ট্যাক্স রিটার্নে মিথ্যা তথ্য দেওয়া বা তথ্য গোপন/জালিয়া দেওয়া (fraud) আইনত খুবই গম্ভীর অপরাধ এতে শুধু জরিমানা নয়, শাস্তি হিসেবে জেলও হতে পারে, এবং আইনের বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী আরও অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। নিচে বিস্তারিতভাবে জানুন:
বাংলাদেশে বর্তমানে Income Tax Act, 2023 (আয়কর আইন) অপরাধ ও শাস্তির জন্য প্রযোজ্য মূল আইন। এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক:
‘জিরো ট্যাক্স রিটার্ন’ (Zero Return):
যদি কেউ কর রিটার্নে ভুয়া/ভ্রান্ত তথ্য দেয় বা তথ্য গোপন করে, তাহলে তাকে
সর্বোচ্চ ৫বছর পর্যন্তজেল(imprisonment) দেওয়া হতে পারে।
এই শাস্তি বিশেষত তেমন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় যেখানে তথ্য জালিয়াতি করছে, যেমন আয়-সম্পদ bewusstভাবে কম দেখানো বা শূন্য দেখানো।
আইন শুধু জেল দিয়েই সীমাবদ্ধ নয়; অনেক ক্ষেত্রে জরিমানা বা অন্য অর্থনৈতিক শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে।
যেমন:
কর রিটার্ন সময়মতো না দিলে বা ভুল তথ্য দিলে সর্বোচ্চ জরিমানা, এবং
অতিরিক্ত ট্যাক্স বনাম ব্যালেন্স না দিলে তার উপরও জরিমানার হার বসে।
গোপন/ভুয়া তথ্যের মাত্রা, ট্যাক্স ফাঁকির পরিমাণ ইত্যাদি বিচার করে আদালত বিভিন্ন জরিমানা ও শাস্তি দিতে পারে অনেক সময় এটা ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া টাকা সহ তার থেকে ওবেশি হতে পারে।
ট্যাক্স রিটার্নে ভুয়া তথ্য:
সরকারকে আয় সংক্রান্ত ভুল হিসাব দেয়,
রাজস্বে অনিয়ম সৃষ্টি করে,
বৈধ নাগরিক দায়িত্বের প্রতি অবহেলা সৃষ্টি করে,
আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় ভুল তথ্য দেয়।
এই কারণে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা কঠোর শাস্তি দেয় শুধু জরিমানা না হলে অনেকেই আইন ভঙ্গ করবে।
রিটার্নে হেতু–নিরপেক্ষ ভাবে প্রকৃত তথ্যই দাখিল করুন।
যদি আয় ট্যাক্স-যোগ্য নয়, তাহলেও তথ্য সত্য দেখান কারণ “শূন্য” সব ঘর ভরালে তা অপরাধ হবে।
ভুল বোঝাবুঝি থেকে রক্ষা পেতে প্রফেশনাল ট্যাক্স কাউন্সেলর/CA’র সাহায্য নিন।
Leave a Reply