জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া লেখা হয়েছে : আলী রীয়াজ
Update Time :
Sunday, July 27, 2025
139 Time View
জুলাই সনদ” বা “জাতীয় সনদ”‑এর প্রাথমিক খসড়া বা রূপরেখা সম্পর্কে অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ‑এর বক্তব্যের আলোকে নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
জুলাইসনদকিএবংপ্রেক্ষাপট:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
“জুলাই সনদ” একটি প্রায় সম্মিলিত (consensus‑based) প্রতিশ্রুতিপত্র যা ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান ও পরবর্তী সময়ের জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি সংবলিত হবে ।
এতে সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও অন্যান্য মৌলিক বিষয়গুলিতে একটি অন্তত সম্মতির ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকবে ।
প্রক্রিয়াওসময়সীমা:
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যক্রম শুরু করে এবং প্রথম পর্যায়ের সুপারিশসমূহ (১৬৬টি সুপারিশ) পরবর্তী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের জন্য পাঠায় ।
তার পর ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৫টি অধিবেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন দলদের সঙ্গে আলোচনা চালানো হয় এবং ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয় ।
পরবর্তী পর্যায়ে (জুন–জুলাই) দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় কমিশন দ্রুত একটি খসড়া সনদ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে আলোচনা চালায় ।
আলীরীয়াজেরবক্তব্যওনির্দেশনাসংক্ষিপ্তভাবে:
➤জাতীয়সনদহচ্ছেপ্রথমপ্রাসংগিকপদক্ষেপ:
রাষ্ট্রকে একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক কাঠামোয় গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এটি “নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ” হিসেবে বিবেচিত হবে ।
➤সময়সীমাওপ্রচেষ্টাসম্পর্কিত:
তিনি জানিয়েছেন, জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে “একটা সনদের জায়গায়” আসা সম্ভব হতে পারে, যদি সম্মিলিত চেষ্টা ও আন্তরিক সহযোগিতা থাকে ।
“সময় কম” তাই দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন, বিশেষ করে ২২ জুলাইয়ের আলোচনায় যথাসম্ভব দ্রুত সনদ কার্যকর করতে আহ্বান জানিয়েছেন ।
➤কন্টেন্টনির্বাচনওঅন্তর্ভুক্তিবিষয়ে:
তিনি উল্লেখ করেন, সনদে কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং কী থাকবে না তা এখনই নির্ধারণ করতে হবে—একটি কাঠামোগত আলোচনা প্রয়োজন ।
একটি জাতীয় ঐকমত্যভিত্তিক ঘোষণা যা রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রক্রিয়া
ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ থেকে শুরু করে প্রাথমিক আলোচনা → দলীয় মত গ্রহণ → দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক ও সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে খসড়া প্রস্তুত।
সময়সীমা
ফেব্রুয়ারি‑মে: সুপারিশ প্রণয়ন ও মতগ্রহণ → জুন‑জুলাই: আলোচনার মধ্য দিয়ে সনদ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে। বিশেষভাবে জুলাই মাসে খসড়া প্রস্তুত ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ।
আন্তরিকতাপ্রয়োজনকেন?
সময় সীমাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন দলের মধ্যে “এক জায়গায়” পৌঁছানো সম্ভব হলে তা কার্যকারিতা নিশ্চিত করবে। কিছু জায়গায় ছাড় বা মিলতেই হবে।
Leave a Reply