“মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ” বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ ও তথ্যাদি একত্রিত করে বিস্তারিত তুলে ধরছি:
নির্দেশনার প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর ফাঁকি, রাজস্ব উদাসীনতা ও বকেয়া আদায় রোধের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে। এটি কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের পাশাপাশি কর বিভাগেও প্রযোজ্য হবে।
নির্দেশনার লক্ষ্য:
1. রাজস্ব পুনরুদ্ধার করা,
2. কর ফাঁকির প্রবণতা হ্রাস করা,
3. কর সংস্কৃতি গড়া এবং কর দাতাদের আইনানুগ দায়বদ্ধতা নিশ্চিত
নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে মূল পয়েন্ট:
নিচে নির্দেশনায় অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা ও কার্যপ্রণালী তুলে ধরা হলো:
বিষয় | নির্দেশনার বিবরণ |
টিম পুনর্গঠন ও দায়িত্ব নির্ধারণ | প্রতিটি কর অঞ্চলে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেল (IIC/আইআইসি) টিম পুনর্গঠন করতে হবে। |
গোয়েন্দা তথ্যের উৎস ও ব্যবহার | বিভিন্ন ধরনের তথ্য উৎস ব্যবহার করতে হবে গোপন সংবাদদাতা, অভিযোগ, মিডিয়া রিপোর্ট, কর রিটার্নে অসঙ্গতি, সম্পদ বিবরণীতে অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি। |
তদন্ত ও প্রক্রিয়া | প্রাথমিক অনুসন্ধান, সরেজমিন তদন্ত, দলিল জব্দকরণ ও প্রমাণ সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া চালু থাকবে। |
ইন্টেলিজেন্স কমিটি অনুমোদন | প্রমাণ পাওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট টিম অর্থাৎ IIC রিপোর্ট তৈরি করে ইন্টেলিজেন্স ও ইনভেস্টিগেশন কমিটিতে পাঠাবে। কমিটি সিদ্ধান্ত দেবে আইনানুগ ব্যবস্থা ও রাজস্ব পুনরুদ্ধার। |
মাসিক প্রতিবেদনের বাধ্যবাধকতা | প্রতিটি কর কমিশনারকে মাসিক ভিত্তিতে IIC টিমের কার্যক্রম, অতিরিক্ত দাবি ও আদায়ের তথ্য এনবিআরে পাঠাতে হবে (পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে)। |
নন–ফাইলারদের (রিটার্ন না দায়েন) মোকাবিলা | টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন জমা দিচ্ছেন না, তাদের বিরুদ্ধে তদারকি বাড়িয়ে তাদের আয়, ব্যয় ও সম্পদ পরীক্ষা করে আইনানুগ কর আরোপ করতে হবে। |
টহল (patrol) ও আগাম সতর্কতা | গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত টহল কার্যক্রম চালাতে হবে যাতে কর ফাঁকি করার সুযোগ সীমিত করা যায়। |
কার্যকারিতা ও ফলাফল:
Leave a Reply