1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
November 5, 2025, 3:44 am

রাজস্ব বাড়াতে কর ফাঁকি বন্ধে মনিটরিংয়ের নির্দেশ

  • Update Time : Wednesday, October 29, 2025
  • 81 Time View

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) এবং অভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগ-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রাজস্ব বাড়াতে কর ফাঁকি বন্ধে মনিটরিংয়ের নির্দেশ-এর মূল বিষয়বস্তু ও প্রয়োগ-পদ্ধতি  বিস্তারিতভাবে:

নির্দেশনার মূল বিষয়বস্তু

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

১. কর ফাঁকি রোধের জন্য মাঠ-পর্যায়ে গোয়েন্দা ও তদন্ত কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২. প্রতিটি কর অঞ্চলকে নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স & ইনভেস্টিগেশন সেল (I & I Cell) গঠন ও কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

3. করদাতার আয়, সম্পদ, রিটার্ন ও পরিশোধিত করের মধ্যে অস্বাভাবিকতা খুঁজে বের করার জন্য-

  • আয়কর নথিতে ঘষা-মাজা বা কাটাছেঁড়া হলে;
  • করযোগ্য আয় কম দেখিয়ে দেওয়া বা ক্রমাগত করমুক্ত আয় দেখানোর ক্ষেত্রে;
  1. আয় ও সম্পদের তুলনায় অতিরিক্ত নিট সম্পদ প্রদর্শিত হলে- তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে।
  2. গোয়েন্দা ও তদন্ত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট টিম পর্যায়ের অনুমোদনের পর রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রম (আদায় বৃদ্ধির পদক্ষেপ) দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  3. রিপোর্টিং ও মনিটরিং সুনিশ্চিত করতে-
    • প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে (উদাহরণস্বরূপ মাসের ১০ তারিখে) সংশ্লিষ্ট কর কমিশনারেট থেকে রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটন ও আদায় তথ্য NBR-এ পাঠানোর নিয়ম দেওয়া হয়েছে।
    • একাধিক কমিশনার ও মনিটরিং সদস্যদের সঙ্গে সাপ্তাহিক বা মাসিক সভায় তথ্য উপস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  4. ডিজিটালায়ন ও তথ্যভিত্তিক পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে-
    • সরকারি ও বেসরকারি তথ্যভাণ্ডার সংযুক্ত করে করদাতাদের আয়, লেনদেন ও সম্পদের তথ্য যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে। কাগজভিত্তিক বেশি, এখন তথ্য-ভিত্তিক মনিটরিং ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  5. কর প্রশাসনে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- যেমন- কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, চুক্তি-নিগোসিয়েশন দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব।

প্রয়োগপ্রক্রিয়া মনিটরিং পয়েন্টসমূহ:

  • প্রথম ধাপে, প্রতিটি কর অঞ্চল/কমিশনারেটকে তাদের সীমানায় সম্ভাব্য করদাতাদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে- যারা করদাতার “নেট” হতে পারে কিন্তু এখনও রিটার্ন দিচ্ছে না বা কর কম দিচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে, ওই শনাক্তকৃত করদাতা বা প্রতিষ্ঠানগুলোর- বিনা রিটার্ন অথবা কম রিটার্ন দান, আয়-সম্পদের অমিল, এ ধরনের তথ্য একত্র করা হবে।
  • তৃতীয় ধাপে, গোয়েন্দা/তদন্ত সেল বিষয়-ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করবে- এরপর যদি পর্যাপ্ত প্রমাণ হয় তাহলে “রাজস্ব পুনরুদ্ধার” পার্থক্য নির্ধারণ ও আদায়ের জন্য উদ্যোগ নেবে।
  • চতুর্থ ধাপে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য মনিটরিং ফ্রেমওয়ার্ক লাগু হয়েছে- যেমন- প্রতি মাসে কত পরিমাণ কর ফাঁকি উদ্ঘাটন হয়েছে, কত পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে, কত সময় নেয়া হয়েছে আদায় করতে ইত্যাদি।
  • পঞ্চম ধাপে, ডিজিটাল তথ্যভিত্তিক নিয়ম চালু হয়েছে- যেমন আয়কর রিটার্ন, সম্পদ বিবরণী, আমদানি-রফতানি তথ্য, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য- সবার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। রূপায়ণ চলছে।

নির্দেশনার উদ্দেশ্য প্রতিফলন:

  • কর ফাঁকি রোধ করে রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্দেশ্য রয়েছে- যেমন “অনেকে করদাতা হিসেবে শনাক্ত থাকলেও রিটার্ন দিচ্ছে না বা কম দিচ্ছে” বলে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে, রাজস্ব ঘাটতি কমাতে এবং নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
  • নিয়মিত মনিটরিং ও তথ্য-ভিত্তিক নজরদারি বাড়ানো হলে করদাতাদের মধ্যে স্বেচ্ছায় কর প্রদান ও অপরাধমুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

কিছু চ্যালেঞ্জ পরামর্শ:

যদিও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে আদায় উদ্ঘাটনের পার্থক্য বেশ গভীর। উদাহরণস্বরূপ, ৯ মাসে কর ফাঁকি উদ্ঘাটনের পর মাত্র একটি অংশ আদায় হয়েছে।

তথ্যভিত্তিক মনিটরিং আরও শক্তিশালী করতে হবে- বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই আয়-সম্পদের তথ্য সঠিক নয় বা লুকানো হয়।

  • করদাতার সেবার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি- যেমন রিটার্ন দান সহজ করা, তথ্যপ্রবাহ খোলা রাখা, যাতে “কর দেওয়া” গুরুত্বে পরিণত হয় না কেবল বাধ্যবাধকতা। প্রশাসনিক দুর্বলতা, দুর্নীতি ও মনিটরিং-সাপেক্ষ সমস্যা রয়েছে- যেমন কর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের কারণে বরখাস্তের ঘটনা দেখা গেছে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews