‘প্রথমে ট্যাক্স (কর) দিয়ে পরে অন্যান্য ব্যয়’ এ ধরনের পরামর্শ ও বক্তব্য নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারনা ও উক্তি দিয়েছেন, সেগুলো বিশ্লেষণসহ তুলে ধরা হলো:
এনবিআর চেয়ারম্যান ও তাঁর বক্তব্যের সারমর্ম:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
ট্যাক্স প্রথম, তারপর ব্যয়
এনবিআর চেয়ারম্যান জনগণকে আহ্বান করেন, প্রথমে কর (ট্যাক্স) পরিশোধ করুন, তারপর যা থাকে সেই অর্থ দিয়ে জনকল্যাণ, সামাজিক খাত ও ব্যক্তিগত চাহিদা বিবেচনা করে ব্যয় করুন। তিনি বলেন:
“ট্যাক্স দেওয়ার পর যেটা থাকবে, সেটা দিয়ে এবার চিন্তা করবেন জনকল্যাণে কত ব্যয় করবেন এবং নিজের জন্য কত ব্যয় করবেন এবং কত টাকা সঞ্চয় করবেন।”
১. কর সুবিধা ও ছাড় (exemptions) নীতিতে কঠোর হুমকি:
- তিনি মন্তব্য করেছেন, ভবিষ্যতে নতুন কর ছাড় দেওয়া হবে না, শুধুমাত্র যতটা অত্যাবশ্যক (country’s interest) হবে। কর ছাড় পরিমিত ও ন্যায্যভাবে দেওয়া উচিত “No tax exemptions unless absolutely necessary.”
- ব্যবসায়ীদের প্রতি আর্জি, তারা কর ছাড়ের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভালো পরিকল্পনা ও টেকসই ব্যবসায়িক মডেল গড়ুক।
- নীতি ও প্রশাসনকে সহজ ও কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি:
- কর আইন, নীতিমালা ও প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে যাতে ব্যবসায়ীরা ও নাগরিকরা নির্ভেজালভাবে কর দান ও পরিচালিত হতে পারে।
- তিনি বলেন, “প্রযোজ্য কর অবশ্যই ভ্যাট আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৈধভাবে আদায় করতে হবে।”
- কর ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যতা ও জনমিত্রতা বজায় রাখতে কর্মকর্তা-নাগরিক যোগাযোগ ও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি জরুরি।
- রাজস্ব সংগ্রহ ও কর–জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি বিষয়ক উদ্বেগ:
- বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত (Tax to GDP ratio) কম এই বিষয়ে অর্থনৈতিক কার্যকারিতা ও রাজস্ব বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা বারবার তিনি উল্লেখ করেছেন। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি কর আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন।
- বাজেট ও সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ আহ্বান:
- তিনি অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছেন বাজেট আকার ছোট করার ও জনগণের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমানোর জন্য। বাজেট প্রণয়ন ও রাজস্ব নীতির ক্ষেত্রে জনকল্যাণ ও ব্যবসাপ্রণোদনা (business‑friendly) দিক বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক প্রতিফলন:
- এমন একটি আর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গা যাকে আমরা “প্রথম কর, পরে ব্যয়” নীতিতে রাখতে চাই, এটি একটি নৈতিক ও সুচিন্তিত বাজেটানুক্রমিক নীতি। অর্থাৎ, আগে রাজস্ব (কর) সংগ্রহ নিশ্চিত হবে, তারপর সার্বিক উন্নয়ন, জনসেবা ও ব্যক্তিগত ব্যয়বৃদ্ধি ঘটবে।
- এই নীতি প্রয়োগে সাধারণ নাগরিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান:
- কর দানের গুরুত্ব উপলব্ধি করা
- আইন ও নিয়ম মেনে চলা
- কর‑ছাড়ের সুবিধা অকারণে চাওয়া এড়ানো
- সরকারের দর্শন ও নীতির প্রতি সহযোগিতা
- এ ধরনের অভিব্যক্তি ও পরিকল্পনা রাষ্ট্রীয় আর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও শাসনব্যবস্থার অংশযেখানে কর-আদায় উন্নত হলে বাজেট ঘাটতি কমানো যাবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রম দক্ষভাবে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply