কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা বন্ধ থাকবে: আবদুর রহমান খাঁন এনবিআর চেয়ারম্যান
Update Time :
Wednesday, August 27, 2025
94 Time View
“প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা (অডিট) বন্ধ রাখা হবে”এবিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের বিস্তারিত বক্তব্য ও প্রেক্ষাপট নিচে দেওয়া হলো:
মূলবক্তব্যওপটভূমি:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
১. বক্তব্যের সময় ও প্রেক্ষাপট: ২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ঢাকার একটি হোটেলে ‘করপোরেট কর এবং ভ্যাটে সংস্কার: এনবিআরের জন্য একটি বিচারমূলক দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্যakelেন এনবিআর চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সিপিডি (Center for Policy Dialogue), সঞ্চালনা করেন গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
“প্রয়োজনেকেয়ামতপর্যন্ত” উদ্ধৃতিরপ্রেক্ষাপট: তিনি ব্যাখ্যা করেন, এ মুহূর্তে ভ্যাট অডিট নির্বাচন সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হচ্ছে, যেখানে একই ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান বারবার নির্বাচিত হওয়ার ফলে অনিয়ন্ত্রিত হয়রানি হতে পারে। এজন্য অর্থাৎযতক্ষণপর্যন্তডিজিটাল, ঝুঁকিভিত্তিক (risk-based): সিলেকশনসিস্টেমচালুহবে, ততদিন ম্যানুয়ালভ্যাটঅডিটবন্ধরাখাহবে“প্রয়োজনে তো পড়ে যায় কেয়ামত পর্যন্ত” ।
কেনএইব্যবশ্থাজরুরি?
মনোনীত (ম্যানুয়াল) অডিটেদুর্নীতিওপক্ষপাতিত্ববাড়ে: একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বারবার অডিটের সুযোগ পেলে স্বচ্ছতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অডিটের “কোয়ালিটি” নিয়েওপ্রশ্নউঠেছে: ঘোষিত অডিটে প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না এমন অভিমত ব্যক্ত করেন চেয়ারম্যান।
স্বয়ংক্রিয়, ঝুঁকিভিত্তিকসিস্টেমেরদিকেঅগ্রসরহওয়ারপ্রয়োজন: তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই অটোমেটেড সিস্টেমে যেতে হবে।
অতিরিক্তপ্রসঙ্গওসংশ্লিষ্টঅবস্থান:
ভ্যাটআইনওরিটার্নপ্রক্রিয়ায়সংস্কারপরিকল্পনা:
২০১২ সালের ভ্যাট আইন যখন প্রণয়ন করা হয়, তা ২০১৯ সালে বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু “ল্যাংড়া‑খোঁড়া” বলে মন্তব্য করেন তিনি, কারণ কার্যকর বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হয়নি।
ভ্যাট রিটার্ন সম্পূর্ণ অটোমেশনেনিয়েযাওয়ারউদ্দেশ্য, পেপার রিটার্ন আর নেওয়া হবে না, সঙ্গে সার্ভারের চাপ কমাতে ব্যবসার ধরন অনুযায়ী শর্ত শিথিল করা হবে।
ন্যূনতমকর (Minimum tax):
তিনি মন্তব্য করেন, “ন্যূনতম কর একটা কালাকানুন”। কারণ, কর আদায় হওয়া উচিত ব্যবসায়ীর মুনাফার ওপর ভিত্তি করে, কিন্তু বাস্তবে মিনিমাল কর আরোপ করা হচ্ছে, যা আয়কর নীতির পরিপন্থী।
কিন্তু এই ধরনের নিয়মগুলো যে দ্রুত তুলে নেওয়া সম্ভব নয় কারণ তা হলে রাজস্ব আদায় কমে যাবে। তবে যখনসিস্টেমস্বচ্ছওশক্তিশালীহবে, তখন এগুলো সংস্কার করা হবে।
রাজস্বগঠনওকর–জিডিপিঅনুপাত:
কর-জিডিপি অনুপাত ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে গত বছরের ৭.৪ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৬ শতাংশে। পাকিস্তানের কর-জিডিপি তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম, যেখানে তা ১২.২ শতাংশ
করছাড় সংস্কৃতি অনেক বেশি, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করছাড় দেওয়া হলেও তা দীর্ঘসময় পর্যন্ত চলে। এই প্রবণতা রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে।
ভারতের মতো উন্নত দেশে কর-জিডিপি অনুপাত অনেক বেশি যেমন: ইউরোপে ৪৫%, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫%, জাপানে ২৪% তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান খুবই স্বল্প বলতে পারেন।
পরিশিষ্ট – সারসংক্ষেপ:
বিষয়
সংক্ষিপ্তবিবরণ
ম্যানুয়ালভ্যাটঅডিটবন্ধ
ডিজিটাল, ঝুঁকিভিত্তিক সিস্টেম না হওয়া পর্যন্ত ম্যানুয়াল নির্বাচন বন্ধ থাকবে; প্রয়োজনে “কেয়ামত পর্যন্ত”
কারণ
পক্ষপাত ও দুর্নীতিপূর্ণ ভূমিকায় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব
Leave a Reply