বাংলাদেশের একজন সরকারি চাকরিজীবী কীভাবে আয়করের হিসাব করবেন তার বিস্তারিত, সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
১. মোট Taxable Income নির্ধারণ:
সরকারি চাকরিজীবীর আয় সাধারণত কয়েকটি উৎস থেকে হয়:
(A) মোট বেতন (Gross Salary)
এর মধ্যে থাকে—
(B) ট্যাক্স–মুক্ত সুবিধা বাদ দেওয়া
কিছু সুবিধা আয়করের বাইরে, যেমন—
এই করমুক্ত সুবিধাগুলো মোট আয় থেকে বাদ দিয়ে Taxable Income পাওয়া যায়।
২. বিনিয়োগ কর রিবেট (Tax Rebate) গণনা:
বাংলাদেশে বিনিয়োগ কর রিবেট পাওয়া যায় (যেমন GPF, DPS, Life Insurance, Sanchaypatra ইত্যাদি)।
রিবেটের জন্য যোগ্য বিনিয়োগ সীমা:
রিবেট রেট:
এই রিবেট মোট ট্যাক্স থেকে বাদ দেওয়া হয়।
৩. করযোগ্য আয়ের উপর স্ল্যাব অনুযায়ী কর নির্ধারণ:
২০২৪-২৫অর্থবর্ষে ট্যাক্স স্ল্যাব (সাধারণ ব্যক্তি)
| করযোগ্য আয় (টাকা) | কর হার |
| প্রথম ৩,৫০,০০০ টাকা | ০% |
| পরবর্তী ১,০০,০০০ | ৫% |
| পরবর্তী ৩,০০,০০০ | ১০% |
| পরবর্তী ৪,০০,০০০ | ১৫% |
| পরবর্তী ৫,০০,০০০ | ২০% |
| অতিরিক্ত আয় | ২৫% |
বিশেষ ছাড়:
৪. সারচার্জ (Surcharge) প্রযোজ্য কিনা দেখা:
ব্যক্তির সম্পদ (Net wealth) নির্দিষ্ট সীমা ছাড়ালে সারচার্জ প্রযোজ্য।
অধিকাংশ সরকারি চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে সাধারণত সারচার্জ পড়ে না।
৫. উৎসে কর কর্তন (TDS) সামঞ্জস্যকরণ:
যদি বেশি কাটা হয় → রিফান্ড পাবেন।
কম কাটা হলে → অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হবে।
৬. ফাইনাল ট্যাক্স হিসাব: দ্রুত উদাহরণ:
ধরি—
স্ল্যাব অনুসারে কর:
যদি বিনিয়োগ রিবেট পাওয়া যায়:
ধরি বিনিয়োগ = ১,০০,০০০ টাকা
→ ১৫% রিবেট = ১৫,০০০ টাকা
➡️ চূড়ান্ত ট্যাক্স = ২০,০০০ – ১৫,০০০ = ৫,০০০ টাকা
যদি অফিস ইতিমধ্যে ৬,০০০ টাকা কেটে থাকে →
➡️ ১,০০০ টাকা রিফান্ড পাবেন।
সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র:
সেলারি সার্টিফিকেট
Leave a Reply