1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
November 26, 2025, 1:57 am

দেশের সব সংস্কার আইনের মাধ্যমেই হয়েছে : আইন উপদেষ্টা

  • Update Time : Monday, November 24, 2025
  • 59 Time View

“দেশের সব সংস্কার আইনের মাধ্যমে হয়েছে : আইন উপদেষ্টা” এই কথাটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা . আসিফ নজরুল বলেছেন। নিচে তার বক্তব্যের প্রেক্ষাপট এবং তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ বিশ্লেষণ করে দিচ্ছি এবং কিছু চ্যালেঞ্জও তুলে ধরছি।

আইন উপদেষ্টা কে এবং তার ভূমিকা কী?

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
  1. আইন, বিচার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা: ড. আসিফ নজরুল বর্তমান (অন্তর্বর্তী) সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা।
  2. দায়িত্ব:
    • আইন মন্ত্রণালয়ের সংস্কার কর্মকান্ড দেখভাল করা।
    • আদালত প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করা (উদাহরণ: ই-পারিবারিক আদালত চালু করা)
    • আটিয়ে রাখা বা হয়রানিমূলক মামলাগুলোতে আইনগত সহায়তা দেওয়া এবং এমন ব্যবস্থা আনা যাতে দরিদ্র জনগণের ন্যায়বিচার আরও সহজ হয়।
    • বিচারিক নিয়োগে সিস্টেম পরিবর্তন।
    • আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করার প্রক্রিয়া।
    • সাইবার আইন সংশোধন: “সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২۵” প্রণয়ন করেছেন, এবং পুরানো কিছু “নিপীড়নমূলক” ধারাগুলো বাতিল করার কথা বলছেন।
  3. সংগঠন প্রশাসনিক দায়িত্ব:
    • স্পিকারের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বও (সংস্থাপন অনুযায়ী) আইন উপদেষ্টার ওপর দেওয়া হয়েছে।
    • আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে সহজলভ্য করার জন্য কাজ করছেন, যাতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয় এবং সাধারণ মানুষ ঐ সেবা পেতে পারে।

দেশের সব সংস্কার আইনের মাধ্যমে হয়েছে”  তাঁর এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা:

  1. সংস্কারপ্রক্রিয়া আইনগতভাবে পরিচালিত: আইন উপদেষ্টা বলছেন যে, যেসব পরিবর্তন বা সংস্কার তারা করছেন, সেগুলোর সবই আইনগত পথ অনুসরণ করে  অর্থাৎ নতুন আইন বা বিদ্যমান আইন সংশোধন করে।
  2. সংখ্যাগত পরিমাপ: তিনি বলেছেন যে মোট ২১টি জায়গায় আইন সংস্কার করা হয়েছে
  3. লক্ষ্য: তাঁর মতে, তারা এমন আইন কাঠামো গড়তে চাইছেন যাতে ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট প্রকারের শাসন বা “ফ্যাসিবাদ” গড়ে ওঠা কঠিন হয়।
  4. প্রগতিশীল পরিবর্তন: তিনি বলেন যে অনেক কাজ করেছেন যা আগে হয়েছে নি যেমন মামলা-পূর্ব বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার বিধান, ডিজিটালাইজেশন, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ইত্যাদি।
  5. প্রতিবন্ধকতা গুরুত্ব: যদিও আইনগত সংস্কার ঘটেছে, তিনি সতর্কও করেছেন যে যদি সংশ্লিষ্ট আইনজীবী, বিচারপ্রণালী ও অন্য স্টেকহোল্ডাররা এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব না নেয় এবং ধারাবাহিকতা বজায় না রাখে, তাহলে সংস্কার টেকসই নাও হতে পারে।

চ্যালেঞ্জ সমালোচনা:

  • সুপারিশ অংশগ্রহণ: কিছু সমালোচক বলছেন যে আইন সংস্কারে সংশ্লিষ্ট সবাই (আইনজীবী, বিচারপতি, সাধারণ মানুষ) পুরোপুরি অংশ নিচ্ছেন না  এবং আইন সংস্কার শুধু আইন উপদেষ্টার কিছু দৃষ্টিভঙ্গার ভিত্তিতে হচ্ছে।
  • পলিটিক্যাল ইমপ্লিকেশন: কিছু পর্যালোচনায় বলা হচ্ছে যে আইন সংস্কার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েও হতে পারে  বিশেষ করে “ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হবে” বলে মন্তব্যকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেখা হচ্ছে।
  • সচলতা বাস্তবায়ন: আইন তৈরি বা সংশোধন করা সহজ হতে পারে, কিন্তু সেই আইনগুলো কার্যকরভাবে চালু ও পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করা এবং জনগণ পর্যন্ত পৌঁছানো  এটা বড় চ্যালেঞ্জ।
  • সাসটেইনেবিলিটি: তিনি নিজেই বলেছেন, ধারাবাহিকতা না থাকলে আইন সংস্কার “টিকবে না”।

মূল্যায়ন

  • আইন উপদেষ্টার দৃষ্টিকোণ থেকে, এই আইন-ভিত্তিক সংস্কার প্রকল্পগুলো একটি সিরিয়াস প্রচেষ্টা: তারা শুধু প্রতীকী পরিবর্তন করছে না, বরং আইনগত ভিত্তি তৈরি করছে ভবিষ্যৎ স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য।
  • যদি আইন গঠন, সংশোধন ও প্রয়োগ সঠিকভাবে করা যায় এবং স্টেকহোল্ডাররা সক্রিয়ভাবে এতে যুক্ত থাকে, তাহলে এমন সংস্কারগুলোর ইতিবাচক প্রভাব থাকতে পারে যেমন: বিচার ব্যবস্থার দ্রুততা, স্বচ্ছতা, মানুষের ন্যায্য সেবা পাওয়া ইত্যাদি।
  • তবে, আইন শুধুমাত্র একটি মাধ্যম; যদি প্রশাসন, সমাজ এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি না বদলায়, আইন সংস্কার একারেই সব সমস্যার সমাধান নাও করতে পারে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews