জমি কেনার আগে সঠিকভাবে কাগজপত্র যাচাই না করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। নিচে জমি কেনার আগে যেসব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র যাচাই করতে হবে, তার বিস্তারিত তালিকা ও প্রতিটির ভূমিকা দেওয়া হলো:
১ . খতিয়ান (Record of Rights / Porcha):
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
এটি হলো জমির মালিকানার রেকর্ড।
দেখতে হবে জমির মালিকের নাম, জমির দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর ইত্যাদি ঠিক আছে কি না।
জমির ধরন ( বোনা , বসতভিটা , কৃষি জমি ইত্যাদি ) যাচাই করুন।
যাচাই কোথায় করবেন :
ভূমি অফিস / ইউএসএফ অফিস / www.land.gov.bd
২ . দাগ ও ম্যাপ (CS, SA, RS, BS / সিটি সার্ভে ):
জমির সঠিক অবস্থান, পরিমাণ ও সীমানা বোঝার জন্য ম্যাপ এবং দাগ নম্বর যাচাই জরুরি।
প্রতিটি জরিপে (CS, SA, RS, BS/City Survey) একই মালিকানার ধারাবাহিকতা আছে কি না তা দেখা জরুরি।
ম্যাপ পাওয়া যায় :
উপজেলা ভূমি অফিস বা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় থেকে
৩ . নামজারি / মিউটেশন সার্টিফিকেট ও খতিয়ান:
বর্তমান মালিকের নামে জমিটি নামজারি হয়েছে কি না তা দেখতে হবে।
এটি নিশ্চিত করে যে মালিক সরকার কর্তৃক স্বীকৃত।
যাচাই :
মিউটেশন কপি ও ডিসিআর (Duplicate Carbon Receipt) সংগ্রহ করুন।
৪ . দলিল (Deed of Sale / Title Deed):
মূল মালিকানা প্রমাণের প্রধান দলিল।
দলিলে জমির বিবরণ, ক্রয়মূল্য, প্রাক্তন মালিকদের তথ্য থাকবে।
যাচাই করবেন :
সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে তল্লাশি রিপোর্ট (Deed Search Report) নিতে হবে।
৫ . দলিল নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য:
দলিলটি রেজিস্ট্রি হয়েছে কিনা, সেটির রেজিস্ট্রি নম্বর ও তারিখ যাচাই করুন।
ভুয়া দলিল হবার সম্ভাবনা থাকায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যাচাই করা জরুরি।
৬ . ওয়ারিশান সনদ ( যদি জমি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয় ):
জমিটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকলে, সব ওয়ারিশদের তালিকা ও তাদের সম্মতি আছে কি না যাচাই করুন।
৭ . ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ (Land Tax Receipt):
মালিক সরকারকে নিয়মিত খাজনা দিচ্ছে কি না সেটা যাচাই করুন।
সর্বশেষ কর পরিশোধের রশিদটি নিন।
৮ . ভূমি বিরোধ আছে কি না (Litigation Check):
জমি নিয়ে কোনো মামলা চলছে কি না সেটা যাচাই করুন।
যাচাই কোথায় করবেন :
সংশ্লিষ্ট থানা বা আদালত
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা ভূমি অফিস
৯ . অনুমোদিত প্ল্যান ( বিশেষ করে সিটি এরিয়ায় ):
যদি সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় হয়, তাহলে ভূমি কোন জোনে (বসতি, বানিজ্যিক ইত্যাদি) আছে সেটা যাচাই করুন।
১০ . পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ( যদি থাকে ):
কারো পক্ষে কেউ বিক্রি করছে? তাহলে Power of Attorney বৈধ কি না যাচাই করুন।
নোটারি পাবলিক ও রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্টারকৃত কি না দেখতে হবে।
১১ . পরিবেশগত ছাড়পত্র ( জরুরি নয় , তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন ):
শিল্প প্লট বা বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রয়োজন হতে পারে।
অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য :
আইনজীবীর মাধ্যমে কাগজপত্র যাচাই করান।
সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে সার্চ রিপোর্ট সংগ্রহ করুন।
লোকালভাবে জমির ইতিহাস ও মালিক সম্পর্কে খোঁজ নিন।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply