1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
September 15, 2025, 11:06 am

কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা বন্ধ থাকবে: আবদুর রহমান খাঁন এনবিআর চেয়ারম্যান

  • Update Time : Wednesday, August 27, 2025
  • 94 Time View

 “প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা (অডিট) বন্ধ রাখা হবে”এবিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের বিস্তারিত বক্তব্য ও প্রেক্ষাপট নিচে দেওয়া হলো:

মূল বক্তব্য পটভূমি:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

১.  বক্তব্যের সময় ও প্রেক্ষাপট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ঢাকার একটি হোটেলে ‘করপোরেট কর এবং ভ্যাটে সংস্কার: এনবিআরের জন্য একটি বিচারমূলক দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্যakelেন এনবিআর চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সিপিডি (Center for Policy Dialogue), সঞ্চালনা করেন গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

  1. প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্তউদ্ধৃতির প্রেক্ষাপট:
    তিনি ব্যাখ্যা করেন, এ মুহূর্তে ভ্যাট অডিট নির্বাচন সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হচ্ছে, যেখানে একই ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান বারবার নির্বাচিত হওয়ার ফলে অনিয়ন্ত্রিত হয়রানি হতে পারে। এজন্য অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত ডিজিটাল, ঝুঁকিভিত্তিক (risk-based): সিলেকশন সিস্টেম চালু হবে, ততদিন ম্যানুয়াল ভ্যাট অডিট বন্ধ রাখা হবে“প্রয়োজনে তো পড়ে যায় কেয়ামত পর্যন্ত” ।
  2. কেন এই ব্যবশ্থা জরুরি?
    • মনোনীত (ম্যানুয়াল) অডিটে দুর্নীতি পক্ষপাতিত্ব বাড়ে: একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বারবার অডিটের সুযোগ পেলে স্বচ্ছতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
    • অডিটেরকোয়ালিটিনিয়েও প্রশ্ন উঠেছে: ঘোষিত অডিটে প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না এমন অভিমত ব্যক্ত করেন চেয়ারম্যান।
    • স্বয়ংক্রিয়, ঝুঁকিভিত্তিক সিস্টেমের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজন: তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই অটোমেটেড সিস্টেমে যেতে হবে।

অতিরিক্ত প্রসঙ্গ সংশ্লিষ্ট অবস্থান:

  1. ভ্যাট আইন রিটার্ন প্রক্রিয়ায় সংস্কার পরিকল্পনা:
    • ২০১২ সালের ভ্যাট আইন যখন প্রণয়ন করা হয়, তা ২০১৯ সালে বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু “ল্যাংড়া‑খোঁড়া” বলে মন্তব্য করেন তিনি, কারণ কার্যকর বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হয়নি।
    • ভ্যাট রিটার্ন সম্পূর্ণ অটোমেশনে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য, পেপার রিটার্ন আর নেওয়া হবে না, সঙ্গে সার্ভারের চাপ কমাতে ব্যবসার ধরন অনুযায়ী শর্ত শিথিল করা হবে।
  2. ন্যূনতম কর (Minimum tax):
    • তিনি মন্তব্য করেন, “ন্যূনতম কর একটা কালাকানুন”। কারণ, কর আদায় হওয়া উচিত ব্যবসায়ীর মুনাফার ওপর ভিত্তি করে, কিন্তু বাস্তবে মিনি­মাল কর আরোপ করা হচ্ছে, যা আয়কর নীতির পরিপন্থী।
    • কিন্তু এই ধরনের নিয়মগুলো যে দ্রুত তুলে নেওয়া সম্ভব নয় কারণ তা হলে রাজস্ব আদায় কমে যাবে। তবে যখন সিস্টেম স্বচ্ছ শক্তিশালী হবে, তখন এগুলো সংস্কার করা হবে।
  3. রাজস্ব গঠন করজিডিপি অনুপাত:
    • কর-জিডিপি অনুপাত ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে গত বছরের ৭.৪ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৬ শতাংশে। পাকিস্তানের কর-জিডিপি তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম, যেখানে তা ১২.২ শতাংশ
    • করছাড় সংস্কৃতি অনেক বেশি, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করছাড় দেওয়া হলেও তা দীর্ঘসময় পর্যন্ত চলে। এই প্রবণতা রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে।
    • ভারতের মতো উন্নত দেশে কর-জিডিপি অনুপাত অনেক বেশি যেমন: ইউরোপে ৪৫%, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫%, জাপানে ২৪% তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান খুবই স্বল্প বলতে পারেন।

পরিশিষ্টসারসংক্ষেপ:

বিষয়সংক্ষিপ্ত বিবরণ
ম্যানুয়াল ভ্যাট অডিট বন্ধডিজিটাল, ঝুঁকিভিত্তিক সিস্টেম না হওয়া পর্যন্ত ম্যানুয়াল নির্বাচন বন্ধ থাকবে; প্রয়োজনে “কেয়ামত পর্যন্ত”
কারণপক্ষপাত ও দুর্নীতিপূর্ণ ভূমিকায় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব
বিকল্প পদ্ধতিস্বয়ংক্রিয়, ঝুঁকিভিত্তিক সিলেকশন সিস্টেমে প্রত্যাবর্তন
আইনি সংস্কারভ্যাট আইন, রিটার্ন পদ্ধতি ও ন্যূনতম কর পর্যালোচনা ও সংস্কার; তবে এটি ধাপে ধাপে হবে
রাজস্ব ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জকর-জিডিপি অনুপাত কম, করছাড় সংক্রান্ত সংস্কৃতি এবং দুর্বল রাজস্ব আদায় কাঠামো

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews