আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা দিতে যে-যারা বাধ্য, তার বিস্তারিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিচে দেওয়া হলো:
যারা আয়কর রিটার্ন দিতে হবে:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
১. যাঁদের করযোগ্য আয় (Taxable Income):
- সাধারণ ব্যক্তি (স্বাভাবিক করদাতা) যদি বছরে তাদের আয় নির্ধারিত করমুক্ত সীমা (threshold) ছাড়িয়ে যায়।
- “করযোগ্য আয়” মানে শুধুমাত্র বেতন নয় অন্যান্য আয় যেমন ব্যবসা, স্বর্লাভ, সম্পত্তি থেকে আয় ইত্যাদি।
- নির্দিষ্ট শ্রেণির করদাতার করমুক্ত সীমা:
- স্বাভাবিক ব্যক্তি: বছরে ~ ৩.৫ লাখ টাকা।
- মহিলা বা বয়স ≥ ৬৫ বছর: বছরে ~ ৪ লাখ টাকা।
- (কিছু উৎস অনুযায়ী) তৃতীয় লিঙ্গ বা প্রতিবন্ধী করদাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর আলাদা থ্রেশহোল্ড আছে।
- ২. যারা অন্য কারণে বাধ্যতামূলক রিটার্ন দিতে হবে, এমনকি তাদের আয় করযোগ্য সীমার নিচে হলেও:
- যাদের টিআইএন (TIN) রয়েছে।
- কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার।
- ফার্মের পার্টনার।
- সরকারি সেবা, লাইসেন্স অথবা লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা দিতে হবে “প্রমাণ জমা” হিসেবে (Proof of Submission)।
- নির্দিষ্ট উদ্যোগ বা সার্ভিস-রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেমন ট্রেড লাইসেন্স, ক্লাব সদস্যপদ, গাড়ি বা রিয়েল এস্টেট-সম্পর্কিত নিবন্ধন।
- যারা আয়ের উৎসে বিশেষ ক্ষেত্রে কর সুবিধা বা ছাড়ে (যেমন, রেট কম বা এক্সেম্প্টেড আয়) তাদেরাও রিটার্ন দিতে হতে পারে।
- ৩. অনলাইন “শূন্য” (Nil) রিটার্ন:
- এমন করদাতা যারা বছরের মধ্যে আয় কম ছিল বা করমুক্ত সীমার নিচে ছিল, তারা “শূন্য আয়ের” রিটার্ন দিতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে দিতে বাধ্যও।
- অর্থাৎ, আয় কম হলেও রিটার্ন দাখিল করা যেতে পারে “জিরো” আয়ের তথ্য দেখিয়ে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- ইনকাম বছর: বাংলাদেশের কর বছরের সময়কাল হচ্ছে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন। রিটার্ন দাখিল করার সময়সীমা (“Tax Day”): ব্যক্তির ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা দিতে হবে, সাধারণত, ইনকাম বছরের পরবর্তী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।
- পেনাল্টি: নির্ধারিত সময়ের পর রিটার্ন না দিলে জরিমানা হতে পারে।
- ই-রিটার্ন সিস্টেম: এখন অনলাইনে (e-Return) রিটার্ন দাখিল করার ব্যবস্থা রয়েছে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply