হাইকোর্টেরনির্দেশ: ৪৩তমবিসিএসনন–ক্যাডার ৮৫০১টিপদসংরক্ষণসংক্রান্তবিস্তারিতবিবরণ:
বাংলাদেশের হাইকোর্ট ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ৪৩তম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য ৮৫০১টি নন-ক্যাডার পদ সংরক্ষণ করতে সরকার তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশ যুক্ত একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে আদালতের আদেশের মূল পয়েন্টগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
পরিপ্রেক্ষিত ও রিট আবেদন:
- ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল।
- প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৯,৮৪১ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
- বিসিএস সার্কুলারে বলা হয়েছিল, ক্যাডার পদে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে যারা নন-ক্যাডার পদে কর্মী হতে ইচ্ছুক তারা অনলাইনে পছন্দক্রম (preference) জমা দেবেন।
- পরবর্তীতে বিভিন্ন ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে মোট কয়েক হাজার প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়, কিন্তু নন-ক্যাডারদের একটি পূর্ণাঙ্গ মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, যা নিয়ম তথা আইন অনুযায়ী প্রয়োজন হিসেবে দেখা হয়।
- কিছু প্রার্থীর রিট দায়েরের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের মে মাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পাঠানো নন-ক্যাডার পদগুলো সমন্বয় করে ৮,৫০১টি পদ ৪৩তম বিসিএস-এর নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ করে পিএসসি-কে সুপারিশ করার জন্য নির্দেশ দেয়।
- কিন্তু পরবর্তীতে পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পদগুলোর একটি বড় অংশ প্রত্যাহার করে এবং পরে সেই পদসমূহ ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করার প্রজ্ঞাপন জারি করে।
- এরপর ৭৭৩ জন বাদী প্রার্থী আদালতে আবার আবেদন দায়ের করেন, যেখানে তারা চান অবশিষ্ট থাকা বা বরাদ্দকৃত ৮৫০১টি পদটি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হোক।
হাইকোর্টের আদেশে মূল পয়েন্ট:
৮৫০১টি পদ সংরক্ষণ:
হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত ওই রিট মামলার রুল শেষ না হয় (অর্থাৎ মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসে), ৮৫০১টি নন-ক্যাডার পদ ৪৩তম বিসিএস-এর জন্য সংরক্ষণ (reserved) থাকবে এবং এই পদগুলো ৪৪তম বা পরবর্তী বিসিএসের প্রার্থীদের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
তর্ক ও যুক্তি:
- রিট আবেদনকারীরা বলেছেন, নন-ক্যাডারদের জন্য মেধা তালিকা প্রকাশ না করে পছন্দক্রম ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে।
- পদগুলো প্রত্যাহার করে অন্য বছরের পরীক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা সম্পূর্ণ বিধি এবং আইনের পরিপন্থি।
- এর ফলে অনেক প্রার্থীর বাংলাদেশ সরকারি চাকরিতে আবেদন করার বয়স সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, এবং এর ফলে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবন কঠিন হয়ে পড়েছে।
- আদালতের শুনানির ধারা:
- আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।
- উভয় পক্ষের যুক্তি শোনা হয়ে হাইকোর্ট এই আদেশ দিয়েছেন।
- আদেশে বলা হয়েছে, রিটের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ব্যাবহার ও বরাদ্দ সংক্রান্ত পদগুলো ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্যই সংরক্ষণযোগ্য।
-
উপসংহার:
হাইকোর্টের এই নির্দেশের মাধ্যমে ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৮৫০১টি পদ বর্তমানে সংরক্ষিত থাকবে, এবং এই পদগুলোর কোনো অংশ ৪৪তম বা পরবর্তী ব্যাচের প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা যাবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত রিট মামলার রুল নিষ্পত্তি হয়। এতে এই ব্যাচের প্রার্থীরা আইনের আওতায় ন্যায্য সুযোগ পেতে পারবে বলে আদালত ধার্য করেছেন।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply