বিচার বিলম্বিত ও ব্যয়বহুল হলে আইনও অসম্মানিত হয়, এতে ব্যবস্থাটিও সম্মান হারায়।
Update Time :
Wednesday, August 27, 2025
70 Time View
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের বক্তব্যটির বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও প্রসঙ্গ তুলে ধরছি:
বক্তব্যেরপ্রেক্ষাপট:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
প্রধান বিচারপতি সৈয়দরেফাতআহমেদ ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডিআর: রোল অব ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল এইড কমিটিস ইন ইমপ্লিমেন্টিং নিউ লেজিসলেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বলেছেন:
“বিচারবিলম্বিতওব্যয়বহুলহলেআইনওঅসম্মানিতহয়, এতেব্যবস্থাটিওসম্মানহারায়।” তিনি বিচারপ্রার্থীদের জন্য আইনি সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান ।
বক্তব্যেরগভীরতাওউপাদানসমূহ:
১. আইনেরপ্রতিআস্থাওমর্যাদারপ্রশ্ন:
প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান আমাদের শিখিয়েছে বৈধতা আসে আস্থা থেকে, কোনো পদবি বা ডিগ্রি থেকে নয় ।
অর্থাৎ, বিচারপদ্ধতি জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে সেই ক্ষেত্রে ব্যয় এবং বিলম্ব এই আস্থাকে ক্ষুণ্ন করে।
তিনি করেন, দরিদ্র নারী, শ্রমিক ও জমি থেকে বাস্তুচ্যুত কৃষকরা মোকাবিলা করেন আইনের সঙ্গে; যদি এই প্রক্রিয়া মানবিক, দ্রুতওসাশ্রয়ী হয়, তখনই আইনেরঅর্থওমর্যাদা বজায় থাকে ।
লিগ্যাল এইড অফিসগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখছে: মামলা হওয়ার আগে ৮৯% এবং মামলা দায়েরের পর ৯৩.৪২% লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে সফলভাবে সমাধান করা হয়েছে ।
আইন উপদেষ্টা উল্লেখ করেন: সাধারণ বিচার প্রক্রিয়ার তুলনায় লিগ্যাল এইড OFFICE ব্যবহার করলে ১% খরচে এবং দশভাগেরএকভাগসময়ে মানুষকে সন্তুষ্ট করা যায় ।
৩. প্রযুক্তিরব্যবহারওবিচারপ্রশাসনেসংস্কার:
অন্য একটি প্রেক্ষাপটে, প্রধান বিচারপতি বলেছেন, টেকনোলজিরসর্বোচ্চব্যবহারওপদ্ধতিগতসংস্কারের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম আরও সহজ এবং অ্যাক্সেসযোগ্য করা হচ্ছে ।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন: “ন্যায়বিচার যেন বিলম্বিত না হয়”—একটি বিচারপ্রার্থীর আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং কান্নার উদাহরণ দিয়ে যা শুধু প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়, বরং নৈতিক বাধ্যবাধকতা ।
তাঁর তাগিদ: ডিজিটালাইজেশন বিলাসিতা নয় এটি প্রয়োজনীয়তা, যা বিলম্ব কমাতে এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে সাহায্য করে ।
৪. সংগঠনগতওপ্রশাসনিকসংস্কার:
২১ সেপ্টেম্বর তিনি একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ উন্মোচন করেছিলেন বিচার বিভাগীয় সংস্কারের জন্য ।
তিনি একটি স্বতন্ত্র বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের ঘোষণা করেছেন, যা প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করবে ।
এছাড়াও, বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করেছেন ।
তিনি বলেন, “বিচার বিভাগ স্বাধীন না হলে কোনো সংস্কারই স্থায়িত্ব পাবে না”এই স্বাধীনতা রয়েছে সংস্কারের ভিত্তি ।
এর অংশ হিসেবে, কেস ব্যাকলগ, বিলম্ব ও প্রযুক্তিগত অদক্ষতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেস ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়া স্ট্রিমলাইন করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন ।
সারাংশওবিশ্লেষণ:
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য সম্পূর্ণ এবং বহুপাক্ষিক:
মূলবিষয়
বিশ্লেষণওব্যাখ্যা
বিলম্বওব্যয়
ন্যায়বিচারের মান ও আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আইনও অসম্মানিত হয়।
এডিআরওলিগ্যালএইড
ব্যয় ও সময় উভয়ই কমিয়ে মানুষকে দ্রুত, মানবিক বিচার পেয়েছে আইনের অর্থ ফিরে আসে।
প্রযুক্তিগতওসংস্থাগতসংস্কার
ডিজিটালাইজেশন, কেস ম্যানেজমেন্ট, সচিবালয় ও নিয়োগ কাউন্সিল এসব বিচার ব্যবস্থাকে দক্ষ ও স্বচ্ছ করে।
বিচারবিভাগেরস্বাধীনতা
কোন সংস্কারই অবিচ্ছিন্ন ও কার্যকরি হবে না, যদি বিচার বিভাগ স্বাধীন না হয়।
Leave a Reply