“গাজায় ত্রাণের প্রবেশে বাধা বাতিল করা” সেটি মূলত সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির একটি ধাপ ও হোস্টেজ-দহনবিষয়ক আলোচনার প্রেক্ষিতে ঘটেছে। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
প্রেক্ষাপট ও পূর্ববতী পরিস্থিতি:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- গত কয়েক মাসে, ইসরায়েল গাজা অঞ্চলে মানবিক ত্রাণ ও পণ্য প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
- ইসরায়েল যুক্তি দিয়েছিল যে ত্রাণ ও পণ্য প্রবেশ করা হলে সেগুলো হামাসের হাতে যেতে পারে এবং তাই “চাপের হাতিয়া” হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা ব্যবহার করা হবে। এছাড়া, জাতিসংঘ জানিয়েছে যে মার্চ ১৮ তারিখ থেকে তাদের গাজায় প্রবেশের প্রচেষ্টাগুলোর প্রায় ৬৮ % বাতিল করা হয়েছে। গাজা সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে প্রায় ৮০ দিনের জন্য ত্রাণ পণ্য প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং “একটাই শস্যশস্য”ও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গাজায় জনসাধারণের খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছাতে পারছিল না। ত্রাণসংস্থা ও রাষ্ট্রগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
বাধা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত:
- যুদ্ধবিরতির এক ধাপে, হোস্টেজ ও নিপীড়ন বিষয়ক আলোচনায় অগ্রগামী হওয়া এবং কিছু দেহ হস্তান্তর হওয়া পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল সিদ্ধান্ত নেয় যে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের ওপর থাকা বাধা আংশিকভাবে শিথিল করা হবে।
- বিশেষভাবে, রাফাহ সীমান্ত পাথ নতুনভাবে খোলার কথাও বলা হচ্ছে, এবং একটা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৬০০টি গাড়ি (ত্রাণ গাড়ি) প্রতিদিন গাজার দিকে প্রবেশ করতে পারবে।
- তবে, এই শর্তসাপেক্ষ ইসরায়েল বলেছে ত্রাণ এইভাবে প্রবেশ করবে সীমিতভাবে এবং নির্ধারিত নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।
- ত্রাণপ্রবণ পথের পাশাপাশি, গাজার কিছু বাসিন্দাদের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ফেরত যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে (কিন্তু সবকিছুই ইসরায়েলের অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রণাধীন হবে)।
সীমাবদ্ধতা ও উদ্বেগ:
ত্রাণ প্রবেশের এই শিথিলতা সম্পূর্ণ “বাধা মুক্ত প্রবেশ” নয় নিম্নলিখিত সীমাবদ্ধতাগুলি এখনো রয়ে গেছে:
- পরিমাণ সীমিত ৬০০ ট্রাক প্রতিদিন অনেক বেশি বলে মনে করা হলেও, গাজার জনগোষ্ঠীর জন্য তা খুবই নগণ্য।
- নিয়ন্ত্রণ ও তল্লাশি ত্রাণ পণ্যের প্রতিটি চালান ইসরায়েলি তত্ত্বাবধানে হবে, এবং কোন পণ্য ঢুকে যাওয়া বা কোথায় যাবে সবই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে।
- সুরক্ষা ও গতির বাধা যুদ্ধক্ষেত্রে চলাচল ও নিরাপত্তার সমস্যা এখনও রয়েছে, এবং ত্রাণ পৌঁছানোকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
- অভ্যন্তরীণ বাধা ও বাঁধামুক্ত গন্তব্যে বিতরণ গাজায় সীমান্ত পার হওয়া কোনো ত্রাণকেই অবাধে সব এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হবে কি না, সেটি প্রশ্নবাণী।
- শর্তসাপেক্ষ শিথিলতা ভবিষ্যতে ইসরায়েল আবার অনুমোদন কমিয়ে বা সীমাবদ্ধতা পুনরায় চাপিয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যদি আলোচনায় এগিয়ে যাওয়া কর্মসূচি ব্যাহত হয়।
গুরুত্ব ও প্রতিক্রিয়া:
- এই সিদ্ধান্ত গাজার জনসাধারণের জন্য একটি ছোট আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকা ত্রাণ প্রবেশ কিছুটা হলেও পুনরায় শুরু হচ্ছে।
- অনেক আন্তর্জাতিক ত্রাণসংস্থা ও রাষ্ট্র এটিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে, তবে ত্রাণের মান, দ্রুত বিতরণ এবং রাজনৈতিক বাধা রূপে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ এখনও বড় চ্যালেঞ্জ।
- প্রতিক্রিয়ায়, অনেক দেশ ও সংস্থা ইসরায়েলের ওপর চাপ দিচ্ছে যাতে পুরোপুরি ত্রাণ প্রবেশ অবাধ করা হয় এবং জনসাধারণের মানবাধিকার রক্ষা করা হয়।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply