1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
December 29, 2025, 2:38 pm
Title :
ট্যাক্স রিটার্নে মিথ্যা তথ্য ও জালিয়াতির শাস্তি কতটা কঠোর অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানের পদত্যাগ ৩০ ডিসেম্বর অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনের প্রার্থীদের রিটার্ন দেওয়ার জন্য অফিস খোলা রাখবে এনবিআর আয়কর রিটার্নে নগদ টাকা কত দেখাবেন ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর রিটার্ন জমার সময় সীমা বাড়াল এনবিআর ৩১ জানুয়ারি ২০২৬ ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া সেরেছেন তারেক রহমান আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়তে পারে অবসরের ৩ বছরের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবী: হাইকোর্ট প্রার্থীদের আয়কর রিটার্ন দাখিলে বিশেষ ব্যবস্থা করলো এনবিআর

কর আইনজীবীর কর ফাঁকি

  • Update Time : Thursday, October 23, 2025
  • 172 Time View

তিনি একজন নিয়মিত করদাতা। বহু বছর ধরে নিজের ও স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর বা স্থায়ী আমানত রাখছেন কয়েক কোটি টাকা। তবে মেয়াদ পূর্ণ হোক বা না হোক, ৩০ জুনের আগেই সব এফডিআর ভেঙে টাকা তুলে নেন পে অর্ডার আকারে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ফের নতুন এফডিআর খোলেন। যেমন গত ৩০ জুনের আগে শুধু নিজ নামে পৌনে ৯ কোটি টাকার এফডিআর ভেঙে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ১১ কোটি টাকার বেশি এফডিআর করেছেন। বছরের পর বছর এভাবে আয় গোপন রেখে কর ফাঁকি দিচ্ছেন তিনি।যে করদাতা বছরের পর বছর এমন অস্বাভাবিক কাণ্ড করে চলেছেন, তাঁর নাম নিরঞ্জন ঘোষ। তিনি একাধারে কর আইনজীবী ও অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসায়ী। বসবাস ঢাকার খিলগাঁওয়ে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের (আইটিআইআইইউ) অনুসন্ধানে তাঁর ব্যাংক লেনদেনে এমন অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েছে। তাঁর স্ত্রী অন্তরা ঘোষের ক্ষেত্রে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছেন তিনি।

রাজস্ব গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, নিরঞ্জন ঘোষ তাঁর এফডিআরে অর্থ আয় হিসেবে দেখালে নিয়মিত করহার হবে ২৫ শতাংশ। প্রাথমিক ধারণা, তিনি অন্তত সাড়ে তিন কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন। এমনও হতে পারে, যে আয় থেকে বিশাল অঙ্কের এফডিআর করছেন, তা বৈধ আয় নয়। উৎস দেখাতে পারবেন না বলে লুকোচুরি খেলছেন। ইতোমধ্যে নিরঞ্জন ঘোষ ও তাঁর স্ত্রীর সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত (ফ্রিজ) করা হয়েছে। এ ছাড়া আয়, সম্পদ ও লেনদেন খতিয়ে দেখতে ব্যাংকগুলোতে বিভিন্ন তথ্য চেয়েছে এনবিআর। এনবিআর-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আয় গোপন করে কর ফাঁকি দিতেই নিরঞ্জন ঘোষ প্রতিবছর জুন শেষের কর্মদিবসের আগেই এফডিআর ভাঙছেন, যাতে আয়বর্ষের শেষ দিনে তা ব্যাংক হিসাবে প্রদর্শিত না হয়। আয়কর আইনজীবী হওয়ায় তিনি ফাঁকির রাস্তাটি বোঝেন।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

 ফাঁকি দিতে গিয়ে আয়কর রিটার্নে সম্পদ বিবরণীতে পে অর্ডার আকারে থাকা অর্থও প্রদর্শন করেন না। এফডিআর ভাঙানোর সময় ব্যাংক যে উৎসে ১০ শতাংশ কর কেটে নিয়েছে, চূড়ান্ত কর দেওয়ার সময় তা সমন্বয়ের দাবিও করেন না। কারণ আয় গোপন করলেই তাঁর লাভ বেশি। যেভাবে ধরা পড়লেন নিরঞ্জন ঘোষ সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নিরঞ্জন ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী অন্তরা ঘোষের সর্বশেষ ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন যাচাই করা হয়। দেখা যায়, নিরঞ্জন ঘোষ নামমাত্র ব্যক্তিগত আয় দেখিয়েছেন। এ ছাড়া মৎস্য খাত ও ব্যবসা থেকেও নামমাত্র আয় দেখিয়েছেন। তিনি তিন কোটি ১৩ লাখ টাকার নিট সম্পদ দেখিয়েছেন। ব্যাংক হিসাবের ব্যালান্স শূন্য দেখানোর ফলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়।

কর ফাঁকি বনাম আইনি পরিকল্পনা:

  • কর ফাঁকি (Tax evasion): ইচ্ছে করে আয় লুকানো, ভুয়া চালান/চুক্তি তৈরি, রেকর্ড মুছে ফেলা বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ট্যাক্স থেকে বাঁচা  বেআইনি।
  • কর–পরিকল্পনা / কর-সংরক্ষণ (Tax planning / avoidance): আইন অনুযায়ী সুবিধা, কাটা-ছাঁট, করছাড়/ছাড়পত্র ব্যবহার করে ট্যাক্স কম করা  আইনি এবং গ্রহনযোগ্য।

কর ফাঁকির সাধারণরুপ:

  • আয় গোপন রাখা বা ব্যয় বাড়িয়ে দেখানো।
  • জাল/ভুয়া চালান, কালো টাকাকে সাদা দেখানো।
  • রেকর্ড বা বিল নষ্ট/বদলানো।
    এসব কিভাবে না করতে হবে তা জানা দরকার কারণ এগুলো ধরা পড়লে জটিল আইনগত ফল হয়।

সম্ভাব্য শাস্তি ও ঝুঁকি:

অতিরিক্ত কর + সুদ।

  • বড় অঙ্কের জরিমানা।
  • ক্রিমিনাল অভিযোগ ও কারাবাস (দেশ অনুযায়ী ভিন্নতা থাকে)।
  • ব্যবসায়িক বিশ্বাসযোগ্যতা ও লাইসেন্স নষ্ট হওয়া, ব্যাংকিং/ক্লায়েন্ট সমস্যা।

আইনি, নিরাপদ বিকল্প কী করা যায়:

  1. রেকর্ড কাগজপত্র সঠিক রাখা  আয়, ব্যয়, ইনভয়েস, ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  2. প্রযোজ্য ছাড়/ডিডাকশন সম্পর্কে জানা  করছাড়, অফসেট, ট্যাক্স ক্রেডিট ইত্যাদি ব্যবহার করা।
  3. নিয়মিত কর রিটার্ন ফাইল করা সময়মত ট্যাক্স পরিশোধ  জরিমানা এড়াতে।
  4. পেশাদার সাহায্য নেয়া  চার্টার্ড আকাউন্টেন্ট/ট্যাক্স অ্যাডভাইজার নিন।
  5. ভলান্টারি ডিসক্লোজার / রেগুলারাইজেশন  অনেক দেশে আগে থেকেই অনাহুত আয়/তথ্য ঘোষণা করলে দণ্ড কমে বা রিলিফ মেলে।
  6. অডিট/কমপ্লায়েন্স প্রস্তুতি ভবিষ্যৎ অডিটে সমস্যা এড়াতে অডিট-রেডি কাগজপত্র রাখা।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews