শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের মৃত্যু দণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ, চৌধুরী মামুনের ৫ বছর কারাদণ্ড
-
Update Time :
Monday, November 17, 2025
-
45 Time View
ঘটনাপটের ব্যাকগ্রাউন্ড:
- ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে বাংলাদেশে একটি বড় ছাত্র-জনতা আন্দোলন হয়। সে সময় অনেক নিহত ও আহত ঘটে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
- এই ঘটনায় “মানবতাবিরোধী অপরাধ” (crimes against humanity) মানে যা ট্রাইব্যুনাল-কেস হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
- যেসব আসামি রয়েছে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এবং সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
- বিচার করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ (ICT-1) এ।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান–কামালের মৃত্যুদণ্ড:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- অভিযোগ ও যুক্তি:
- রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) যুক্তি দিচ্ছে যে, তাঁরা “জুলাই-আগস্ট গণহত্যা (mass killing)”-তে দায়ী সাধারণত “মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ”, “নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড” ইত্যাদির কথা বলা হচ্ছে।
- প্রসিকিউটর দাবি করেছেন যে, হাসিনা এবং কামাল সেই গতিবিধির পরিকল্পনায় বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন, এবং নির্মম দমনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষভাবে বলা হচ্ছে, ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল, এবং “মারণাস্ত্র” ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
- এছাড়া, মামুন (সাবেক আইজিপি) রাজসাক্ষী (state witness) হয়েছেন তার জবানবন্দি এবং স্বীকারোক্তি প্রযোজ্য দৃষ্টান্ত হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে।
- রাষ্ট্রপক্ষের দাবি:
- চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।
- একই সময়ে, রাষ্ট্রপক্ষ চাচ্ছে যে, নিহত ও আহতদের পরিবারকে “ক্ষতিপূরণ” দেওয়া হোক বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে আসামিদের সম্পদ থেকে।
- প্রসিকিউশন রাজসাক্ষী (অর্থাৎ মামুন) বিষয়টি আদালতের ওপর রেখে দিয়েছেন অর্থাৎ মামুনের শাস্তি ঠিক করার সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালকে করতে হবে।
- আদালতের অবস্থান এবং প্রক্রিয়া:
- ১০ জুলাই ২০২৫-এ ট্রাইব্যুনাল শুরু করে মামলার কার্যক্রম। একটি লিখিত আদেশে, ট্রাইব্যুনাল বলেছে মামুনকে ক্ষমার (pardon) বিষয়টি “পর্যালোচনা করা যেতে পারে” যদি তিনি সম্পূর্ণ সত্য জানায়।
- মামুন বর্তমানে কারাগারে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে অন্য বন্দিদের সঙ্গে না মিশতে হয়।
- রায় ঘোষণা শুরু হয়েছে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের প্যানেল রায়ে কাজ করছে।
- রায়:
- উইকিপিডিয়া এবং অন্যান্য উৎসে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড (capital punishment) দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে (তিনি দোষ স্বীকার করেছেন এবং রাজসাক্ষী হয়েছেন)।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন–এর ৫ বছরের কারাদণ্ড:মামুন (সাবেক আইজিপি) প্রথমে রাজসাক্ষীর আবেদন করেছিলেন অর্থাৎ তিনি স্বীকার করেছেন যে, তাঁর অপরাধ রয়েছে এবং তিনি পুরো সত্য বলতে চান। ট্রাইব্যুনাল তাঁর রাজসাক্ষীর আবেদন মঞ্জুর করেছে।
- ট্রাইব্যুনাল শর্ত দিয়েছে যে, যদি তিনি সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করেন, তাহলে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
- যদিও প্রসিকিউটর প্রথমে মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছিল, কিন্তু মামুনের সহযোগিতার কারণে এবং সত্য প্রকাশের প্রস্তাব-শর্তে, তাঁকে মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচিয়ে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বিষয়েও ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিয়েছে যাতে মামুনকে অন্য বন্দিদের থেকে আলাদা সেলে রাখা হয়, তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
কিছু প্রশ্ন ও বিশ্লেষণ:
- রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: এই মামলা এবং রায় রাজনীতিকভাবে খুবই সংবেদনশীল কারণ এটি শক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে।
- আইনি চ্যালেঞ্জ: রাজসাক্ষীর ক্ষেত্রে “সত্য প্রকাশ” শর্ত দেওয়া হয়েছে কিন্তু কি পরিমাণ সত্য বলা হবে, তার মূল্যায়ন কীভাবে করা হবে এবং ক্ষমা দেওয়া হবে কি না এগুলো স্পষ্টভাবে নির্ধারিত নয়।
- আদালতের স্বচ্ছতা: ট্রাইব্যুনালটি একটি বিশেষ আদালত; আইনগত এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো, বিচারিক স্বাধীনতা এবং অ্যাকাউন্টেবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
- সাব্যস্ততা ও প্রমাণ: প্রসিকিউশন যুক্তি ও প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উপস্থাপন করেছে কিন্তু বাকি প্রক্রিয়া (আপিল, প্রতিরক্ষা) কীভাবে হবে, তা গুরুত্বপূর্ণ।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply