এ. কে. এম. শামসুজ্জামান (যুগ্ম কর কমিশনার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড [এনবিআর]-চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১, রেঞ্জ-৪) বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি দুই করদাতা আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম (উভয়ই ব্যবসায়ী এস আলম এর পুত্র) ২০২০-২১ করবর্ষে “সার্বজনীন স্ব-নির্ধারণী আয়কর রিটার্ন”-এর প্রেক্ষিতে ৭৫ কোটি টাকার কর সরকারি কোষাগারে জমা পড়েনি এমন অভিযোগ রয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, পে-অর্ডার জমার কথা থাকলেও ব্যাংকে জমা হয়নি, অথচ রিটার্ন অনুমোদন হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ইস্যু হওয়া আদেশে বলা হয়েছে, যুগ্ম কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান ইতোপূর্বে যুগ্ম কর কমিশনার হিসেবে পরিদর্শী রেঞ্জ-৪, কর অঞ্চল-১, চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত থাকাকালে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারার বিধান অনুযায়ী ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আশরাফুল আলম এবং আসাদুল আলম মাহি নামের করদাতার দাখিল করা ২০২০-২১ করবর্ষের সার্বজনীন স্ব-নির্ধারণী আয়কর রিটার্নের বিপরীতে প্রযোজ্য ৭৫ কোটি টাকার কর সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। অথচ দাখিল করা পে-অর্ডার যাচাইয়ের নামে আইন-বহির্ভূতভাবে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি সাধন করেছেন। শুধু তাই নয়, তাদের সহযোগিতা করতে গিয়ে ওই দুই করদাতার মিথ্যা শুনানির বক্তব্য আয়কর ফাইলে যুক্ত করেছেন। ওই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে কৈফিয়ত তলব করা হয়। গত ৬ নভেম্বর তার বিভাগীয় মামলার বিষয়ে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে তার জবাব এবং বিভাগীয় মামলা সংশ্লিষ্ট নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। সে কারণে বিধিমালার ৪(২) (ঘ) বিধি অনুযায়ী যুগ্ম কর কমিশনারকে বেতন গ্রেডের দুই ধাপ অবনমিত করে অর্থাৎ বর্তমান মূল বেতন ৬১ হাজার ২০০ টাকার দুই ধাপ নিম্নে ৫৬ হাজার ৩০ টাকা মূল বেতনে লঘুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একইসঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শাস্তি বা বিভাগীয় ব্যবস্থা
Leave a Reply