1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
November 4, 2025, 11:53 pm

ব্যক্তি আয়কর ৬৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো সম্ভব

  • Update Time : Monday, November 3, 2025
  • 74 Time View

বাংলাদেশে ব্যক্তি আয়কর (Personal Income Tax) ৬৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো সম্ভব কি না এটি একটি বড় অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রশ্ন। এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে হলে কয়েকটি দিক বিবেচনা করতে হয়: রাজস্ব কাঠামো, আয়কর দাতার সংখ্যা, কর-জিডিপি অনুপাত, কর ব্যবস্থাপনা, এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতা। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।

 বর্তমান প্রেক্ষাপট (২০২4-২৫ অর্থবছর ধরে):

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
  • মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য: প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি।
  • এর মধ্যে আয়কর (ব্যক্তি + প্রতিষ্ঠান): প্রায় ১.৬–১.৮ লক্ষ কোটি টাকা।
  • শুধু ব্যক্তি আয়কর: প্রায় ৭০–৮০ হাজার কোটি টাকার মতো।
  • করজিডিপি অনুপাত: মাত্র ৮–৯% (ভারত ১১–১২%, নেপাল ১৩%+)
  • করদাতা সংখ্যা: নিবন্ধিত প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ, কিন্তু নিয়মিত রিটার্ন জমা দেয় প্রায় ৩৫–৪০ লক্ষ মানুষ।

৬৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো মানে কী?

যদি বর্তমানে ব্যক্তি আয়কর থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায়,
→ সেটি ৬৫ হাজার কোটি বাড়ালে মোট হবে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা,
অর্থাৎ প্রায় ৮১% বৃদ্ধি।

এটি অর্জন করা সম্ভব, তবে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে।

 কীভবে বাড়ানো সম্ভব (সম্ভাব্য কৌশল)

করদাতা সংখ্যা বাড়ানো:

  • বর্তমানে ৪০ লাখ মানুষ আয়কর দেয়;
    যদি এটি ১ কোটি করা যায়, আয় অনেক বাড়বে।
  • উচ্চবিত্ত ও পেশাজীবীদের (ডাক্তার, আইনজীবী, ফ্রিল্যান্সার, রিয়েল এস্টেট মালিক ইত্যাদি) কর নেটওয়ার্কে আনা জরুরি।
  • ডিজিটাল লেনদেন, মোবাইল ব্যাংকিং ও ই-কমার্স ডেটা ব্যবহার করে অঘোষিত আয়ের উৎস শনাক্ত করা সম্ভব।

২.কর ফাঁকি কর ফাঁদ রোধ:

  • অনেকেই আয়ের সঠিক হিসাব দেন না বা কম দেখান।
  • আধুনিক ডেটা অ্যানালিটিকস ও AI-ভিত্তিক ঝুঁকি বিশ্লেষণ ব্যবস্থায় ফাঁকিবাজদের শনাক্ত করা যায়।
  • TIN, NID, ব্যাংক হিসাব, ও ভূমি রেজিস্ট্রির ডেটা একীভূত করলে কর আদায় উল্লেখযোগ্য বাড়বে।

৩.করহার না বাড়িয়ে কর প্রশাসন শক্তিশালী করা:

  • করহার বাড়ালে কর ফাঁকি বেড়ে যায়। বরং
    করদানে সহজতা (e-filing, e-payment) বাড়ানো জরুরি।
  • কর অফিসে দুর্নীতি ও হয়রানি কমানো গেলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেকে কর দেবেন।

৪.কর প্রণোদনা সামাজিক সচেতনতা:

  • কর দিলে সুবিধা (যেমন সহজ ঋণ, সরকারি সেবা, অগ্রাধিকার ইত্যাদি) দিলে মানুষ উৎসাহিত হবে।
  • স্কুল-কলেজ পর্যায়ে “ট্যাক্স কালচার” শিক্ষা দেওয়া দরকার।

৫.অপ্রকাশিত আয়ের বৈধায়ন সীমিতভাবে:

  • নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উচ্চ জরিমানাসহ অপ্রকাশিত আয় ঘোষণা করার সুযোগ দিলে তা থেকে অতিরিক্ত রাজস্ব আসতে পারে।

 সম্ভাব্য সময়সীমা:

  • স্বল্পমেয়াদে ( বছর): ১০–১৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো সম্ভব প্রশাসনিক সংস্কারে।
  • মধ্যমেয়াদে ( বছর): করদাতা দ্বিগুণ হলে ৫০–৬৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো বাস্তবসম্মত।
  • দীর্ঘমেয়াদে (১০ বছর): আয়কর থেকে রাজস্ব দ্বিগুণ করা সম্ভব।

 চ্যালেঞ্জসমূহ:

  • অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের বড় অংশ করের আওতার বাইরে।
  • রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক দক্ষতা প্রয়োজন।
  • ডিজিটাল অবকাঠামো ও ডেটা একীভূতকরণ ব্যয়বহুল।
  • কর সংস্কারে প্রতিরোধ (বিশেষত উচ্চআয় শ্রেণিতে) দেখা দিতে পারে।

সারসংক্ষেপ:

বিষয়বর্তমান অবস্থাসম্ভাব্য উন্নয়ন
ব্যক্তি আয়কর আয়~৮০,০০০ কোটি টাকা১,৪৫,০০০ কোটি টাকা
করদাতা সংখ্যা~৪০ লক্ষ≥১ কোটি
সময়সীমা৩–৫ বছরবাস্তবসম্মত
মূল কৌশলকর প্রশাসন আধুনিকীকরণ, নতুন করদাতা যুক্ত করা, কর ফাঁকি রোধ
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews