অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সঞ্চয়পত্র‑এর সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
কেন সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- সঞ্চয়পত্রে সুদহার অনেক সময় ব্যাংক আমানতের চেয়ে উঁচু ছিল। এই কারণে সরকারকে ওই খাতে বড় পরিমাণ সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। বাজেট ঘাটতি মোকাবিলা ও অভ্যন্তরীণ ঋণ গ্রহণের খরচ কমানো সরকারকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক অর্থদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)‑র সঙ্গে চুক্তির শর্ত হিসেবে সঞ্চয়পত্র‑দ্ভারা ঋণ গ্রহণ কমিয়ে ট্রেজারি বিল বা ট্রেজারি বন্ডের দিকে ঝুঁকুন এমন পরামর্শ রয়েছে।
- মূল্যস্ফীতি কমেছে ও আর্থিক পরিবেশ পরিবর্তিত হয়েছে তাই সুদহার সামঞ্জস্য করা হচ্ছে।
এখন কি হারে কমিয়ে আনা হয়েছে:
- ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর নতুন হারে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্রের সুদহার সর্বোচ্চ ১১.৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৯.৭২ শতাংশ হতে পারে।
- উদাহরণস্বরূপ, পাঁচ বছর মেয়াদি “বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র” স্কিমে সাড়ে সাত লাখ টাকা‑এর নিচে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদহার কমিয়ে হয়েছে ≈ ১১.৮৩ শতাংশ; আগের হার ছিল ~১২.৪০ শতাংশ।
- সাড়ে সাত লাখ টাকার ওপরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদহারও কমিয়ে হয়েছে ≈ ১১.৮০ শতাংশ বা তার কাছাকাছি।
- ২০২৫ সালের অক্টোবরের দিকে আবারও সুদহার কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে।
ভবিষ্যতে কি হতে পারে:
- সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে যে, সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দীর্ঘ মেয়াদি সস্তা ঋণের উৎস যেমন ট্রেজারি বন্ড‑বিলের দিকে ঝুঁকানো হবে। সুদহার ধীরে ধীরে আরও কমিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে যদি ট্রেজারি বা বন্ড বাজারে সুদ কম থাকে এবং অভ্যন্তরীণ ঋণচাপ বাড়ে।
বিনিয়োগকারী বা সাধারণ মানুষের জন্য সম্ভাব্য প্রভাব:
- যারা এই সঞ্চয়পত্রে তাদের সঞ্চয় রেখেছেন, তাঁদের জন্য আগের তুলনায় অল্প সুদ পাওয়া যেতে পারে।
- অবসরপ্রাপ্ত, পেনশনভোগী, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জন্য এই পরিবর্তন চিন্তার কারণ হতে পারে।
- নতুন বা পুনঃবিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই কম হারে সুদ প্রযোজ্য হবে; আগের ইস্যু করা সঞ্চয়পত্রে পুরনো হার রপ্ত হয় সাধারণত।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply