ল্যাংড়া‑খোঁড়া আইনে চলছে ভ্যাট কার্যক্রম” সংক্রান্ত এনবিআর চেয়ারম্যানের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষণ স্পষ্টভাবে বোঝা যায়: এ বিষয়ে আবদুর রহমান খাঁন বলেন ২০১২ সালে ভ্যাটের নতুন আইন পাশ হলেও । সেই আইন পাশ হলো ২০১৯ সালে। আমাদের সরকার যে টুকু ব্যবস্থা করা দরকার করেছেন। তিনি আরও বলেন যে ভাবে একটা পরিচ্ছন্ন আইন দরকার ছিল সেভাবে করতে পারি নাই।ব্যবসায়ীরা একমত হলে আমরা ভ্যাটের একক হারে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন ভ্যাট রির্টান সম্পূর্ণ অটোমেশনে চলে যাবে। ভ্যাটে আমরা কোন প্রকার পেপার রিটার্ন জমা নিবো না।
“ল্যাংড়া‑খোঁড়াআইন” মন্তব্যেরঅর্থ:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুররহমানখান বলেন, ২০১২সালে নতুন ভ্যাট আইন প্রণয়ন করা হয়, তবে তা ২০১৯সালে বাস্তবায়িত হয়। এই দীর্ঘ বিরতির কারণে আইনকার্যে “ল্যাংড়া‑খোঁড়া” বা অসম্পূর্ণ, বেমানান আকার ধারণ করে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আশ্বাস দেন, যে ধরনের পরিচ্ছন্ন, কার্যকর আইন ও কাঠামো দরকার ছিল, তা তৈরি করা সম্ভব হয়নি কারণ ব্যবসায়ীদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল।
অটোমেশনওডিজিটালাইজেশনেরপথেঅগ্রগতি:
ম্যানুয়ালঅডিটসিলেকশনবন্ধ করে দেওয়া হয়েছে**; অডিট এখন “অ্যাকটোমেটেড” হবে। যেখানে অটোমেশন চালু না পর্যন্ত, “অডিট বন্ধ থাকবে ‘কেয়ামত পর্যন্ত’ পর্যন্ত” এই কঠোর মন্তব্য জানানো হয়। সিপিডির সার্ভে তুলে ধরা হয়, যেখানে ব্যবসায়ীদের ৭৯% “জবাবদিহির অভাব”, ৭২% “দুর্নীতি” এবং ৭০% “ডিজিটাল রিটার্ন সিস্টেমের অনুপস্থিতি” উল্লেখ করেছেন প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে।
ভ্যাটহারেরজটিলতাএবংএককহারেরসম্ভাবনা:
ভ্যাট হারের জটিলতা নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে চরম অসন্তোষ রয়েছে। এজন্য তারা একক ভ্যাট হারের প্রস্তাব দেন যদি ব্যবসায়ীরা একমত হতে পারেন। এপ্রিল-মার্চ ২০২৫-এ এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “যদি ব্যবসায়ীরা একমত হন, তবে আমরা একটি একক, বৈশ্বিক ভ্যাট হার চালু করবো” এমনও উক্তি রয়েছে।
ভ্যাটনেটওব্যয়দক্ষতাবিস্তার:
এনবিআর এখন শুধুমাত্র বৃদ্ধির কথা নয়, বরং ভ্যাট নেট সম্প্রসারণের উপর জোর দিচ্ছে। এর আওতায় কর পরিধি ঢুকতে দেরি করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়িত্বহীন বলে গণ্য হবেন এমন ব্যবস্থা বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া, ব্যবসায়ীদের পেপারলেস এবং ডিজিটাল রিটার্ন বাধ্যতামূলক করতে কাজ চলছে; ম্যানুয়াল সিস্টেম থেকে স্বতঃফূর্ত প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হয়েছে এনবিআর।
করঅনুগামীতাএবংরেজিস্ট্রেশনবৃদ্ধিরকরণীয়তা:
দেশজুড়ে ৩ কোটি ব্যবসায়ীর মধ্যে মাত্র ২ শতাংশই ভ্যাট রেজিস্টার্ড এটি এনবিআর চেয়ারম্যানের উদ্বেগের বিষয়।
এসব ব্যবসায়ীকে ভ্যাট নেটে আনার জন্য যথাসম্ভব কমান্ড‑ড্রাইভ, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, এবং শ্রমিকদের দায়িত্বদায়িত্বি সংক্রান্ত কাঠামো তৈরি করার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
ক্ষেত্র
মূলতথ্য
আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
২০১২ → ২০১৯ বাস্তবায়ন; দীর্ঘ বিরতি ও ব্যবসায়িক আপত্তি
“ল্যাংড়া‑খোঁড়া আইন”
কাঙ্ক্ষিত পরিচ্ছন্ন ও কার্যকর আইন না হওয়ায় সমালোচনা
অটোমেশন
ম্যানুয়াল অডিট বন্ধ; স্বয়ংক্রিয় অডিট অপেক্ষমাণ
সমীক্ষার প্রতিবন্ধকতা
জবাবদিহির অভাব, দুর্নীতি, জটিল হার ও ডিজিটাল অবকাঠামোর সমস্যা
ভ্যাট হার সংস্কার
একক হার চালুর পরিকল্পনা, ব্যয় সংরক্ষণ ও নিষ্ঠা
ভ্যাট নেট সম্প্রসারণ
সমস্ত ব্যবসায়ীকে ভ্যাট নেটে আনা, আইন কাঠামো থেকে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব
রেজিস্ট্রেশন এবং স্বচ্ছতা
মাত্র ২% ব্যবসায়ীর রেজিস্ট্রেশন, ডিজিটাল রিটার্ন, রিটার্ন সিপ্লিফিকেশন এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থায় অগ্রগতি
Leave a Reply