ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ ধরনের জমির দখল ছাড়তে হবে, এমনকি যদি দলিলও থাকে। এই নির্দেশনা সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় জারি করেছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এসব জমির অবৈধ দখলকারীদের তা ছাড়তে হবে এবং প্রয়োজন হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশানুসারে ৫ ধরনের জমি আছে, যেগুলোর দখল দলিল থাকলেও ছাড়তে হবে অর্থাৎ, ওই ধরনের দলিল বা দখল আইনগতভাবে বৈধ নয় বলে গণ্য হতে পারে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- সাব‑কবলা দলিল:
যেসব ‘সাব‑কবলা’ দলিল ঠিকভাবে উত্তরাধিকার বণ্টন না করে, কোনো ওয়ারিশকে বাদ দিয়ে করা হয়েছে, সেসব দলিল বাতিলযোগ্য।
উদাহরণস্বরূপ: একজন ব্যক্তির সম্পত্তি একাধিক ওয়ারিশ থাকলেও শুধুমাত্র একজনকে বিক্রি করে দেওয়া।
- হেবা দলিল:
যেসব হেবা (দানের) দলিল দাতার পূর্ণ মালিকানা ছাড়া, শর্ত বা প্রক্রিয়া ঠিক না রেখে, বৈধ নিয়মানুসারে না করা হয়েছে, সেগুলো বাতিল বলেই গণ্য হবে।
- জাল দলিল:
যেসব দলিল জালভাবে (ভুয়া, প্রক্রিয়াহীন, দুর্নীতি করে) তৈরি করা হয়েছে, সেসব আদালতে খারিজ হবে এবং দখলদারকে জমি ছাড়তে হবে।
- খাস খতিয়ানের জমি:
যে জমি মূলত সরকারি খাস (সরকারি ব্যবহৃত বা অধিকারযুক্ত) খতিয়ানে ছিল, তারপর ভুলভাবে কারো নামে নামজারি বা দলিল করা হয়েছে ওই দখল অবৈধ বলে গন্য হবে এবং জমি সরকারের দখলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
- অর্পিত সম্পত্তি:
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যে ভূমি পরিত্যক্ত বা ‘অর্পিত’ ছিল এবং কেউ দখল করে রেখেছে সেই দখল বৈধ বলে গণ্য হবে না। সেই জমিগুলি ফেরত নেওয়া হবে এবং দখলদারকে ছাড়তে হবে।
আইনগত ধারণা ও সীমাবদ্ধতা:
- যদিও সংবাদ ও অনলাইন উৎসে বলা হয়েছে এই নির্দেশ, আমি ওই নির্দেশের সরাসরি সরকারি প্রজ্ঞাপন বা খসড়া আইন খুঁজে পাইনি।
- “দলিল থাকলে মালিকানার নিশ্চয়তা হবে” এই ধারণা সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, কারণ যদি প্রক্রিয়া বা আইন লঙ্ঘন হয়ে থাকে, দলিল বাতিল হতে পারে। আদালত বা ভূমি অফিস এই মামলাগুলোতে যাচাই ও সিদ্ধান্ত দেবে।
- নতুন ভূমি সম্পর্কিত আইন বা সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালার মধ্যে এই বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply