আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) প্রথমবার দাখিল করার সময় অনেকেই কিছু সাধারণ ভুল করে ফেলেন, যার ফলে ভবিষ্যতে জটিলতায় পড়তে হতে পারে। নিচে সেই ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ভুলের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো যা প্রথমবার রিটার্ন দেওয়ার সময় এড়িয়ে চলা উচিত:
১. সঠিক টিআইএন (TIN) নম্বর ও তথ্য না দেওয়া:
অনেক সময় ভুল TIN নম্বর, নামের বানান ভুল বা এনআইডি/জন্মতারিখে গড়মিল দেখা যায়।
সমস্যা হতে পারে:
পরামর্শ:
রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে NBR-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের প্রোফাইলের তথ্য মিলিয়ে নিন।
২. সঠিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব না দেওয়া:
অনেকেই মনে করেন, ছোটখাটো আয় বা পারিবারিক অনুদান দেখানো দরকার নেই। আবার ব্যয় অংশ অনেক সময় ফাঁকা রাখা হয়।
সমস্যা হতে পারে:
পরামর্শ:
নিজের প্রকৃত আয়ের সব উৎস (বেতন, ব্যাংক সুদ, ফ্রিল্যান্সিং, ভাড়া ইত্যাদি) দেখান এবং সঠিকভাবে ব্যয়ের বিবরণ দিন।
৩. কর ছাড়ের সুযোগ (Tax rebate) বাদ দেওয়া:
অনেকে ভুলে যান যে ELSS, লাইফ ইনস্যুরেন্স, শিক্ষাবিষয়ক খরচ, সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ করলে কর ছাড় পাওয়া যায়।
সমস্যা হতে পারে:
পরামর্শ:
আইনের অনুমোদিত ছাড়ের তথ্য জেনে নিন এবং সঠিকভাবে রিটার্ন ফর্মে অন্তর্ভুক্ত করুন।
৪. ব্যাংক হিসাব ও সম্পদের বিবরণ না দেওয়া বা ভুল দেওয়া
অনেকেই মনে করেন এক বা দুইটি অ্যাকাউন্ট দেখালেই চলবে। আবার সম্পদের পরিমাণ বা ঋণ ভুলভাবে দেখান।
সমস্যা হতে পারে:
পরামর্শ:
সকল সক্রিয় ব্যাংক হিসাব ও আর্থিক সম্পদ (জমি, গাড়ি, সঞ্চয়পত্র, ঋণ ইত্যাদি) সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।
৫. রিটার্ন দাখিলের পরে অ্যাকনলেজমেন্ট কপি সংগ্রহ না করা
অনেকেই শুধু অনলাইনে সাবমিট করেই দায়িত্ব শেষ মনে করেন, কিন্তু অ্যাকনলেজমেন্ট কপি ডাউনলোড বা প্রিন্ট করেন না।
সমস্যা হতে পারে:
পরামর্শ:
রিটার্ন দাখিলের পর অনলাইন অ্যাকনলেজমেন্ট ও অফিসিয়াল রিসিপ্ট অবশ্যই ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।
সংক্ষেপে চেকলিস্ট:
বিষয় | করণীয় |
TIN ও ব্যক্তিগত তথ্য | NBR প্রোফাইল মিলিয়ে দেখুন |
আয় ও ব্যয় | সঠিক উৎস থেকে পূর্ণ হিসাব দিন |
কর ছাড় | প্রযোজ্য রিবেট ক্লেইম করুন |
ব্যাংক ও সম্পদ | সব অ্যাকাউন্ট ও সম্পদ দেখান |
রিটার্ন দাখিল প্রমাণ | অ্যাকনলেজমেন্ট ডাউনলোড করুন |
Leave a Reply