1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
December 7, 2025, 5:35 am

আইজিপি বাহারুল আলমকে সরিয়ে দিতে লিগ্যাল নোটিশ

  • Update Time : Saturday, December 6, 2025
  • 44 Time View

কেন লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে:

  • সম্প্রতি, জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন (নিঃশর্ত-ইনভেস্টিগেশন কমিশন) প্রতিবেদনে, ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যা মামলা তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় (বা দায়িত্ব পালনে) ব্যর্থতার জন্য বাহারুল আলমের নাম এসেছে। সেই কারণে  “দায়িত্বে ব্যর্থতা” এবং “নির্ধারিত কর্তব্য পালনে উদাসীনতা / গাফিলতি”  এর প্রেক্ষিতে নোটিশ পাঠিয়ে তাকে অপসারণ করার দাবি তুলা হয়েছে। উপরোক্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী সংশ্লিষ্ট সচিবদের (প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব) কাছে নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাহারুল আলমকে অপসারণ করার দাবি, এবং না হলে “আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে” হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই কারণেই “লিগ্যাল নোটিশ” এখন গুরুত্ব পেয়েছে  তবে এর ভিত্তি ও কার্যকারিতা বিচার্য।

লিগ্যাল নোটিশ:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

এক “লিগ্যাল নোটিশ” (legal notice / আইনি নোটিশ) হলো একটি লিখিত নথি, যা প্রাথমিকভাবে পাঠানো হয় পক্ষকে জানিয়ে দেয় যে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এবং একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে (যেমন: অপসারণ, দায় নেয়ার, বা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ) না হলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে দায়ীদের তালিকায় নাম আসায় বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমকে অপসারণ করতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে অপসারণ করতে বলা হয়েছে। অন্যাথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। তারা হলেন, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুস সামাদ, অ্যাডভোকেট শাহিন হোসেন ও অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমান।

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জন প্রশাসন সচিব ও আইন সচিবকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার নাম এসেছে। স্পর্শকাতর ওই প্রতিবেদনে আইজিপির নাম আসার পরই প্রশাসনের ভেতরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

প্রতিবেদনে আইজিপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ করে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) দায়িত্ব পালনকালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠে এসেছে বাহারুল আলমের বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় তার ভাগ্যে কী হতে পারে-তা নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সীমান্তরক্ষী এই বাহিনীর তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরণ আইনের মামলায় ১৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

আরও অন্তত ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। তবে ঘটনার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই নানা প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন ভুক্তভোগীরা। ঘটনার দেড় দশক এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সাত সদস্যের জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠন করে সরকার। তদন্ত কমিশন গত ৩০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

সেই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়ানক সব তথ্য। প্রতিবেদনে ১৪৬ নম্বর পয়েন্টে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। তারা হলেন, তৎকালীন আইজিপি নূর মোহাম্মদ, তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার নাইম আহমেদ, তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি প্রধান) বাহারুল আলম, সাবেক (পলাতক) অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, বিডিআর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ এবং তার অধীনস্থ তদন্ত দল।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews