1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
October 10, 2025, 8:45 am

বিশ্বকাপের বলই বলে ‍দিবে অফসাইডের সিদ্ধান্ত

  • Update Time : Sunday, October 5, 2025
  • 77 Time View

বিশ্বকাপের বলই বলে দেবে অফসাইডের সিদ্ধান্ত” বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হতে বাকি আর মাত্র আট মাস। নতুন অনেক কিছুই থাকছে এবারের বিশ্বকাপে। যেমন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল আসরে খেলবে ৪৮ দল, তেমনই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আসর বসবে তিন দেশ মিলে। প্রতিবারের মতো তাই বিশ্বকাপের বল নিয়েও রয়েছে জল্পনা–কল্পনা। সবকিছু ছাপিয়ে নতুন বল উন্মোচন করল ফিফা। ২০২৬ বিশ্বকাপের বলের নাম ‘ত্রিয়োন্দা’।

বরাবরের মতোই বিশ্বকাপের বল তৈরি করেছে অ্যাডিডাস। আর অনুপ্রেরণা হিসেবে বেছে নিয়েছে তিন স্বাগতিক দেশকে। স্প্যানিশ শব্দ ‘ত্রিয়োন্দা’ মূলত দুটি শব্দের মিশেল। ‘ত্রিও’ অর্থ তিন আর ‘ওন্দা’ অর্থ ঢেউ। দুইয়ে মিলে হয় তিনটি ঢেউ। এই বলে দেখা যাবে ঢেউয়ের মতো ডিজাইন করা তিন দেশকে। লাল, নীল আর সবুজ তিন রং দিয়ে বোঝানো হয়েছে তিন দেশকে। লাল দিয়ে কানাডা, নীল দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আর সবুজ দিয়ে বোঝানো হয়েছে মেক্সিকোকে। এমনকি তিন দেশের প্রতীকও আছে বলের মধ্যে। কানাডার আইকনিক ম্যাপল পাতা, যুক্তরাষ্ট্রের তারকা আর মেক্সিকোর ইগল।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

শুধু তিন দেশের প্রতীক নয়, বিশ্বকাপের ছোঁয়াও আছে বলে। তিনটি রংকে আলাদা করা হয়েছে সোনালি এক লাইন দিয়ে। বিশ্বকাপের স্বর্ণখোচিত শিরোপাকে যেন তুলে ধরা হয়েছে বলের মধ্য দিয়েই।

অফসাইড সিদ্ধান্তে বল কীভাবে সাহায্য করে?

 প্রযুক্তির নাম: Semi-Automated Offside Technology (SAOT):

এই প্রযুক্তিতে মূলত দুইটি অংশ কাজ করে:

  1. বলের মধ্যে সেন্সর (Inertial Measurement Unit – IMU)
  2. স্টেডিয়ামে হাইটেক ক্যামেরা সিস্টেম

1. বলের ভিতরের সেন্সর কী করে?

বিশ্বকাপে ব্যবহার হওয়া বলটির নাম ছিল Adidas Al Rihla
এই বলের ভিতরে ছিল:

  • একটি 500Hz IMU সেন্সর, যা প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
  • এটি বলের সুনির্দিষ্ট অবস্থানস্পর্শের মুহূর্ত শনাক্ত করতে পারে।

যখন প্লেয়ার বলটিকে পাস করে বা স্পর্শ করে, তখন এই সেন্সর সেই মুহূর্তটা রেকর্ড করে – মিলিসেকেন্ড লেভেলে।

এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অফসাইডে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়:
বলটা কখন পাস করা হয়েছে?”
এই সেন্সর সেই “সুনির্দিষ্ট সময়টি” দিতে পারে, যা চোখে বা ভিডিও রিপ্লেতে ধরা কঠিন।

2. স্টেডিয়ামে থাকা ১২টি ট্র্যাকিং ক্যামেরা:

প্রতিটি খেলোয়াড়ের ২৯টি বিভিন্ন পয়েন্ট (জয়েন্ট) ট্র্যাক করা হয়।
এই ক্যামেরাগুলো প্লেয়ারের অবস্থান রিয়েলটাইমে বিশ্লেষণ করে।

➡ ফলে, কেউ অফসাইড পজিশনে ছিল কিনা সেটা কম্পিউটার অ্যালগরিদম যাচাই করে।

অফসাইড সিদ্ধান্ত কিভাবে নেওয়া হয়?

  1. বল স্পর্শের মুহূর্ত সেন্সর রেকর্ড করে।
  2. সেই সময় প্লেয়ারদের পজিশন ক্যামেরায় ট্র্যাক হয়।
  3. AI অ্যালগরিদম সেটা বিশ্লেষণ করে দেখে কে অফসাইডে ছিল।
  4. রেফারিকে রিয়েলটাইমে তথ্য পাঠানো হয়।
  5. রেফারি সিদ্ধান্ত নেন (প্রয়োজনে ভিজ্যুয়াল রিপ্লে দেখিয়ে দর্শকদেরও দেখানো হয়)।

এই প্রযুক্তির সুবিধা:

  • সময় বাঁচায় — অফসাইড চেক করতে খুব কম সময় লাগে।
  • বিতর্ক কমে — মানব ভুল অনেক কম হয়।
  • খেলা আরও ন্যায্য হয়।

উপসংহার:

বল নিজেই এখন অফসাইডের মত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ভূমিকা রাখে  এটিই আধুনিক ফুটবলের ভবিষ্যত। ২০২৬ বিশ্বকাপেও এই প্রযুক্তির আরও উন্নত সংস্করণ ব্যবহার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews