জুলাই হত্যা কাণ্ডের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যু দণ্ড
-
Update Time :
Monday, November 17, 2025
-
61 Time View
জুলাই হত্যাকাণ্ড মামলায়” বলতে কি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত ঘটনা বোঝাচ্ছেন? যদি হ্যাঁ, তাহলে নিচে বিস্তারিত আছে:
গুরুতর তথ্যাবলী (অবস্থা নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত):
- মামলার পটভূমি
- ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঢাকাসহ সারাদেশে শিক্ষার্থী নেতৃত্বে বড় ধরনের বিক্ষোভ ও অভ্যুত্থান হয়েছিল।
- ওই সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে “প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের” অভিযোগ রয়েছে। প্রোসিকিউশন (ICT) বলছে, সীমাহীন শক্তি প্রয়োগ করে অনেকেই নিহত হয়েছেন।
- এই ঘটনায় প্রায় ১,৪০০ জন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছে, এমন দাবি করা হচ্ছে প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে।
- আদালত ও দায়সাজ্ঞায় (Charges & Trial)
- “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (ICT-1)” এ এই মামলার বিচার চলছে।
- আসামি হিসেবে রয়েছে: শেখ হাসিনা (সহায়ক হিসেবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী), আসাদুজ্জামান খান কামাল (প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী), এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-Mamun (প্রাক্তন পুলিশ প্রধান)।
- প্রসিকিউশন (ICT-এর আইনজীবী) তাদের বিরুদ্ধে ৫টি মানবতাবিরোধী অপরাধ (crimes against humanity) দায় আনেছে।
- মৃত্যুদণ্ড দাবি
- চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ইউনিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান।
- তিনি যুক্তি দিয়েছেন, “একজন মানুষ হত্যার জন্য যদি একবার ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলে প্রায় ১,৪০০ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ১,৪০০ বার ফাঁসি হওয়া উচিত” যদিও আইনগতভাবে একাধিক ফাঁসির দণ্ড দেওয়া সম্ভব নয়।
- প্রসিকিউটর আরো বলেছেন, “তাঁর মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই,” এবং “হার্ড-নাট অপরাধীর ভূমিকায়” তিনি আছেন।
- আসামিদের অবস্থান
- শেখ হাসিনা পলাতক অবস্থায় আছেন এবং ভারতে বসবাস করছেন। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-Mamun (প্রাক্তন IGP) প্রসিকিউশনের সাক্ষী (state witness) হয়েছেন, এবং তার দণ্ডবিধির বিষয়টি আদালতের বিবেচনায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
- ট্রাইব্যুনাল তিন সদস্যের প্যানেলে বিচার চলছে, বিচারপতি হিসেবে রয়েছেন: বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ, এবং বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
- সম্ভাব্য সাজা:
- বিচারকরা সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন: খালাস, জীবন কারাদণ্ড (অমৃত্যু কারাদণ্ড), নির্দিষ্ট মেয়াদে কারাদণ্ড, মৃত্যুদণ্ড এবং প্রসিকিউশন সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে। মেত হিসাবে “১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত” এটা মেটাফোরিক্যাল দাবি, সত্যিকারের আইনগতভাবে বারবার ফাঁসির দণ্ড দেওয়া যায় না, তাই প্রসিকিউশন বলেছে সর্বাধিক আইনগতভাবে যে শাস্তি সম্ভব তা মৃত্যুদণ্ড।
- সমালোচনা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:
- এই বিচারকে কিছু সমালোচক রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলছেন। ট্রাইব্যুনাল এবং প্রসিকিউশন দলে কিছু প্রশ্ন আছে বিচারিক স্বাধীনতা ও ইচ্ছাকৃত রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে।
- তবে ট্রাইব্যুনাল পরিচালনা করছে “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল” (ICT), এবং প্রসিকিউশন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাচ্ছে: যারা সরকার গড়ার সময় অথবা ক্ষমতায় থাকাকালীন জনবিরোধী সহিংসতা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ পরিচালনা করেছেন, তাদের বিচার হবে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply