রিটার্ন না দেওয়া বাড়িওয়ালাদের খুঁজতে বিশেষ অভিযান: এনবিআর
-
Update Time :
Tuesday, November 18, 2025
-
44 Time View
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সাম্প্রতিক সময়ে এমন বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যা মূলত বাড়ি-ফ্ল্যাট মালিক (landlords) যারা আয়কর রিটার্ন দায়ের করছেন না, তাদের টার্গেট করছে। নিচে আলোচনা করা হলো:
প্রেক্ষাপট ও কারণ:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- অনেক বাড়িওয়ালা রিটার্ন দিচ্ছেন না:
- এনবিআর জানিয়েছে অনেক বাড়ি বা ফ্ল্যাট মালিক আয়ের কর রিটার্ন দাখিল করছেন না, বিশেষ করে মেট্রো (যেমন ঢাকা, চট্টগ্রাম) এলাকায়। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, “অনেক বড় বাড়িওয়ালার করদানের সক্ষমতা আছে, কিন্তু তারা রিটার্ন দিচ্ছে না।”
- করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (TIN) থাকা সত্ত্বেও অনেকেই রিটার্ন দায়ের করছেন না এনবিআর চেয়ারম্যান এ তথ্য দিয়েছেন।
- আইনগত বাধ্যবাধকতা:
- আইন অনুযায়ী বাড়ি / ফ্ল্যাট মালিকদের irrespective of their taxable income (মানে আয় করযোগ্য না হলেও) রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
- “Proof of Submission of Return (PSR)” বাধ্যতামূলক করার নিয়ম আছে: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখাতে হবে যেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন।
- সুবিধাজনক রিটার্ন প্রক্রিয়া:
- এনবিআর রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজ করেছে: ই-রিটার্ন (অনলাইনে) সাবমিট করা যায়।
- ই-রিটার্নে কাগজপত্র (যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট) ‘আপলোড’ করার পুরো নথি লাগবে না শুধু তথ্য দাখিল করলেই হবে।
কি ধরন অভিযান চলছে:
- তালিকা তৈরি:
- এনবিআর ইতিমধ্যেই বাড়ি / ফ্ল্যাট মালিকদের তালিকা তৈরি করেছে, বিশেষত মহানগর এলাকায়।
- তালিকা তৈরির জন্য তারা বিভিন্ন উৎস ব্যবহার করছে যেমন বিদ্যুৎ মিটার, ওয়াসা বিল ইত্যাদি যেগুলো বাড়ির মালিক কে সেটা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
- নন–ফাইলারদের বিশেষ ড্রাইভ:
- একটি “স্পেশাল ড্রাইভ” (অভিযান) করা হচ্ছে নন-ফাইলার বাড়িওয়ালাদের বিরুদ্ধে।
- এনবিআর বলেছে তারা দেখবে “আয় কী, কতটুকু কর দিতে হবে” অর্থাৎ শুধু বাধ্য-তাই নয়, করদায়িত্বও যাচাই করা হবে।
- গোয়েন্দা এবং মনিটরিং কার্যকলাপ:
- এনবিআর চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি কর অঞ্চলে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে।
- “নন-ফাইলারদের” বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ এবং তাদের অগ্রগতি প্রতি সপ্তাহে মনিটরিং করা হবে এবং নিয়মিত ব্রিফিং সেশন হবে।
- ব্যাংক হিসাব তলব:
- যারা রিটার্ন দিচ্ছে না, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এনবিআর আগামীতে তলব করতে পারে।
- এটা করদাতার আয়ের উৎস এবং লেনদেন যাচাই করার জন্য শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।
- জরিমানা ও ভাবুকি:
- যারা সময়মতো রিটার্ন দায়ের করবেন না, তাদের জন্য ২% অতিরিক্ত কর ধার্য করা হবে।
- “জিরো রিটার্ন” (মানে শূন্য আয়ের তথ্য দেখিয়ে রিটার্ন দায়ের করা) আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে নিষিদ্ধ
- এনবিআর বলেছে এটা দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অনুযায়ী, মিথ্যা তথ্য দাখিল করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে।
কারণ এবং সম্ভাব্য প্রভাব:
- রাজস্ব বাড়ানো: বাড়ি-মালিকদের রিটার্ন দাখিল বাধ্য করার মাধ্যমে কর ফাঁকির সাময়িক অংশ কমিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো যেতে পারে।
- নীতি বার্ধক্য: শহুরে বাড়ি-মালিকদের কিছু উপায়ে নিয়মের আওতায় আনা হচ্ছে, বিশেষ করে যারা নগর এলাকায় বেশি প্রপার্টি রাখেন।
- ট্যাক্স ন্যায্যতা: যারা আসল আয় থেকে কর দিচ্ছেন, তাদের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ইনকাম ভাঁজ (inequity) কমানো যায়।
- প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ: তালিকা তৈরি, তদন্ত, ব্যাংক হিসাব তলব এগুলো প্রশাসনিকভাবে জটিল হতে পারে।
- জনবিরুদ্ধ প্রতিক্রিয়া: কিছু বাড়িওয়ালা হয়তো এতে আপত্তি তুলতে পারে, বিশেষ করে যাদের আয় কম বা নিয়ম বুঝতে অসুবিধা হয়।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply