1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
September 15, 2025, 8:35 am

বিচার বিলম্বিত ও ব্যয়বহুল হলে আইনও অসম্মানিত হয়, এতে ব্যবস্থাটিও সম্মান হারায়।

  • Update Time : Wednesday, August 27, 2025
  • 70 Time View

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের বক্তব্যটির বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও প্রসঙ্গ তুলে ধরছি:

বক্তব্যের প্রেক্ষাপট:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডিআর: রোল অব ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল এইড কমিটিস ইন ইমপ্লিমেন্টিং নিউ লেজিসলেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বলেছেন:

বিচার বিলম্বিত ব্যয়বহুল হলে আইনও অসম্মানিত হয়, এতে ব্যবস্থাটিও সম্মান হারায়।
তিনি বিচারপ্রার্থীদের জন্য আইনি সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান ।

বক্তব্যের গভীরতা উপাদানসমূহ:

. আইনের প্রতি আস্থা মর্যাদার প্রশ্ন:

  • প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান আমাদের শিখিয়েছে বৈধতা আসে আস্থা থেকে, কোনো পদবি বা ডিগ্রি থেকে নয় ।
  • অর্থাৎ, বিচারপদ্ধতি জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে সেই ক্ষেত্রে ব্যয় এবং বিলম্ব এই আস্থাকে ক্ষুণ্ন করে।

. বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) লিগ্যাল এইডের গুরুত্ব:

তিনি করেন, দরিদ্র নারী, শ্রমিক ও জমি থেকে বাস্তুচ্যুত কৃষকরা মোকাবিলা করেন আইনের সঙ্গে; যদি এই প্রক্রিয়া মানবিক, দ্রুত সাশ্রয়ী হয়, তখনই আইনের অর্থ মর্যাদা বজায় থাকে ।

  • লিগ্যাল এইড অফিসগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখছে: মামলা হওয়ার আগে ৮৯% এবং মামলা দায়েরের পর ৯৩.৪২% লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে সফলভাবে সমাধান করা হয়েছে ।
  • আইন উপদেষ্টা উল্লেখ করেন: সাধারণ বিচার প্রক্রিয়ার তুলনায় লিগ্যাল এইড OFFICE ব্যবহার করলে % খরচে এবং দশ ভাগের এক ভাগ সময়ে মানুষকে সন্তুষ্ট করা যায় ।

. প্রযুক্তির ব্যবহার বিচার প্রশাসনে সংস্কার:

  • অন্য একটি প্রেক্ষাপটে, প্রধান বিচারপতি বলেছেন, টেকনোলজির সর্বোচ্চ ব্যবহার পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম আরও সহজ এবং অ্যাক্সেসযোগ্য করা হচ্ছে ।
  • তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন: “ন্যায়বিচার যেন বিলম্বিত না হয়”—একটি বিচারপ্রার্থীর আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং কান্নার উদাহরণ দিয়ে যা শুধু প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়, বরং নৈতিক বাধ্যবাধকতা ।
  • তাঁর তাগিদ: ডিজিটালাইজেশন বিলাসিতা নয় এটি প্রয়োজনীয়তা, যা বিলম্ব কমাতে এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে সাহায্য করে ।

. সংগঠনগত প্রশাসনিক সংস্কার:

  • ২১ সেপ্টেম্বর তিনি একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ উন্মোচন করেছিলেন বিচার বিভাগীয় সংস্কারের জন্য ।
  • তিনি একটি স্বতন্ত্র বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের ঘোষণা করেছেন, যা প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করবে ।
  • এছাড়াও, বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করেছেন ।

. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের অবিচ্ছেদ্যতা:

  • তিনি বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন না হলে কোনো সংস্কারই স্থায়িত্ব পাবে না”এই স্বাধীনতা রয়েছে সংস্কারের ভিত্তি ।
  • এর অংশ হিসেবে, কেস ব্যাকলগ, বিলম্ব ও প্রযুক্তিগত অদক্ষতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেস ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়া স্ট্রিমলাইন করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন ।

সারাংশ বিশ্লেষণ:

বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য সম্পূর্ণ এবং বহুপাক্ষিক:

মূল বিষয়বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা
বিলম্ব ব্যয়ন্যায়বিচারের মান ও আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আইনও অসম্মানিত হয়।
এডিআর লিগ্যাল এইডব্যয় ও সময় উভয়ই কমিয়ে মানুষকে দ্রুত, মানবিক বিচার পেয়েছে আইনের অর্থ ফিরে আসে।
প্রযুক্তিগত সংস্থাগত সংস্কারডিজিটালাইজেশন, কেস ম্যানেজমেন্ট, সচিবালয় ও নিয়োগ কাউন্সিল এসব বিচার ব্যবস্থাকে দক্ষ ও স্বচ্ছ করে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকোন সংস্কারই অবিচ্ছিন্ন ও কার্যকরি হবে না, যদি বিচার বিভাগ স্বাধীন না হয়।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews