প্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকার-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নয়জন সচিব/সিনিয়র সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়টি বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো :
সিদ্ধান্তের মূল বিষয়:
সরকার সোমবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-এর মাধ্যমে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে: আইন অনুযায়ী Government Service Act, 2018 (বা “Public Service Act 2018”)-এর ধারা ৪৫-এর অধীনে, জনস্বার্থ বিবেচনায়, বিশিষ্ট কর্মকর্তাদের অবসর দেওয়া হয়েছে।
অবসর দেওয়া হয়েছে যাঁরা সচিব বা সিনিয়র সচিবের পদে ছিলেন এবং পরে “ও এসডি (Officer on Special Duty)” হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
এই নিয়োগ বা অবসরের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে “২৫ বছর পূর্ণ করেছে” বা “অধিক সময়চলতে প্রধান দৃষ্টিকোণ থেকে জনস্বার্থে অবসর দেওয়া প্রয়োজন” ইত্যাদি যুক্তি মুখ্য। অবসরে যাওয়ার পর ওই কর্মকর্তারা “বিধি অনুযায়ী তাদের অবসরজনিত সকল সুবিধা” (রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট) পাবেন বলে বলা হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম:
নিচে আলোচিত নয়জন কর্মকর্তার নাম দেওয়া হলোঃ
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
সিনিয়র সচিব: মো. মনজুর হোসেন
সিনিয়র সচিব: মো. মশিউর রহমান
সচিব: মো. সামসুল আরেফিন
সচিব: মো. মিজানুর রহমান
সচিব: মো. আজিজুর রহমান
সচিব: মো. নূরুল আলম
সচিব: ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ
সচিব: ড. এ কে এম মতিউর রহমান
সচিব: শফিউল আজিম
প্রসঙ্গ ও অগ্রভিত্তি:
এই কর্মকাণ্ড মূলত ঘটেছে পরবর্তী সময়ে যারা “ওএসডি” (Officer on Special Duty) রূপে পদে ছিলেন, অর্থাৎ সচিব র্যাঙ্কে থাকাকালীন বা পরে বিশেষ দায়িত্বে ছিল না বা দায়িত্ব কম ছিল এমন অবস্থায় ছিলেন।
আইনধারা ধারা ৪৫ অনুযায়ী “সরকারি কর্মকর্তাকে ২৫ বছর পূর্ণ হলে, জনস্বার্থ বিবেচনায় অবসর দেওয়া সম্ভব” উল্লেখ আছে। এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলোর মাধ্যমে প্রশাসনের রোস্টার রিফ্রেশ বা পরিবর্তনের সুযোগ দেখা যাচ্ছে বলেও বিশ্লেষকরা বলছেন।
সারাংশ:
সংক্ষেপে বলা যায়, সরকার প্রশাসনিক বিজ্ঞান ও জনশক্তি পরিচালনায় গত পর্যায়ে যেসব সচিব/সিনিয়র সচিব দীর্ঘ সময় “ওএসডি” হিসেবে ছিলেন, তাঁদেরকে আইন অনুযায়ী জনস্বার্থে, অবসর দেওয়া হয়েছে। অবসরের পর তাঁদের সংশ্লিষ্ট বেনিফিট দেওয়া হবে।
Leave a Reply