“দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণ আলাদা” করার সিদ্ধান্তের আরও বিস্তারিত দিক, প্রেক্ষাপট, আইনগত ভিত্তি, সম্ভাব্য প্রভাব ও সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে:
গেজেটনোটিফিকেশনওসরকারিনির্দেশনা
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি সরকারি নোটিফিকেশন (গেজেট নোটিশ) জারি করেছে, যার মাধ্যমে জেলা পর্যায়ের আদালতগুলোতে *দেওয়ানি (সিভিল) ও ফৌজদারি (Sessions/criminal) আদালত পুরোপুরি পৃথক করা হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন ২০৩টি Additional Sessions Courts এবং ৩৬৭টি Joint Sessions Courts গঠন করা হবে, যারা শুধুমাত্র ফৌজদারি মামলা দেখবেন।
মামলারসংখ্যাওবিচারিকজটিলতারপরিমাপ
দেশের নিম্ন আদালতগুলোতে দেওয়ানি মামলার সংখ্যা প্রায় ১৬লক্ষ, এবং ফৌজদারি মামলার সংখ্যা প্রায় ২৩লক্ষ। বিচারকরা একই সঙ্গে সিভিল ও ফৌজদারি মামলায় দায়িত্ব পালনের কারণে বিচার প্রক্রিয়ায় সময় লাগছিল এবং মামলাজট বাড়ছিল।
কেনএইপরিবর্তনআনাহয়েছে
বিচার প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানো।
মামলা নিষ্পত্তি বাড়িয়ে মামলাজট কমানো। বিচারকদের দ্বৈত দায়িত্ব কমিয়ে তাদের কাজের দক্ষতা বাড়ানো।
আইনগতভিত্তিওপ্রেক্ষাপট:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
বিচারিকরীতিওআইন: দেওয়ানি আদালতগুলোর নিয়ন্ত্রণ “Civil Courts Act, 1887” দ্বারা এবং Sessions Judge পদের কাজ নির্দেশ করে থাকে “Code of Criminal Procedure, 1898” ও সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি আইন দ্বারা। আদালতের ধরণ ও বিচারকের পদের বিষয় উল্লেখ রয়েছে আইনগুলোর মধ্যে।
সুপ্রীমকোর্টথেকেপ্রস্তাবনা: আগে থেকেই সুপ্রিম কোর্ট আবেদন করেছিল পৃথক দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত গঠন করার জন্য।
সম্ভাব্যপ্রভাব:
সার্থকতাওসুবিধা
নিষ্পত্তির গতি বাড়বে বিশেষ করে ফৌজদারি মামলা দ্রুত চলতে পারবে এবং সিভিল মামলার জন্যও বিচারকের সময় বেশি পাওয়া যাবে।
মামলাজট কমবে বিচারকদের কাজ ভাগ হওয়ায়, প্রতিটি আদালতের মামলার সংখ্যা কমে আসবে ও নিষ্পত্তিতে সময় কম লাগবে।
দায়িত্বের স্পষ্টতা বৃদ্ধি পাবে বিচারক, কর্মচারী ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষদের জন্য কাজের ধরণ স্পষ্ট হবে।
বিশেষজ্ঞ দক্ষতা গড়ে উঠতে পারে যারা ফৌজদারি মামলায় কাজ করবেন, তারা ফৌজদারি আইনের বিশেষজ্ঞ হবেন; যারা দেওয়ানি মামলায়, তারা সিভিল আইনের ভালো কাজ করতে পারবেন।
সম্ভাব্যচ্যালেঞ্জওঝুঁকি:
মানবসম্পদওবিচারকনিয়োগ: নতুন আদালত গঠন হলে প্রচুর বিচারক, সহকারী, কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে। সেটা দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে করা প্রয়োজন।
আদালতঅবকাঠামোওখরচ: নতুন আদালত বানানো, অতিরিক্ত কোর্টরুম, অফিস, পাঠ্য ও ট্রান্সপোর্টসহ খরচ বাড়বে।
আইনঅমান্যওক্রসরেফারেন্সসমস্যা: মামলার ধরণ বা বিষয় অনুযায়ী কোন আদালতে হবে, অপর আদালতে আছে কি হবে রেফারেন্স ও স্থানান্তরের নিয়ম তৈরি করা হবে।
প্রশাসনিকওসাংগঠনিকবাস্তবায়ন: বিচার বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, রাজস্ব ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।
মানবিকওসামাজিকচাহিদা: প্রায়োগিক সময়ে সাধারণ মানুষের জন্য আদালত পৌঁছানো, লিগ্যাল ফি ও আইনি সহায়তার বিষয়, প্রান্তিক আইনজীবীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয় রয়েছে।
Leave a Reply