ভারতে কয়েকটি আদালত সম্প্রতি ডাক্তারদের হাতের লেখাকে স্পষ্ট (legible) করার নির্দেশ দিয়েছে। নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো: এ ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি ধর্ষণ ও প্রতারণা সংক্রান্ত মামলার শুনানি থেকে। বিচারক লক্ষ্য করেন, সরকারি চিকিৎসকের লেখা মেডিকো-লিগ্যাল রিপোর্ট এতটাই অস্পষ্ট যে তা পড়া প্রায় অসম্ভব। বিচারকের ভাষায়,প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়া সত্ত্বেও সরকারি ডাক্তাররা এমন প্রেসক্রিপশন লিখছেন যা কেবল কিছু ফার্মাসিস্ট ছাড়া কেউ বুঝতে পারে না।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন চালু করতে হবে। ততদিন পর্যন্ত সব ডাক্তারকে স্পষ্ট করে বড় হাতের অক্ষরে প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে। মেডিকেল কলেজের শিক্ষাক্রমেও হাতের লেখা শেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পেছনের ঘটনা ও নির্দেশের কারণ:
নির্দেশের মূল দিকনির্দেশনা:
এই নির্দেশে মূলত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জোর দেওয়া হয়েছে:
নিচে সেই নির্দেশের প্রধান দিকগুলো:
বিষয় | নির্দেশ / আদেশ |
লক্ষ্যপ্রাপ্ত নথি | প্রেসক্রিপশন, মেডিকো-লেজ্যাল নথি, পোস্ট-মর্টেম রিপোর্ট ইত্যাদি। |
লিখনের মানদণ্ড | – স্পষ্ট ও পড়ার যোগ্য হাতের লেখা – ক্যাপিটাল অক্ষরে লেখা – অথবা টাইপ করা / ডিজিটাল ফর্ম ব্যবহার করা। |
গভর্নমেন্ট পর্যায়ের নির্দেশ | রাষ্ট্রের মুখ্য সচিবকে (Chief Secretary) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একটি সার্কুলার জারি করতে, যা সমস্ত সরকারি ও ব্যক্তিগত হাসপাতাল, ক্লিনিক, মেডিকেল কলেজসহ সকল চিকিৎসা কেন্দ্রকে পৌঁছাবে। |
কার্যকরণ সময়ে অবিলম্বে | আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। |
জাতীয় মেডিকেল কমিশন (NMC) নির্দেশিকা অনুযায়ী | ডিরেকশন বলা হয়েছে, এই নির্দেশগুলো National Medical Commission–এর নীতিমালা ও নির্দেশিকাগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। |
রিয়ালিটি বিবেচনায় পালনযোগ্যতা | আদালত নোট করেছে যে চিকিৎসকরা অনেক সময় ব্যস্ত থাকেন, অনেক রোগী দেখেন তাই লেখ করার সময় সীমাবদ্ধতা থাকে। বিচারক এই বাস্তবতা স্বীকার করেছেন, তবে বলেছে যে সাবলীল লেখা নিশ্চিত করার দায় চিকিৎসকের। |
ফল ও প্রভাব | – নথি অভ্যন্তরীণ বিচার প্রক্রিয়ায় স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে – ভুল বোঝাবুঝি কম হবে – ডাক্তার ও সংশ্লিষ্টদের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে – রোগীর অধিকার হিসেবে “চিকিৎসা নির্দেশ বোঝার অধিকার” শক্তিশালী হবে |
Leave a Reply