1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
December 29, 2025, 3:50 pm
Title :
ট্যাক্স রিটার্নে মিথ্যা তথ্য ও জালিয়াতির শাস্তি কতটা কঠোর অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানের পদত্যাগ ৩০ ডিসেম্বর অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনের প্রার্থীদের রিটার্ন দেওয়ার জন্য অফিস খোলা রাখবে এনবিআর আয়কর রিটার্নে নগদ টাকা কত দেখাবেন ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর রিটার্ন জমার সময় সীমা বাড়াল এনবিআর ৩১ জানুয়ারি ২০২৬ ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া সেরেছেন তারেক রহমান আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়তে পারে অবসরের ৩ বছরের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবী: হাইকোর্ট প্রার্থীদের আয়কর রিটার্ন দাখিলে বিশেষ ব্যবস্থা করলো এনবিআর

ট্যাক্স রিটার্নে মিথ্যা তথ্য ও জালিয়াতির শাস্তি কতটা কঠোর

  • Update Time : Monday, December 29, 2025
  • 34 Time View

ট্যাক্স রিটার্নে মিথ্যা তথ্য দেওয়া বা তথ্য গোপন/জালিয়া দেওয়া (fraud) আইনত খুবই গম্ভীর অপরাধ  এতে শুধু জরিমানা­ নয়, শাস্তি হিসেবে জেলও হতে পারে, এবং আইনের বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী আরও অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। নিচে বিস্তারিতভাবে জানুন:

  আইনগত ভিত্তি  আয়কর আইন, ২০২৩:

বাংলাদেশে বর্তমানে Income Tax Act, 2023 (আয়কর আইন) অপরাধ ও শাস্তির জন্য প্রযোজ্য মূল আইন। এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

মিথ্যা বা ভুল তথ্য দেওয়া:

  • যদি কেউ আয়ের সত্য তথ্য, ব্যয়, সম্পদ বা দায়বিয়োগ সম্পর্কে ভুয়া/ভ্রান্ত তথ্য প্রদান করে, বা প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন/মিথ্যা প্রদর্শন করে  তা ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে।

জিরো ট্যাক্স রিটার্ন’ (Zero Return):

  • সামাজিক যোগাযোগে প্রচারিত সব ঘরশূন্যকরে রিটার্ন দেওয়া আসলে আইনত কোনো বৈধ রিটার্ন নয়।
  • এই ধরনের ভুয়া/অসত্য রিটার্ন দাখিল করা অপরাধ, এবং তার জন্য গুরুতর শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

  শাস্তি জরিমানা:

 জেল (কারাদণ্ড)

 যদি কেউ কর রিটার্নে ভুয়া/ভ্রান্ত তথ্য দেয় বা তথ্য গোপন করে, তাহলে তাকে

সর্বোচ্চ বছর পর্যন্তজেল(imprisonment) দেওয়া হতে পারে

 এই শাস্তি বিশেষত তেমন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় যেখানে তথ্য জালিয়াতি করছে, যেমন আয়-সম্পদ bewusstভাবে কম দেখানো বা শূন্য দেখানো।

 অন্যান্য শাস্তি মূলক ব্যবস্থা জরিমানা:

আইন শুধু জেল দিয়েই সীমাবদ্ধ নয়; অনেক ক্ষেত্রে জরিমানা বা অন্য অর্থনৈতিক শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে।
যেমন:

কর রিটার্ন সময়মতো না দিলে বা ভুল তথ্য দিলে সর্বোচ্চ জরিমানা, এবং
 অতিরিক্ত ট্যাক্স বনাম ব্যালেন্স না দিলে তার উপরও জরিমানার হার বসে।

গোপন/ভুয়া তথ্যের মাত্রা, ট্যাক্স ফাঁকির পরিমাণ ইত্যাদি বিচার করে আদালত বিভিন্ন জরিমানা ও শাস্তি দিতে পারে  অনেক সময় এটা ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া টাকা সহ তার থেকে ওবেশি হতে পারে

কেন এটা এত কঠিন?

ট্যাক্স রিটার্নে ভুয়া তথ্য:

 সরকারকে আয় সংক্রান্ত ভুল হিসাব দেয়,
রাজস্বে অনিয়ম সৃষ্টি করে,
 বৈধ নাগরিক দায়িত্বের প্রতি অবহেলা সৃষ্টি করে,
 আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় ভুল তথ্য দেয়।

এই কারণে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা কঠোর শাস্তি দেয় শুধু জরিমানা না হলে অনেকেই আইন ভঙ্গ করবে

প্রাকটিক্যাল টিপস(করদাতাদেরজন্য):

রিটার্নে হেতুনিরপেক্ষ ভাবে প্রকৃত তথ্যই দাখিল করুন।
 যদি আয় ট্যাক্স-যোগ্য নয়, তাহলেও তথ্য সত্য দেখান  কারণ “শূন্য” সব ঘর ভরালে তা অপরাধ হবে।

ভুল বোঝাবুঝি থেকে রক্ষা পেতে প্রফেশনাল ট্যাক্স কাউন্সেলর/CA’সাহায্য নিন

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews