“সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য (Single‑Use) প্লাস্টিক” নিষিদ্ধ করার ঘোষণা সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
- বিজ্ঞপ্তি ও সিদ্ধান্ত:
- মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ জানিয়েছেন যে, ২০২৫ সালের ৫ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। এই নিষিদ্ধকরণ “পাইলট” হিসেবে শুরু হবে সচিবালয়ে, এবং সফল হলে অন্যান্য সরকারি দপ্তরেও এই নীতি সম্প্রসারিত হবে।
- সচিবালয়ে প্রবেশ পথগুলোতে নিরাপত্তা চেক বৃদ্ধি করা হবে; কোনো ব্যক্তির সঙ্গে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য থাকলে তা নিষিদ্ধ হবে বা তা রোধ করা হবে।
- যদি প্রয়োজন হয়, পলিথিন বা SUP (Single‑Use Plastic) পাওয়া গেলে তা আটকে দেওয়া হবে এবং পরিবর্তে কাগজ ব্যাগ বা অন্যান্য বিকল্প উপকরণ দেওয়া হবে।
কী ধরণের পণ্যগুলো নিষিদ্ধ হবে:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
গণমাধ্যম অনুসারে, ইতিমধ্যে ১৭ ধরণের প্লাস্টিক পণ্যের একটি তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা “একবার ব্যবহার্য” হিসাবে বিবেচিত হবে। কয়েকটি উদাহরণ:
- প্লাস্টিকের বোতল ও ক্যাপ প্লাস্টিকের কাপ, প্লেট, চামচ ইত্যাদি খাদ্য পরিবহনের জন্য দেওয়া যাওয়া একবার ব্যবহার্য কাটলরি
- স্টাইরোফোম (Polystyrene) খাবারের ধারক
- চকলেট মোড়ক, পাতলা প্লাস্টিক মোড়ক, নিম্ন মাইক্রোথিকের প্লাস্টিক প্যাকেজ
- প্লাস্টিকের ডাওয়াত কার্ড, ব্যানার সুতরাং, সচিবালয়ের সভা, সেমিনার বা অন্যান ইভেন্টে, এই ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না।
বাস্তবায়ন ও মনিটরিং ব্যবস্থাপনা:
- প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে ফোকাল ব্যক্তি ( focal person ) নিযুক্ত করা হবে, যারা এই নীতির বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান করবেন। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে, যারা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে কীভাবে এই নিষিদ্ধনীতি কার্যকর হচ্ছে। সচিবালয়ের ভিতরে ও প্রবেশপথে সচেতনতামূলক বোর্ড, ব্যানার, স্টিকার লাগানো হবে, যাতে কর্মচারী ও দর্শকরা নীতি বিষয়ে অবহিত হন। সমস্ত দোকান, ক্যান্টিন ও বিপণন স্টলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হবে যে, তারা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক (যেমন বোতল, কাপ, প্লেট, চামচ) ব্যবহার বন্ধ করবে। প্রস্তুতির সময় হিসেবে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস দেওয়া হয়েছে, যাতে ধাপে ধাপে কর্মচারীরা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষরা পরিবর্তন নিতে পারেন।
উদ্দেশ্য ও সম্ভাব্য প্রভাব:
- সচিবালয়কে একটি উদাহরণমুলক “প্লাস্টিক-মুক্ত” প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ার গুরুত্ব দেওয়া। প্লাস্টিক দূষণ কমিয়ে পরিবেশ রক্ষা ও টেকসই ব্যবহারের প্রচার করা। সরকারি ক্রয় ও কার্যাবলিতে বিকল্প উপকরণের ব্যবহার নিশ্চিত করা। যদি সফল হয়, এই উদ্যোগকে অন্যান্য সরকারি দপ্তর ও অঞ্চলেও সম্প্রসারিত করা হবে।
সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও প্রভাব:
- বিকল্প উপকরণ (যেমন কাগজ, মুদি ব্যাগ, ধাতব বা কাঁচ উপকরণ) প্রাপ্যতা ও খরচ একটি বড় প্রশ্ন হতে পারে।
- কর্মচারী ও দর্শকদের অভ্যস্ততা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে।
- মনিটরিং ও প্রয়োগে নিয়মিত তদারকি ও নিষ্ঠা প্রয়োজন হবে।
- দোকান ও ক্যান্টিনগুলির জন্য বিকল্প সরবরাহ শৃঙ্খল গঠন করা প্রয়োজন হবে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply