৮০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বিচার বিভাগের সংস্কার : প্রধান বিচারপতি
Update Time :
Monday, September 1, 2025
61 Time View
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ (২৫তম প্রধান বিচারপতি, ১০ আগস্ট ২০২৪ থেকে দায়িত্বে) ৩১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দাওয়াতে আয়োজিত ‘জুলাই গণ‑অভ্যুত্থান: বিচার বিভাগের সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনায় বলেছিলেন: “বিচার বিভাগে ঘোষিত সংস্কার কর্মসূচির প্রায় ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।” ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে বিচারক নিয়োগের ন্যায্যতার উপর। এই ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূরর্ণ পদক্ষেপ হলো সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল কার্যকর করা। সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল কার্যকর করার মাধ্যমে কলেজিয়ামভিত্তিক নিয়োগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তাতে এই পদ্ধতি বিচারক নিয়োগো স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে পারে।
তিনি বিচার বিভাগের পূর্ণ সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তায় জোর দিয়েছেন।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দেশব্যাপী প্রতিটি আদালতে সংস্কার প্রসার ঘটানো তাঁর লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী সরকারের কাছে একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় আয়োজনের প্রস্তাব উপস্থাপনের কথা উল্লেখ করেছেন, যা বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও স্বাধীনতার সাংবিধানিক ভিত্তি আরও শক্ত করবে।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল চালু করা হয়েছে যেটি একটি কলেজিয়াম-ভিত্তিক নিয়োগ ব্যবস্থা, যা বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এই পদ্ধতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ল্যাটিমার হাউস নীতিমালার মানদণ্ড পূরণ করে।
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত গঠনের পরিকল্পনা চলছে।
এই উদ্যোগের জন্য ডিজিটাল ফাইলিং প্রক্রিয়া, প্রশিক্ষিত বিচারক, এবং খসড়া নীতি নির্দেশনা প্রস্তুত রয়েছে এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ঔদ্যোগিক ও বিনিয়োগ‑পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সংস্কার শুধুমাত্র আইন বা অধ্যাদেশ নয়, এটি একটি জীবন্ত প্রক্রিয়া।
তিনি বলেছিলেন, “এই সংস্কার রোডম্যাপ নিয়ে দেশব্যাপী পথে নেমেছি”, এবং প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পন্ন, বাকিটাও নাগালের মধ্যেই আনা সম্ভব হবে।
বিষয়
বিস্তারিত
তারিখ ও প্রেক্ষাপট
৩১ আগস্ট ২০২৫, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আলোচনা সভা
মূল দাবি
বিচার বিভাগের সংস্কার কর্মসূচির ~৮০% ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত
মূল উদ্যোগ
– পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের পথে পদক্ষেপ – স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রস্তাব – কলেজিয়াম‑ভিত্তিক আইনজ্ঞান নিয়োগ (Judicial Appointment Council) – বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত পরিকল্পনা – দেশব্যাপী রোডশো ও অংশগ্রহণমূলক বাস্তবায়ন
Leave a Reply