ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা চাইলেন
-
Update Time :
Thursday, September 25, 2025
-
74 Time View
“পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চাওয়া” বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস‑এর কিছু যোগ করা বিশ্লেষণ ও সম্প্রতি পাওয়া তথ্যস্বরূপ বিস্তারিত উপাত্ত তুলে ধরা হলো:
ইউনূস‑বিশ্বব্যাংক বৈঠক ও আবেদন:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্কে UN সাধারণ সভার সময় বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট আজয় বাঙ্গা-র সঙ্গে বৈঠকে, ইউনূস বিশ্বব্যাংকে আবেদন করেছে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার ও চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নে সহায়তা করার তিনি মনে করেন, বিশ্বব্যাংকের প্রযুক্তি ও জ্ঞানের দিক থেকে “আপনারা প্রযুক্তি আছে, আপনি আমাদের সঙ্গে থাকুন” দাবি করেছেন অর্থাৎ, বিশ্বব্যাংককে এই টাকা উদ্ধার প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক অংশীদার বানাতে চান।
- বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের অবস্থান ছিল যে তারা ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক রিফর্মে সহায়তা করতে আগ্রহী অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের সংস্কার, স্বচ্ছতা ও ডিজিটালাইজেশন সহ।
- দেশের অভ্যন্তরে উদ্যোগ ও প্রস্তাব:
- একটি টাস্কফোর্স / কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার দায়িত্ব পাচার হওয়া অর্থ চিহ্নিত করা ও ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া তদারকি করা।
- বর্তমানে একটি বিশেষ আইন (Ordinance) তৈরি করা হচ্ছে, যে আইনটা দ্রুত গ্রহণ করা যাবে, যাতে অর্থ উদ্ধারের ক্ষেত্রে আইনগত বাধা কমে যায়।
- বিদেশের দেশে অবস্থানকারী সম্পত্তি ও অর্থসমূহ উদ্ধারে
- আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে যেমন কানাডায় পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার উচ্চায়োগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
- ইউনূস আন্তর্জাতিক মঞ্চে, এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা (যেমন Transparency International) সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন যে গ্লোবাল আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ ও আইনকানুন শক্তিশালী হওয়া উচিত, যাতে অর্থ পাচার ও লন্ডারিং রোধ করা যায়।
- দাবি ও পরিমাণ:
- ইউনূস দাবি করেছেন যে ২০০৯‑২০২৪ (আগস্ট পর্যন্ত) সময়ে প্রায় $234 বিলিয়ন বা তার বেশি অর্থ পাচার হয়েছে যে পরিমাণে বড় চ্যালেঞ্জ তিনি ধরেছেন। সে সময় পরিমাণ হিসেবে, ব্যাংকিং সেক্টর থেকেও প্রায় $17 বিলিয়ন অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
- এছাড়া, যেসব কোম্পানি ও ব্যক্তিরা এতে যুক্ত থাকতে পারে, তাদের ১১টি বড় নাম চিহ্নিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
যদিও একটি বহুপাক্ষিক সংস্থা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের সরাসরি ব্যাঙ্কের মতো রাজস্ব বা সম্পদ বাস্তবায়নের ক্ষমতা নেই, কিন্তু তারা বেশ কিছু সহায়ক ভূমিকা এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিতে পারে:
- টেকনিক্যাল সহায়তা (Technical Assistance / Expertise):
অর্থ পাচারের ধরণ বিশ্লেষণ, আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার চেইন অনুসন্ধান, ফরেন্সিক অডিট, বেঙ্ক-টু-বেঙ্ক যোগাযোগ নির্ধারণ ইত্যাদিতে সহযোগিতা।
ডিজিটাল আর্থিক তথ্য ব্যবস্থাপনা, ডেটা সেন্ট্রালাইজেশন, স্বচ্ছতা ও তথ্য বিনিময় প্ল্যাটফর্ম নির্মাণে সাহায্য।
- প্রশাসনিক ও আইনগত সহায়তা:
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আইন ও নীতিমালা সাজিয়ে দেওয়া, বিচারব্যবস্থা ও তদন্ত প্রক্রিয়া গঠন।
এমন নীতি ও বিধি প্রণয়ন করতে সহায়তা, যাতে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ পরবর্তীতে আইনি বাধা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক আইন ফোরামে, দেবীদের সঙ্গে সমন্বয়, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি (mutual legal assistance treaties, MLAT) প্রতিষ্ঠা।
- আর্থিক ও বরাদ্দ সহায়তা (Conditional Grants / Loans / Program Funding):
বাংলাদেশকে রিফর্মের জন্য নতুন ঋণ বা অনুদান দেওয়া, যাতে অর্থ ফুসফুসে আরও তহবিল থাকে কাজ শুরু করার জন্য। এই অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো (যেমন তথ্যবিজ্ঞান, আইন প্রণয়ন, আইনজীবী নিয়োগ) অর্থায়নে সহায়তা।
বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত $2 বিলিয়ন পর্যন্ত ঋণ ও সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়েছে।
- মাধ্যম ও নেটওয়ার্কিং / সমর্থন প্রদর্শন (Advocacy / Diplomatic Support):
বিশ্বব্যাংক, দেশগুলোর সাথে সহযোগী সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের দাবি তুলে ধরা।
অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাহায্য করা, যাতে তারা নীরবে সাড়া দেয়।
বিশ্বব্যাংক যখন কোন অর্থায়ন বা প্রোগ্রামে ঢুকবে, হয়ত শর্ত হিসেবে “অর্থ উদ্ধার প্রকল্পে অংশগ্রহণ” যুক্ত করা যেতে পারে, যা একটি নীতি-প্রণয়ন শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি:
- বহু দেশ জড়িত হওয়া: অনেক অর্থ বিভিন্ন দেশে গেছে, বিভিন্ন বিনিয়োগ, কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে আছে সব দেশসহ মোকাবিলা করা কঠিন।
- আইনি ও প্রমাণগত সীমাবদ্ধতা: প্রমাণ সংগ্রহ, আদালতে যুক্তি উপস্থাপন, আইনগত বাধা ইত্যাদি দিক থেকে জটিল।
- রাজনৈতিক বাধা: যেসব দেশ টাকা রেখেছে, তারা স্বার্থগত কারণে সহযোগিতা নাও করতে পারে।
- প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী: এমন উদ্যোগ একরাতেই সফল হয় না, বছরখানেকও লাগতে পারে।
- বিশ্বব্যাংকের সতর্কতা: বিশ্বব্যাংক, একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিচার প্রক্রিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না শুধুই পরামর্শ ও সহায়তা দিতে পারে।
- বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা: সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকি, স্বচ্ছতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ সংস্কার না থাকলে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আস্থা হারাতে পারে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply