ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভিনিউ (National Board of Revenue, NBR)‑র চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের কর দেওয়ার পরামর্শ ও বক্তব্যের বিস্তৃত ব্যাখ্যা দেওয়া হল আপনি যে “প্রথমে ‘ট্যাক্স’ দিয়ে পরে অন্যান্য ব্যয়”‑ওয়ার পরামর্শটি জানতে চেয়েছেন, সেটি তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে মিল রয়েছে।
বক্তব্য ও পরামর্শের সারাংশ:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
“কর দেওয়া একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কর দেওয়ার পর ভাবুন আপনি জনকল্যাণে কত রাখবেন, নিজের জন্য কত ব্যয় করবেন আর কতটা সঞ্চয় করবেন।” অর্থাৎ, ব্যক্তি হিসেবে প্রথমে অবশ্যই কর দেওয়া উচিত, তারপর সামাজিক দায়িত্ব (জনকল্যাণ) এবং তারপর ব্যক্তিগত ব্যয় ও সঞ্চয়।
“অনেকেই ভাবেন, সামাজিক সেবায় খরচ করার পর কর দেওয়ার দরকার নেই” কিন্তু এটি ভুল ভাবনা। তাঁর মতে, দেশের রাজস্ব সংগ্রহ এখনো দুর্বল অবস্থায় আছে:
“আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি… দুই‑তৃতীয়াংশ কর এখনো গরিবদের ওপর রয়েছে ‑ আমরা আয়কর থেকে মাত্র এক‑তৃতীয়াংশ সংগ্রহ করি।” এছাড়া বলেছেন:
“একটি দেশের মতো পরিবারে যারা বেশি উপার্জন করে তারা বেশি অবদান রাখে, যারা উপার্জন কম করে তারা পকেটমানি পায়” অর্থাৎ কর দিতে সক্ষমদের অবশ্যই কর দিতে হবে।
কেন এই বক্তব্য গুরুত্ব পেয়েছে:
- কর‑দায়িত্বকে নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে দেখানোর প্রচেষ্টা: কর দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি নাগরিকদের মধ্যে করপ্রদানে সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি উদ্যোগ দেখিয়েছেন।
- রাজস্ব সংগ্রহ ও রাষ্ট্রীয় খরচের সঙ্গে সমন্বয়: একটি দেশের উন্নয়ন, সেবা‑ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য রাজস্ব প্রয়োজন তিনি বারবার জানিয়ে দিয়েছেন এই পরিপ্রেক্ষিত। করের ক্ষেত্রে সাম্য ও ন্যায্যতা: করের বোঝা মূলত গরিবদের ওপর বেশি পড়ছে‑‑এটি তিনি উল্লেখ করেছেন এবং করমুক্তি বা বিশেষ হারে কর প্রদানের ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
কখন‑কোন সময় এই বক্তব্য দেওয়া হয়েছিল:
- ৩ মে ২০২৫ তারিখে ঢাকা‑র ধানমন্ডিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন‑‑ ‘গুণীজন সম্মাননা ও পহেলা বৈশাখ‑১৪৩২’ অনুষ্ঠানে। ১০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম চেম্বার‑এর সভায় তিনি কর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ও রাজস্ব সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলেছেন।
পরামর্শ হিসেবে প্রয়োগ করার ধাপ:
যদি আপনি তাঁর এই “প্রথমে কর → তারপর ব্যয়/সঞ্চয়” পরামর্শ অনুসরণ করতে চান, তাহলে নিচের ধাপগুলো কাজে লাগতে পারে:
- প্রথমে আপনার আয় ও করযোগ্য বিষয় নির্ধারণ করুন আয়কর, ভ্যাট, উৎস কর ইত্যাদি।
- সেই কর সময়মতো ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করুন।
- এরপর ভাবুন আপনি কতটা জনকল্যাণে খরচ করবেন (উদাহরণস্বরূপ দান, সামাজিক উদ্যোগ)।
- এরপর আপনার ব্যক্তিগত বাজেট নির্ধারণ করুন দৈনন্দিন ব্যয়, উপভোগমূলক ব্যয়।
- শেষ হিসাবে সঞ্চয় বা বিনিয়োগ‑এর জন্য কিছু অর্থ সংরক্ষণ করুন।
- নিয়মিত পর্যালোচনা করুন আপনার আয় বাড়লে কর‑দায়িত্বও বাড়তে পারে; এবং দেশের নীতি‑পরিবর্তন (যেমন কর হার, রেয়াত) নজরে রাখুন।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply