প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড মহাপরিচালক। তিনি বলেন, নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং পুরো বিসর্জন কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে জল, স্থল ও আকাশপথে কড়া নজরদারি রাখা হবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে কোস্টগার্ড মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক বলেছেন, এ বছরের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। যেজন্য আমাদের কার্যক্রম সেভাবেই নির্ধারণ করেছি। অত্যন্ত ভালোভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। বিসর্জনের সময় পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মনিটরিং করা হবে। তারপর সবাই যেন নিরাপদে গন্তব্যস্থানে পৌঁছে যেতে পারে সেটি দেখভাল করা হবে।
কোস্টগার্ড, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা, নজরদারি ড্রোন এবং মোবাইল টিমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চালানো হবে।
এছাড়াও, জনসাধারণকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো সন্দেহজনক কিছু দেখলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘কোস্টগার্ড একটি বিশেষ বাহিনী, যা সাধারণত পানিতে চলাচল করে। বিসর্জনের সময়টা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। আর যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটেও যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারি- আমাদের ডুবুরি দল আছে, বোট টিম আছে- সহযোগিতা করার জন্য তারা নিয়োজিত থাকবে।’
সনাতন ধর্মালম্বীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনারা নির্দ্বিধায় পূজা পালন করুন। তবে পূজার সময় কিছু কিছু যেন অতিরঞ্জিত না হয়ে যায়। আনন্দ উৎসব করতে গিয়ে যেন অন্যদের শান্তি শৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে নজর রাখবেন। যেভাবে নজরদারি রয়েছে দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি আর হবেও না। নদীপথে আমাদের টহল টিম রয়েছে।
Leave a Reply