বিরোধ ইত্যাদিতে সদস্য দেশগুলোর আগ্রহ ও সক্ষমতা ভিন্ন ফলে “মাসিক সমন্বয়” বা “দ্রুত সিদ্ধান্ত” সবসময় সম্ভব নয়।
- বহির্বিশ্বীয় শক্তির (external powers) হস্তক্ষেপ বা প্রভাবও এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যেমন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, শুল্ক রাজনীতি, ভূ–রাজনৈতিক চাপ ইত্যাদি। আনোয়ার এই বিষয়গুলোর দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply