বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আনতে চাইলে শুল্ক বিহীন (duty‑free) গয়নার পরিমাণ এবং শর্তাবলী সম্পর্কে বর্তমানে নিচের নিয়মগুলো কার্যকর রয়েছে: এক ভরি সোনার দাম বেশ কয়েক দিন আগেই দুই লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সোনা দিন দিন আরও দামি হয়ে যাচ্ছে। মধ্যবিত্তের সোনার গয়না পরার শখ যেন দিন দিন ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
বিদেশ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনার গয়না আনলে আপনাকে কোনো শুল্ক-কর দিতে হয় না। ফলে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্য দেশ থেকে দেশে ফেরার সময় আপনি শুল্কমুক্ত সুবিধায় সোনার গয়না আনতে পারবেন। আবার নির্দিষ্ট পরিমাণ শুল্ক দিয়ে স্বর্ণপিণ্ড বা সোনার বার দেশে আনার সুযোগ আছে।
অপর্যটক যাত্রীদের ব্যাগেজ রুলসের আওতায় চলতি অর্থবছর থেকে সোনার অলংকার ও সোনার বার ও মুঠোফোন আনার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। বাজেটের সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই বিধিমালা জারি করেছে।
শুল্কবিহীন সোনার গয়নার পরিমাণ:
অন্যান্য শর্ত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
এই নিয়মের ক্ষেত্রে যাত্রীকে বিমানে আগমন পর “ব্যাগেজ ঘোষণা ফর্ম (Baggage Declaration Form)” পূরণ করতে হতে পারে, তবে যদি আনিত সোনা‑গয়না উপরের শুল্কবিহীন সীমার মধ্যে হয়, তাহলে সাধারণত গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের হওয়া যাবে।
যদি সীমার উপরে সোনা বা গয়না আনা হয়, তাহলে সেই অংশে শুল্ক/কাস্টমস কর ও প্রদত্ত শর্ত অনুযায়ী কাজ করতে হবে। গয়না ছাড়া, সোনা বার / ইনগট নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম রয়েছে সেখানে শুল্ক দেওয়া লাগতে পারে। এই নিয়ম শুধু “ভ্রমণকারী যাত্রীদের” ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; বাণিজ্যিক আমদানিতে ভিন্ন নিয়ম ও অনুমোদন থাকতে পারে।
যাত্রীরা বাংলাদেশের বিমানবন্দরে নামার পর একটি ফরম পূরণ করতে হয়। ফরমটির নাম ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম। সেখানে নিজের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, ফ্লাইট নম্বর, জাতীয়তা, কোন দেশ থেকে এসেছেন এসব তথ্য দিতে হয়। সেখানে জানাতে হয়, শুল্ক দিতে এমন এমন আনা কোনো পণ্য আছে কি না, থাকলে বিবরণী লিখতে হয়।
তবে ১০০ গ্রাম সোনার অলংকার ও ২০০ গ্রাম রুপার অলংকারের কম থাকলে এসব ফরম পূরণ করতে হবে না। এর বেশি থাকলে বাড়তি অংশের জন্য শুল্ক বসবে।
ব্যাগেজ রুলসের আওতায় শুল্ক বসবে না, এমন কোনো পণ্য থাকলে গ্রিন চ্যানেল দিয়ে সরাসরি বের হয়ে যেতে পারবেন।
Leave a Reply