1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
October 10, 2025, 8:52 am

কোম্পানি করদাতাদের উৎসে করের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ

  • Update Time : Wednesday, October 8, 2025
  • 59 Time View

“কোম্পানি করদাতাদের উৎসে কর (Withholding Tax / Tax at Source)”‑এর ক্ষেত্রে ১৫ % হার কোথায় এবং কী শর্তে প্রযোজ্য হতে পারে, সে বিষয়ে আরও গভীর বিশ্লেষণ নিচে তুলে ধরা হলো।

আইন উৎসে কর কাঠামো:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

কোম্পানির আয়কর (Corporate Income Tax) এবং উৎসে কর (Withholding Tax, WHT / Tax at Source / TDS) এই দুই ভিন্ন ধরণের কর। উৎসে কর হলো নির্দিষ্ট ধরনের পেমেন্ট করার সময় সেই পেমেন্ট থেকে কর কেটে রাখার নিয়ম। এই কাটা কর পরবর্তীতে আয়কর হিসাব-নিকাশে ক্রেডিট বা নগদ পরিশোধ হিসেবে স্বীকৃত হতে পারে।

বাংলাদেশে উৎসে কর এবং “Tax at Source (TDS)” সম্পর্কিত ধারা ও হার অনেক অংশে Income Tax Act, সংশোধিত আইন ও সাবর্ডিনেট নীতিমালা দ্বারা নির্ধারিত। PwC এর কর সারাংশ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু পেমেন্টে উৎসে কর ধার্য করতে হবে, এবং রিসিপিয়েন্ট যদি কর রিটার্ন দাখিল না করে বা প্রমাণ (Proof of Submission of Return, PSR) না দেয়, তাহলে অতিরিক্ত কর হার প্রযোজ্য হবে। তাছাড়া, কোম্পানি বা ব্যক্তি জন্য “Capital Gains (মূলধন লাভ)” ক্ষেত্রেও উৎসে কর বা কর ধারা আলাদা।

১৫ % হার নির্ধারণ  কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য:

নিচে এমন পেমেন্ট বা আয়কারণ দিচ্ছি যেখানে ১৫ % হারে উৎসে কর প্রযোজ্য থাকতে পারে:

ধরনের পেমেন্ট / আয়প্রাপক / প্রাপকের ধরন১৫ % কর কেন / কিভাবে প্রযোজ্যউল্লেখ
প্রফেশনাল / পরামর্শ / অ্যাডভাইজারি সেবা (Resident ব্যক্তি / প্রতিষ্ঠান)ব্যক্তি বা কোম্পানিনতুন TDS নিয়ম অনুযায়ী, প্রফেশনাল বা পরামর্শমূলক সেবার ক্ষেত্রে ব্যক্তি হলে ১৫ % উৎসে কর ধার্য করা হবে।
কোনো সার্ভিস পেমেন্টকোম্পানির (Residents)কোম্পানি বা সেবা প্রদানকারীকিছু ক্ষেত্রে সেবা রশিদ বা পেমেন্টে উৎসে কর ১৫ % নির্ধারণ থাকতে পারে, বিশেষ করে যদি প্রাপক ব্যক্তি হয় বা কর ফাইলার না হয়।
মূলধন লাভ (Capital Gains) শেয়ার/ভবিষ্যৎ মূলধনকোম্পানিকোম্পানির অন্য ধরনের মূলধন লাভের ক্ষেত্রে ১৫ % আয়কর ধার্য হতে পারে (যদি আইন ও প্রক্রিয়া মেনে থাকে)।

শর্ত সীমাবদ্ধতা:

১৫ % হার প্রযোজ্য হবে এমন কিছু শর্ত এবং সীমাবদ্ধতা আছে:

  1. প্রাপক যদি কর ফাইলার (Tax Filer) না হয়:
     প্রাপক যদি তার চাহিদামত কর রিটার্ন দাখিল না করে বা প্রমাণ (Proof of Submission of Return, PSR) না দিতে পারে, তাহলে অধিক হার বা অতিরিক্ত শাস্তিমূলক হার প্রযোজ্য হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি রিসিপিয়েন্ট কর ফাইলার না হয়, ভিত্তিক হার + 50 % বাড়িয়ে কাটা যেতে পারে (উৎসের হার + অতিরিক্ত)।
  2. প্রাপকের রেসিডেন্স অবস্থা:
     যদি প্রাপক নন-রেসিডেন্ট (বিদেশি) হয়, তাহলে উৎসে কর হার সাধারণত বেশি এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি (Double Taxation Avoidance Agreement, DTAA) অনুসারে হ্রাস পেতে পারে। অনেক পেমেন্টের ক্ষেত্রে নন-রেসিডেন্টদের জন্য নির্ধারিত কর হার ২০ % বা তার অধিক হতে পারে।
  3. কোন ধরণের আয় / পেমেন্ট:
    ১৫ % সব ধরনের পেমেন্টে প্রযোজ্য নয়  যেমন interest, royalty, লিজ, ভাড়া ইত্যাদিতে অন্য হার চলতে পারে।
     শেয়ার ট্রান্সফার, মূলধন লাভ, সেবা ফি ও পরামর্শ ফি যেমন পেমেন্টে ১৫ % হার থাকতে পারে, তবে শর্তযুক্ত।
     শেয়ার বা সিকিউরিটিজ‑ট্রান্সফারে নির্ধারিত কর ধারা অনুযায়ী ১৫ % ধার্য করতে হয় এমন ক্ষেত্রে রয়েছে।
  4. আইন বিধির সংশোধনী:
     কর আইন ও সংশ্লিষ্ট সাব-নিয়ম নিয়মিত পরিবর্তিত হয়। আপনার ক্ষেত্রে বর্তমান আইন (যেমন Income Tax Act, সংশোধিত) ও সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা পরীক্ষা করা জরুরি।
     বাস্তব প্রয়োগে বিভাগীয় রায়, নির্দেশিকা ও রুল বিভাগ কিছু ভিন্ন ব্যাখ্যা দিতে পারে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews